ডিম কখন খাবেন, ডিম কেন খাবেন ?
ডিম একটি আর্দশ খাদ্য সবার জন্য । পুষ্টিগুণ
সমৃদ্ধ ডিম নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসে মিলবে অনেক উপকার । ডিম একটি অতি পরিচিত পুষ্টিকর খাবার, ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক । নিয়ম মেনে ডিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় । ডিম থেকে শারীরিক উপকার পেতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হবে ।
ডিম কখন
খাবেন- নিয়ম মেনে ডিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় । সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খালি পেটে একটি সিদ্ধ ডিম খেতে হবে । সকালে খালি পেটে একটি সিদ্ধ ডিম ও এক গ্লাস জল পান করলে সারা দিন কর্মঠ থাকা যায় । ডিমের সবচেয়ে বড়ো গুণ এটি ওজন
কমাতে সাহায্য করে । ডিম শরীরে ব্যাড ফ্যাট জমতে দেয় না । মাসে প্রায় ৩ পাউন্ড ওজন কমে যায় । লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ডিম বেশি সিদ্ধ না হয় । বেশিরভাগ পুষ্টিবিদ ডিম ভাজা করে না খাবার পরামর্শ দেন । কারণ - ডিম যে তেলে বা মাখনজাতীয় চর্বিতে ভাজা হয়, তার মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে । ভাজা ডিম শরীরে ফ্যাট উৎপাদন করে । তাই যারা ফ্যাট থেকে দূরে থাকতে চান তারা ভাজা ডিম পরিহার করুন ।
অন্যান্য খাবারের থেকে ডিম শরীরে প্রচুর ক্যালোরির জোগান দেয় । প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরের পেশি গঠনে ভূমিকা পালন করে । ডিমে কাঁচা লবণ ছিটিয়ে খাবেন না । কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিম বেশি পুষ্টি যুক্ত । ডিম রান্না করার আগে ভাল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নেবেন । কখনও এমন ডিম কিনবেন না যা ভাঙা বা ফাটা - কারণ সামান্য ফাটা থাকলেও সেখানে ধুলোবালি বা জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে ।
ডিম কেন খাবেন –
১) এখন বেশিরভাগ ডাক্তার স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন । তারা বলছেন, প্রতিটা শিশু ও নারীর শরীরে প্রতিদিন প্রায় ৫০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয় । একটি ডিম থেকে প্রায় ৬০-৭০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় । তাই শিশুর মেধা বিকাশে ডিম পরিপূরক হিসাবে কাজ করে । গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রিম্যাচিওর বেবি
হওয়ার সম্ভাবনা কমায় । প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে হৃদযন্ত্র বা শরীরের রক্ত সঞ্চালনে কোন ঝুঁকি তৈরি হয়না, প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । ডিমে
আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস । জিঙ্ক
শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় । আর
ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে । ডিমের
মধ্যে আছে ভিটামিন এ, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে ।
২) ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ
। ডিমের ক্যারোটিনয়েড, লু্যটেন ও জিয়েক্সেনথিন থাকে, যা আমাদের বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায় । যারা রাতকানা রোগে ভুগে থাকেন এবং চোখে পরিষ্কার দেখতে সমস্যা হয় তারা প্রতিদিন সকালে একটি সিদ্ধ ডিম খেয়ে মধু পান করতে পারেন । ডিমে ভিটামিন বি কমপেস্নক্স পাওয়া যায়- যা আমাদের দাঁত, চুল, ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী । অনেকের চুল ও ত্বকে রুক্ষতাসহ বৃদ্ধের ছাপ দেখা দেয় । ডিমের মধ্যে থাকা সালফার ম্যাজিকের মতো নখ আর চুলের মান
উন্নত করে । তাই নিয়মিত ডিম খাওয়া বাঞ্ছনীয় । এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ চুল ও ত্বকে লাগালে চুলের রুক্ষতাসহ ত্বক পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে । সপ্তাহে ৬টি করে ডিম নিয়মিত খেলে
প্রায় ৪৪% ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব ৷ একটি ডিম স্তন
ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ কমিয়ে দেয় । শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে স্তন ক্যান্সারের
সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় ।
৩) প্রোটিন আমাদের শরীর গঠন করে । আমাদের অন্যান্য খাবার থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাই - যা অনেক সময়ই শরীরের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি । অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে । তাই ডিম প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ একটা উৎস । ডিম ঝটপট শরীরে প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে । বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল ডিম । বেশি ডিম খাওয়ায় ভয়ের কোন কারণ নেই । দিনে একটা - এমনকি দুটো ডিমও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ।
৪) নতুন এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না । ডিমের মাত্র এক চতুর্থাংশ হল স্যাচুরেটেড, যেটা শরীরে জমাট বাঁধতে পারে । এই স্যাচুরেটেড চর্বির অংশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় । কোলেস্টেরলের সমস্যার কথা যদি ভাবেন, তাহলে ডিম সেখানে কোন ক্ষতির কারণ নয় । কারণ - ব্রিটেনের চিকিৎসকরা বলছেন - ডিমে যদিও কিছু কোলেস্টেরল আছে, কিন্তু আমরা অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় যেসব পদার্থ এর সঙ্গে খাই সেগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের যতটা ক্ষতি করে, ডিমের কোলেস্টেরল সে ক্ষতি করে না । ডিম রক্তে লোহিত কণিকা তৈরি করে । ডিম হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে
দেয় না । স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার
সম্ভাবনাও অনেকটাই কম করে ।
৫) হার্টের রোগীদের জন্য ডিম অনেক উপকারী । নিয়মিত ডিম খেলে হার্টের রক্ত চলাচল সঠিক মাত্রায় থাকে । এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন আশঙ্কা দূর করে । অনেকের নখ মরে যায় এবং নখ ভেঙে যায় । ডিমের সাদা অংশ মরা বা ভাঙা নখের ওপর প্রলেপ দিলে নখ সুস্থ হয়ে যায় । নখের মাঝে কালো দাগসহ আঙুলের চামড়া ওঠা দূর করে থাকে ডিম । অনেক মেয়েদের মাসিকের সময় পেটে অতিরিক্ত ব্যথা এবং রক্তপাত হয়ে থাকে । সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়া দেখা দিতে পারে । তাদের জন্য ডিম বেশ ভালো ফলাফল দেয় ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন
প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে
অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । সাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির
উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
Nice
উত্তরমুছুনডিম সকালে খাওয়ার অসুবিধা থাকলে বিকেলে বা সন্ধ্যায় খাওয়া যেতে পারে কিনা।
উত্তরমুছুনহ্যাঁ অবশ্যই খাওয়া যাবে।
উত্তরমুছুন