রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯

ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও বছর গুলি কি কি ?.


  ভারতের বুকে আজ পর্যন্ত অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে । তার কি সব হিসাব আমরা রাখি, প্রায় মানুষ রাখেন না । এখন আমি আপনাদের ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও বছর গুলি কথা জানাবো । যে বছর গুলী তার ঘটনার দ্বারা এখনও মানুষের মনে স্থায়ী হয়ে আছে, আমরা সেই ঘটনা গুলি মনে রাখব চিরদিন ।  এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ বছর ও ঘটনা গুলি জানতে আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন ।


খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ---  
১০০০ গাঙ্গেয় উপত্যকায় আর্যরা তাদের আধিপত্য বিস্তার করে ।
৫৬৬ নেপালের কপিলাবস্তুতে গৌতম বুদ্ধ জন্ম গ্রহণ করেন ।
৩২৬ আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করেছিলেন ।
৩২১ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন ।
২৭২ সম্রাট অশোক রাজত্ব শুরু করেন ।
৭৮ শকাব্দের সূচনা হয় ।


খ্রিস্টাব্দ ---
১ শতক কুশান সম্রাট কনিস্কের রাজত্ব করেন ।
৩২০ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গুপ্ত রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন । গুপ্তাব্দের সূচনা হয় ।
৩৬০ সমুদ্র গুপ্ত সমগ্র উত্তর ও দক্ষিণ ভারত জয় করেন ।
৬০৬ হর্ষবর্ধন সিংহাসন আরোহণ করেন ।
৬০৯ চালুক্য বংশের উত্থান হয়েছিল । 
৬৪৭ - হর্ষবর্ধনের মৃত্যু হয়েছিল ।
১০০১ গজনীর সুলতান মামুদ প্রথম বার ভারত আক্রমণ করেন ।
১১৯১ প্রথম তরাইনের যুদ্ধ হয়েছিল ।
১১৯২ দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধ হয়েছিল ।
১১৯৩ দিল্লি প্রথম ভারতের রাজধানী হয় ।
১২০৬ দিল্লীতে কুতুবউদ্দিন আইবক দাস বংশ প্রতিষ্ঠা করেন ।
১২২১ চেঙ্গিস খানের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা ভারত আক্রমণ করেন ।
১২৩১ কুতুব মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল ।
১২৩৬ দিল্লির সিংহাসনে প্রথম নারী সুলতানা রাজিয়া সিংহাসনে বসেন ।


১২৯০ দিল্লীতে খলজি বংশের প্রতিষ্ঠা করেন জালাল উদ্দিন খলজি ।
১৩২০ গিয়াস উদ্দিন তুঘলক দিল্লীতে তুঘলক বংশ প্রতিষ্ঠা করেন ।
১৩৩৩ - ইবন বতুতা ভারতে আসেন ।
১৩৪২ বাংলায় ইলিয়াসশাহী বঙ্গ প্রতিষ্ঠা হয় ।
১৩৯৮ তৈমুর লং ভারত আক্রমণ করেন ।
১৪৫১ দিল্লীতে লোদী বংশের স্থাপন হয় ।
১৪৫৯ গুরু নানক জন্ম গ্রহণ করেন ।
১৪৯০ বাহমনি সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পাঁচ টুকরো হয়ে যায় ।
১৫২৬ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ, বাবর ভারতে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন ।
১৫২৭ খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল ।
১৫২৯ ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল ।
১৫৩০ হুমায়ুনের সিংহাসন লাভ ।
১৫৩৯ শের শাহ হুমায়ূনকে পরাজিত করে দিল্লি দখল করেন ।
১৫৫৫ হুমায়ূন দিল্লির সিংহাসন উদ্ধার করেন ।
১৫৫৬ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ, আকবর হিমুকে পরাজিত করেন ।


১৫৭৬ হলদি ঘাটের যুদ্ধে রানা প্রতাপ আকবরের কাছে পরাজিত হন ।
১৫৯৭ রানা প্রতাপের মৃত্যু হয় ।
১৬০০ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয় ।
১৬০৫ আকবরের মৃত্যু, জাহাঙ্গীরের সিংহাসন লাভ ।
১৬২৭ শিবাজীর জন্ম হয়েছিল ।
১৬৩১ তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছিল ।
১৬৮০ শিবাজীর মৃত্যু হয় ।
১৭৩৯ পারশ্য সম্রাট নাদির শাহ দিল্লি জয় করেন ।
১৭৫৭ পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল ।
১৭৬১ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ ।
১৭৬৪ বক্সারের যুদ্ধ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার, ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করেন ।
১৭৬৭-৬৯ প্রথম ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ ।
১৭৮০-৮৪ দ্বিতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ ।
১৭৯০-৯২ তৃতীয় ইঙ্গ মারাঠা যুদ্ধ ।
১৮৩১ রণজিৎ সিংহের নেতৃতে শিখদের উত্থান ।
১৮৩৭ অশোকের শিলালিপি পাঠ উদ্ধার করেন জেমস প্রিন্সেপ ।
১৮৩৯ - রণজিৎ সিংহের মৃত্যু হয় ।
১৮৫৩ ভারতে প্রথম রেলপথ স্থাপন হয় । সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা চালু হয় ।


১৮৫৭ ভারতে সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছিল । কলকাতা, মুম্বাই, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ।
১৮৬৬ বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম হয় ।
১৮৭২ ব্রিটিশ আমলে ভারতে প্রথম জনগণনা হয় ।
১৯০৫ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন হয় ।
১৯০৬ ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ এর জন্ম । মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠা হয় ।
১৯০৮ মেদিনীপুর বোমা মামলা শুরু হয় ।
১৯১১ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয় ।
১৯১২ বিহার ও ওড়িশা দুটি আলাদা প্রদেশ হিসাবে স্বীকৃতি পায় ।
১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।
১৯১৫ গান্ধীজী আহমেদাবাদের কোচরাব গ্রামে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন, পরে আশ্রমটি সবরমতি নদীর তীরে স্থানান্তরিত করা হয় ।
১৯১৮ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি হয় ।
১৯ ১৯১৯ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, রাওলাট বিলের প্রতিবাদে গান্ধীজীর ২৪ ঘণ্টা অনশন । অ্যানি বেসানত প্রথম সর্ব ভারতীয় মহিলা সমিতির গঠন করেন ।
১৯২২ আইন অমান্য আন্দোলন হয় ।
১৯২৬ দিল্লিতে ক্যাবিনেট মিশন আসেন ।
১৯৩০ লবণ সত্যাগ্রহ, ডান্ডি অভিযান । চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করা হয়েছিল ।


১৯৩২ বেঙ্গল ক্রিমিনাল অ্যাক্ট বিধিবদ্ধ করা হয় ।
১৯৩৯ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।
১৯৪১ সুভাষচন্দ্র বসু ভারত ত্যাগ করেন ।
১৮৪৫ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি হয় ।
১৯৪৭ ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ।
১৯৪৮ প্রথম ভারত সরকার তৈরি হয় ।
  আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইতিহাস ও জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ইতিহাস ও জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, পুরাণ ও উপনিষদের অজানা কথা গুলি কি কি ?.


রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, পুরাণ ও উপনিষদের অজানা কথা গুলি কি কি ?

পৃথিবীর প্রধান প্রধান ধর্মমত হল – হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, জৈন ধর্ম, ইহুদি ধর্ম, ইসলাম ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম, শিখ ধর্ম ।


  বেদ হল পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ । বেদ ৪টি ভাগে বিভক্ত – ১) ঋক, ২) সাম, ৩) যজু ও ৪) অথর্ব । ঋক বেদ এদের মধ্যে প্রাচীন ।


  রামায়ণ মহাকাব্যে প্রায় ৪০ হাজার শ্লোক আছে । রামায়ণে সাতটি কাণ্ড আছে, সেগুলি হল – ১) আদি কাণ্ড, ২) অযোধ্যা কাণ্ড, ৩) অরণ্য কাণ্ড, ৪) কিষ্কিন্ধ্যা কাণ্ড, ৫) সুন্দর কাণ্ড, ৬) লঙ্কা কাণ্ড, ৭) উত্তরা কাণ্ড ।

   মহাভারতে আছে ১৮টি পর্ব । সেগুলি হল – ১) আদি পর্ব, ২) সভা পর্ব,৩) বন পর্ব, ৪) বিরাট পর্ব, ৫) উদযোগ পর্ব, ৬) ভীষ্ম পর্ব, ৭) দ্রোণ পর্ব, ৮) কর্ণ পর্ব, ৯) শল্য পর্ব, ১০) সৌপ্তিক পর্ব, ১১) স্ত্রী পর্ব, ১২) শান্তি পর্ব, ১৩) অনুশাসন পর্ব, ১৪) অশ্বমেধিক পর্ব, ১৫) আশ্রমবাসিক পর্ব, ১৬) মৌসল পর্ব, ১৭) মহাপ্রস্থানিক পর্ব, ১৮) স্বর্গারোহণ পর্ব ।

পুরাণ আছে ১৮টি সেগুলি হল – ১) ব্রহ্ম পুরাণ, ২) পদ্ম পুরাণ, ৩) বিষ্ণু পুরাণ, ৪) রাম পুরাণ, ৫) ভাগবত পুরাণ, ৬) নারদ পুরাণ, ৭) মার্কণ্ডেয় পুরাণ, ৮) অগ্নি পুরাণ, ৯) ভবিষ্য পুরাণ, ১০) ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, ১১) লিঙ্গ পুরাণ, ১২) স্কন্দ পুরাণ, ১৩) বামন পুরাণ, ১৪) কূর্ম পুরাণ, ১৫) মৎস্য পুরাণ, ১৬) গরুড় পুরাণ, ১৭) ব্রম্ভান্ড পুরাণ, ১৮) শিব পুরাণ ।


   নবরত্ন – ১) মুক্তা, ২) মাণিক্য, ৩) বৈদূর্য, ৪) গোমেদ, ৫) হীরক, ৬) বিদ্রুপ, ৭) পদ্মরাগ, ৮) মকরত, ৯) নীলকান্ত ।


  নবপত্রিকা – ১) কলা, ২) কচু, ৩) হলুদ, ৪) বেল, ৫) মানকচু, ৬) অশোক, ৭) জয়ন্তী, ৮) ডালিম গাছ, ৯) ধান ।


  অষ্টধাতু – ১) সোনা, ২) রুপা, ৩) তামা, ৪) লোহা, ৫) সীসা, ৬) রংগ, ৭) পারদ, ৮) যশদ ।


সপ্তরথী – ১) দ্রোণাচার্য, ২) কর্ণ, ৩) কৃপাচার্য, ৪) অশ্বত্থামা, ৫) শকুনি, ৬) দুর্যোধন, ৭) দুঃশাসন ।


  সপ্তর্ষি – ১) বশিষ্ঠ, ২) অত্রি, ৩) মরীচি, ৪) অঙ্গিরা, ৫) পুলস্থ, ৬) পুলহ, ৭) ক্রতু ।


  ষড়রিপু – ১) কাম, ২) ক্রোধ, ৩) লোভ, ৪) মোহ, ৫) মদ, ৬) মাৎসর্থ ।


  পঞ্চকন্যা – ১) অহল্যা, ২) দ্রোপদী , ৩) কুন্তী, ৪) তারা, ৫) মন্দোদরী ।


  পঞ্চনদ – ১) শতুদ্র, ২) বিপাশা, ৩) বিতস্তা, ৪) ইরাবতী, ৫) চন্দ্রভাগা ।


  পঞ্চশস্য – ১) ধান, ২) মুগ, ৩) মাষকলাই, ৪) যব, ৫) তিল ।


  পঞ্চাঙ্গুলি – বৃক্ক, ২) তর্জনী, ৩) মধ্যমা, ৪) অনামিকা, ৫) কনিষ্ঠা ।



  পঞ্চতীর্থ – ১) কুরুক্ষেত্র, ২) গয়া, ৩) গঙ্গা, ৪) প্রভাস, ৫) পুষ্কর ।

  পঞ্চগব্য – ১) দধি, ২) মধু, ৩) ঘৃত, ৪) গোময়, ৫) গোমূত্র ।


  সাতাশটি নক্ষত্রের নাম – ১) অশ্বিনী, ২) ভরণী, ৩) কৃত্তিকা, ৪) রোহিনী, ৫) মৃগশিরা, ৬) আদ্রা, ৭) পুনর্বসু, ৮) পুষ্যা, ৯) অশ্লেষা, ১০) মঘা, ১১) পূর্ব ফাল্গুনি, ১২) উত্তর ফাল্গুনি, ১৩) হস্তা, ১৪) চিত্রা, ১৫) স্বাতী, ১৬) বিশাখা, ১৭) অনুরাধা, ১৮) জ্যেষ্ঠা, ১৯) মূলা, ২০) পূর্বাষাঢ়া, ২১) উত্তরষাঢ়া, ২২) শ্রবণা, ২৩) ধনিষ্ঠা, ২৪) শতভিষা, ২৫) পূর্বভাদ্রপদ, ২৬) উত্তর ভাদ্রপদ, ২৭) রেবতী ।


  বারটি রাশি – ১) মেষ, ২) বৃষ, ৩) মিথুন, ৪) কর্কট, ৫) সিংহ, ৬) কন্যা, ৭) তুলা, ৮) বৃশ্চিক, ৯) ধনু, ১০) মকর, ১১) কুম্ভ, ১২) মীন ।


 দশদিক – ১) উত্তর, ২) দক্ষিণ, ৩) পূর্ব, ৪) পশ্চিম, ৫) ঈশান, ৬) অগ্নি, ৭) নৈর্ঋত, ৮) বায়ু, ৯) ঊর্ধ্ব, ১০) অধঃ ।


  দেবী দুর্গার দশটি অস্ত্রের নাম – ১) খরগ, ২) ত্রিশূল, ৩) চক্র, ৪) বাণ, ৫) শক্তি, ৬) ঢাল, ৭) খেটক, ৮) পূর্ণচাপ, ৯) পাশ, ১০) অঙ্কুশ ।


  দশাবতার – ১) মৎস্য, ২) কূর্ম, ৩) বরাহ, ৪) নৃসিংহ, ৫) বামন, ৬) পরশুরাম, ৭) রাম, ৮) বলরাম, ৯) বুদ্ধ, ১০) কল্কি ।


  পঞ্চপল্লব – ১) আম্র, ২) বট, ৩) পাকুড়, ৪) অশ্বত্থ, ৫) যজ্ঞডুমুর ।


  পঞ্চপাণ্ডব – ১) যুধিষ্ঠির, ২) ভীম, ৩) অর্জুন, ৪) নকুল, ৫) সহদেব ।


বিষ্ণুর শঙ্খের নাম পাঞ্চজন্য, চক্রের নাম সুদর্শন, ধনুকের নাম শাঙ্গ, তরবারির নাম নন্দক ।


  কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর ১০ জন জীবিত ছিলেন, তাঁরা হলেন – পাণ্ডবদের ৭ জন । যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেব, শ্রীকৃষ্ণ, সাত্যকি । কৌরবদের ৩ জন । কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ।


  উপনিষদ আছে ১০৮টি ।


  রামের পুত্রদের নাম – লব ও কুশ ।


  দশরথের কন্যার নাম শান্তা । দশরথ শান্তাকে লালন করার জন্য লোমপাথ কে দান করেন ।

  পঞ্চবর্ণ – ১) শ্বেত, ২) কৃষ্ণ, ৩) হরিদ্রা, ৪) পীত, ৫) লোহিত ।


 ভীষ্ম ও দ্রোণাচার্য কে ছিলেন – ভীষ্ম ছিলেন কৌরব ও পাণ্ডবদের পিতামহ, দ্রোণাচার্য ছিলেন তাঁদের অস্ত্রগুরু ।

  রাজা দশরথের তিন রানি ও চার পুত্রের নাম – কৌশল্যা-রামচন্দ্র, কৈকেয়ী-ভরত, সুমিত্রা-লক্ষণ ও শত্রুঘ্ন ।

  মহাভারত ও রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন যথাক্রমে – কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস ওঝা ।


     আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।



অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

Myntra

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯

মাথার বুদ্ধির ধার বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় গুলি কি কি ?


   বুদ্ধি হল নতুন সমস্যা ও অবস্থার সাথে সংগতি বিধানের সাধারণ মানসিক শক্তি - স্টার্ন  তীক্ষ্ণ ধারালো বুদ্ধি সব মানুষ চায় । পরিবেশ, ইচ্ছা ও শেখার উপর নির্ভর করে আপনার বুদ্ধির ধার কতটা হবে । বুদ্ধি আসলে হল পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার ক্ষমতা । আমাদের মস্তিষ্ক হল বুদ্ধির আধার । মস্তিষ্কে সেরিব্রাল কর্টেক্স নামে এক ধুসর টুপির মধ্যে নানা অংশ রয়েছে । সেই অংশগুলি আমাদের মেধা, বোধ, বুদ্ধি ও চেতনার মূল উৎস । বুদ্ধির খেলা, বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান এগুলির সাহায্যে বুদ্ধির ধার কিছুটা বাড়ানো যায় । সাধারণ ভাবে ১৫-১৬ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের বুদ্ধির বিকাশ হয় । এখন আমি আপনাদের কিভাবে বিভিন্ন উপায়ে আপনার বুদ্ধির ধার বাড়াবেন তার বিভিন্ন উপায় জানাবো । উপায় গুলি জানতে লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন ।


 ১) খাদ্য আমাদের এমন খাদ্য গ্রহণ করা দরকার যা, আমাদের মাথার বুদ্ধির ধার বাড়তে সাহায্য করে । খাবার গুলির মধ্যে রয়েছে ওমেগা, বিভিন্ন মাছ, আখরোট, প্রভৃতি । যে সব খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে সে সব খাবার খাবেন । আর ফলে আমাদের মাথায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ে । কালোজামের মধ্যে স্মৃতি, শিক্ষা ও বুঝতে পারার ক্ষমতা থাকে । ফুলকপিতে পাওয়া যায় মস্তিষ্কে নতুন কোশ গঠন ও চালাক হওয়ার পুষ্টি উপাদান । কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন গমের রুটি, চাল, ওটস, আনাজ, মসুরের ডালডিম ইত্যাদি খাবার মাথা ও শরীরের ক্ষমতা জোগাতে সাহায্য করে । জাঙ্কফুড খাবেন না । ধূমপান ও মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এগুলি এখুনি ত্যাগ করুন ।


২) ঘুম ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড দরকারি । সঠিক ভাবে ঘুমানোর বিভিন্ন নিয়ম কি ? আমরা পরে এক পোষ্টে আপনাদের জানাবো । আপনি যদি আপনার মাথার বুদ্ধি বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় আপনার ঘুমের প্রয়োজন । যদি রাতে আপনার ঠিকমত ঘুম না হয় তাহলে তার প্রভাব আপনার মাথার উপর পড়ে । পরিমাণ মত ঘুম না হলে আপনার মাথার বিভিন্ন অংশে কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে । একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের কম করে ৭-৮ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমানো দরকার ।

৩) শরীরচর্চা শরীর চর্চা করলে আমদের শরীরে অক্সিজেনের চলাচল বাড়ে । তারফলে আমাদের মাথা ভালোভাবে কাজ করার ক্ষমতা পায় । শরীর থেকে নানা অপ্রয়োজনীয় বস্তু বাইরে বের হয়ে যায় । আমাদের মাথা সুরক্ষিত ও মনের অবস্থা ভাল থাকে । শরীর চর্চার ফলে আমাদের শরীরে স্নায়ুর ক্ষমতা সক্রিয় হয় । বেশি কিছু না করতে পারেন তবে, প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটুন, ২০-২৫ মিনিট সাঁতার কাটুন ।

৪) ধ্যান করা – আপনি যদি ধ্যান করেন তাহলে আপনার মন অনেকটা শান্ত হয়ে যাবে । ধ্যান আপনার চিন্তা কম করার সাথে সাথে আপনার মাথার বুদ্ধির ধার বাড়াতে সাহায্য করে । আপনি প্রথমে একটি নির্জন স্থান নির্বাচন করে ৩০ মিনিট ধ্যান করুন । তখন আপনার মনের মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি হবে । আপনি তখন ভাববেন পৃথিবীর সব কিছু কত সুন্দর ।


৫) জল আপনি জানেন যে আমাদের শরীরের ৭০% জল দিয়ে তৈরি । সঠিক পরিমাণে জল পান করলে মাথার বুদ্ধি ঠিকমত কাজ করবে । জলের বদলে অন্য পানীয় যেমন ডাবের জল, ফলের রস বা শাকসবজি থেকে পাওয়া রস খেতে পারেন । বেশি পরিমাণে বিভিন্ন কোম্পানির পানীয় পান না করাই ভাল । পরিষ্কার, শুদ্ধ, জীবাণুমুক্ত জল পান করুন ।

৬) চিন্তা করা – চিন্তা করা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন । করণ অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে আপনার মস্তিষ্কে ক্ষতি হতে পারে । এরফলে আপনার কাজে ভুল হওয়া, বুদ্ধি কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে । সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন । বন্ধুদের বা বাড়ির লোকেদের সাথে সময় কাটান, একা একা থাকবেন না । বই পড়া, গান শোনা, খেলাধুলা করা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী ।

৭) নতুন শেখা – নতুন কিছু শেখা বা নতুন কিছু করা মাথার পক্ষে আনন্দের বিষয় । যখন আপনি নতুন কিছু শিখবেন বা করবেন তখন মস্তিষ্ক আলাদা পথে চলার একটা আনন্দ লাভ করে, আপনার মস্তিষ্ক মজবুত হয় । একটানা কোন কাজ করবেন না । কাজের মাঝে একটু ফাঁকা সময় বার করে নেবেন । আপনি প্রতিদিনের কাজের বদলে আপনার শখের কাজ করতে পারেন । সপ্তাহে একদিন বাগানে কাজ করা বা রান্নাতে সাহায্য করা ইত্যাদি । কোন যন্ত্র বাজাতে ভাল লাগলে বাজাতে পারেন ।


  আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।