সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০

শতবর্ষ পর পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছে কোন কোন মহামারী ?.


 প্রতি শত বছর পর পরই মহামারিতে আক্রান্ত হচ্ছে বিশ্ববাসী ইতিহাসের এ যেন এক অলিখিত নিয়ম কোনো সংক্রামক রোগ যখন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর মাঝে খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়ে পড়ে তখন বলা হয় রোগটিকে মহামারীএসব মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে কোটি কোটি মানুষের এখন গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে গোটা বিশ্বের মানুষ গৃহ বন্দী, প্রতি ১০০ বছর অন্তর অন্তর বিস্ময়কর ভাবে ফিরে আসছে নানা নামের মহামারী নানা কারণে একটি ছোট অঞ্চলে প্রাদুর্ভাব ঘটা রোগ যখন ছড়িয়ে যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, তখন  মহামারী রূপ নেয়, তাকে বলা হয় প্যান্ডেমিক বা বিশ্বমারী সেরকম কিছু মহামারির কথা এখন আমি আপনাদের বলবো


 ১৭২০ সালে শুর হয়েছিল প্লেগ অফ মার্সেই ১৩৪৭ সালে প্রথম বড় বুবোনিক প্লেগ সংক্রমণ ঘটে যেটিকে ব্ল্যাক ডেথ বলে আখ্যায়িত করা হয় বুবোনিক প্লেগ ইউরোপে কয়েক শতাব্দীকাল ধরে টিকে ছিল কিন্তু, ১৭২০ সালে সর্বশেষ যে বুবোনিক প্লেগের সংক্রমণ ঘটে সেটি বৃহৎ আকারের মহামারী ছিলপৃথিবী জুড়ে একলক্ষ মানুষের এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর শুধু মার্সেইতেই মৃত্যু হয়েছিল ৫০ হাজারের বেশি মানুষের এই রোগের উৎস ছিল ফ্রান্সের মার্সেই শহর এই রোগটিকে আরও একটি নাম দেওয়া হয়েছিল ব্ল্যাক ডেথ ফ্রান্সে ৪৫ বছরের জন্য নাকি কমে গিয়েছিল জন্মহার


 
১৮১৭ সালে শুরু হয় কলেরা
থাইল্যান্ডে কলেরা মহামারী প্রথম ধরা পড়েছিল ১৮২০ সালে, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন সহ এশিয়ার দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল ১৮২০ সালে সেই কলেরা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করে এশিয়াটিক কলেরা সবার আগে শুরু হয় ব্রিটিশ সেনার মধ্যে তারপর এই রোগ পৃথিবীর অর্ধেক অংশে ছড়িয়ে পড়ে কলেরা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মিছিল চলে, মৃত্যুর মিছিল চলে চীন, রাশিয়া এবং ভারতে গোটা বিশ্বে প্রায় কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শুধু ব্যাঙ্ককেই নাকি মারা গিয়েছিলেন ৩০ হাজার মানুষ

১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু হল আরেক বড় রকমের মহামারি স্পেনে শুরু হওয়া এই রোগ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ১৯২০ অবধি এটি ৫০ কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়েছিল — যা সেই সময়ে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এটিকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মহামারী হিসাবে উল্লেখ করা হয় মহামারীর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এবং যার কারণে রোগটির উৎস ভূমি সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে তবে ফ্রান্সের এটেপলসে যুক্তরাজ্যের প্রধান সেনা মঞ্চায়ন ও হাসপাতালের শিবিরটি গবেষকরা তাত্ত্বিকভাবে মনে করেন স্প্যানিশ ফ্লুর কেন্দ্রস্থল ক্রমাগত স্প্যানিশ ফ্লু জিনগত ভাবে পরিবর্তন হতো যার ফলে ভাইরাসটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছিল অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র বিশ্বের মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ে এই ইনফ্লুয়েঞ্জায়, মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকে কত জন মারা গিয়েছিল সেটির আনুমানিক হিসাবে পরিমাণের ভিন্নতা রয়েছে স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছর ধরে এই ফ্লু তে মৃত্যু হয় আনুমানিক ১.৭ থেকে ৫ কোটি বা কোন কোন হিসাবে ১০ কোটির মত  এই রোগে বিশ্বের অনেক জায়গায় মানুষ মারা গিয়েছে প্রায় ১.২-১.৭ কোটি মানুষ শুধু ভারতে মারা গিয়েছিল এ মৃত্যু মিছিলটি দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিকনামে পরিচিত স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীতে মৃত্যুর হার তরুণ-যুবকদের মধ্যেই বেশি ছিল ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল ।


 এরপর 2020 সালে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড ১৯ যার উৎস চীনের উহান থেকে চীন থেকে হওয়া এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসটি ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । দুনিয়া জুড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা, মারণ করোনা ভাইরাস, যার জেরে এখনও পর্যন্ত (২৭/০৪/২০২০) ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এর ভয়াল থাবা দেখতে শুরু করেছে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে দেশজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার । বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ । স্থগিত করা হয়েছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান । খেলাধুলার অনুষ্ঠান বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে জনসমাগম স্থল এখন পুরো ফাঁকা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের সারিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে হল - ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের নাম উল্লেখ করা যায়

 হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১০০ বছর অন্তর এমন মহামারী ছড়িয়ে পড়ে দুনিয়ায় দেখে মনে হয় ইতিহাস যেন প্রতি ১০০ বছর পরে নিজেকে পুনরাবৃত্তি করছেপ্রতি ১০০ বছরে এমন মহামারী কেন হয় তার বৈজ্ঞানিক কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না । এ যেন এক অলিখিত নিয়ম


 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । জানা অজানা ও সময় বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা ও সময় লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার ইমেল দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করুন ।  

আমাদের আরও পোস্ট -


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০

সর্দি ভাল করার বিভিন্ন উপায় কি কি ?.


এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যার জীবনে কখনো সর্দি হয়নি । সর্দি হল আমাদের অতি পরিচিত একটি অসুখ । মানুষ যেসকল রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয় সর্দির ভাইরাস এর মধ্যে প্রথম  ৮০'র দশকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয় যে মোট সাতটি গোত্রের ভাইরাসের কারণে সর্দি জ্বর হয়ে থাকে  আচমকা তাপমাত্রার হেরফের হলেই সর্দি-কাশির একটা সমস্যায় ভুগতে আরম্ভ করেন অনেকেই ৷ ঋতু পরিবর্তনের সময়েই বেশিরভাগ মানুষ সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন  শীতের তীব্রতায় আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে মানব শরীরে বিভিন্ন ধরণের ঠাণ্ডা জনিত অসুখ সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে  বিশেষ করে যাদের রয়েছে এলার্জির সমস্যা, তারা বিপদে পড়েন সবচেয়ে বেশি । শীতকাল আসলে এর প্রকোপ অনেক বৃদ্ধি পায় 


 গরমে ঘামার পর সেই ঘাম শরীরেই শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে । আর শরীরে বসে যাওয়া এই ঠাণ্ডা থেকেই সর্দির উৎপত্তি । আমাদের শরীর যখন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মিউকাস তৈরি করে, তখনই বাড়তি মিউকাস নাকের দিক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । গলা ব্যথা, নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বরক্ষেত্র বিশেষে মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, খাবারে রুচি কমে যাওয়া ইত্যাদি হয়ে থাকে  আমরা কিছু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে অতি সহজে সর্দি থেকে রক্ষা পেতে পারি 
১) দুধ আর কাঁচা হলুদ বেশ করে ফুটিয়ে পান করুন, শরীরের ভিতরের সব ইনফেকশন কমাতে তা কার্যকর ৷ আদা আর মধু দিয়ে চা খেতে পারেন  সর্দির সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকা বা উষ্ণ পোশাক পরে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়  দিনে দু’বার স্টিম নেওয়ার পাশাপাশি অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খেলে সাধারণত এই সমস্যা কমে যায়  ঠাণ্ডা বা সর্দি জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই সর্দি জ্বর আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি অন্যের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারেন 
২) এই সময় হাঁচি, কাশি এবং ঘাম হতে থাকে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে বেশি  আর এতে করে শরীর কিছুটা জল শূন্য হয়ে যায় ।  ডাক্তাররা তখন প্রচুর পানীয় পানের সুপারিশ করেন, গরম জলে লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণকিছু পরিমাণ চা বা কফি খেতে পারেন  শরীরে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে জল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তাও পূরণ হবে  লেবু এবং মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয় তৈরি করে পান করলে গলা ব্যথা দ্রুত উপশম হতে পারে  তবে, মাত্রাতিরিক্ত কখনোই নয়  সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে অবস্থান করুন 
৩) ভিটামিন সি ঠাণ্ডা জনিত রোগ উপশমে অনেক বেশি কার্যকর  সর্দির থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি'র ভূমিকা অনেক আগে থেকেই প্রমাণিত হয়েছে  ঠাণ্ডা পরিবেশে বসবাসকারী মানুষ উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি গ্রহণ করে সর্দি জ্বর বা ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে পারেন বলে প্রমাণিত হয়েছে  সুতরাং সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই ভালো  আবার ভিটামিন ডির অভাব হয় যাদের , তাদের সর্দি-কাশিতে কাবু করে বেশি  অনেক সময় শুধু খাবার থেকে যথেষ্ট ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না । তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত  সপ্তাহে দুই দিন কেউ যদি অন্তত ৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যালোক গায়ে মাখে, তবে তা যথেষ্ট  সূর্যের আলো বা অন্য কোনো উৎসের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণও শরীরকে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে 
৪) ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন । তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন কিংবা স্যুপের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন  এক কাপ আদার রসে মধু মিশিয়ে খান । সঙ্গে সঙ্গেই ফল পাবেন  এক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে তিন দিন দুই থেকে তিন বার করে খান  স্মার্ট ফোনের পর্দায় থাকা জীবাণু ত্বকের রোগসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ হতে পারে । এসব জীবাণু থেকে সর্দি-কাশি হতে পারে । তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন 
৫) তুলসী গাছের পাতা ট্যাবলেট কিংবা ক্যাপসুলের চেয়ে বেশি কার্যকর  ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে ফোটানো জল এক কাপ করে রোজ খান  আঙ্গুল দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ খুঁটবেন না  ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । চমৎকার একটি ঘুম শরীরের রোগপ্রতিরোধ কোষ গুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে  কাজেই ঠাণ্ডা বা সর্দির সময় বিশ্রাম নিলে বা বেশি ঘুমলে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব  আবার শুধু বিছানায় শুয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি বা মৃদু ব্যায়াম করুন  সপ্তাহে তিনবার মুক্ত বাতাসে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা নাচ করতে পারেন । ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তোয়ালে বা গৃহস্থালির দ্রব্যাদি শেয়ার না করা ভাল । ঠাণ্ডা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর নিজের চোখ বা নাক স্পর্শ না করা । এতে হাত থেকে সহজেই ভাইরাস যেতে পারে । সেখান থেকে মুখে বা শরীরে ভাইরাস যাওয়া অসম্ভব কিছু নয় 
৬) শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে ভাইরাসের বৃদ্ধি দ্রুত হয় । তাই শরীরে জিংকের ঘাটতি হতে দেবেন না । চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জিংক ট্যাবলেট খেতে পারেন  প্রতিদিন আমাদের শরীরের জন্য ১৫ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন হয়  স্বল্প চর্বিযুক্ত মুরগির স্যুপ খান  এই স্যুপে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ  এটি উপসর্গ নিরসনে সাহায্য করে । অ্যালকোহল পরিহার করুন । অনেকেই ভাবতে পারেন, অ্যালকোহল পান করলে ঠাণ্ডার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়, কিন্তু সেটা ঠিক নয় ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Flipkart.com

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০

ভিনগ্রহী প্রাণী বা এলিয়েন বলে কিছু কি আছে ? .


 আমাদের মহাবিশ্বে রয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি বা তারামণ্ডল আমাদের গ্যালাক্সিতেই রয়েছে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র যার মধ্যে আমাদের সূর্য একটি মিল্কিওয়ে ছাড়াও মহাকাশে আবিষ্কৃত হয়েছে শতকোটি তারামণ্ডল । বহু দিন আগে থেকেই পৃথিবীর মানুষের বিশ্বাস যে, পৃথিবীর বাইরেও মহাকাশের অন্যত্র প্রাণ রয়েছে  মহাকাশে আবিষ্কৃত হয়েছে শতকোটি তারামণ্ডল ও সেখানে যে পৃথিবী সদৃশ নিষ্ক্রিয় বস্তু আছে, তা শুধু ধারণা নয়, অঙ্ক কষে বলে দেয়া যায় তাই বিজ্ঞানীরা যৌক্তিকভাবেই ভাবছেন যে, পৃথিবীর বাইরের অন্যান্য যেকোনো স্থানেই পৃথিবীর মতো প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে মনে মনে একটা প্রশ্ন সকলেরই জাগে তা হচ্ছে সত্যিই কি এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে ?

 ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন (Aliens) বলতে পৃথিবী ভিন্ন মহাকাশের অন্য কোনো স্থানের প্রাণকে বোঝানো হয় অনেকে ‘ভিনগ্রহের প্রাণী’ বলতে মানুষের আকৃতির প্রাণী বুঝে থাকলেও বস্তুত যেকোনো ধরনের প্রাণী এই তালিকায় ধরা হতে পারেএ ধারণায় পৃথিবী-ভিন্ন অন্য জগতের একটা সূক্ষ্ম ব্যাকটেরিয়াকে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন বলা হয়   বাংলায় পৃথিবী-ভিন্ন অন্য গ্রহের প্রাণকে একত্রে ভিনগ্রহের প্রাণী বলা হয়েছে । তবে গ্রহ ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রাণ এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ।
 এ বিশাল মহাবিশ্বে সূর্যের মত রয়েছে অসংখ্য নক্ষত্র তাদের কোনটিতে আমাদের সৌর ব্যবস্থার মত ব্যবস্থা থাকতেই পারে যেখানে থাকতে পারে কোন প্রাণী আমাদের গ্যালাক্সিতেই রয়েছে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র  আছে । অনেকেই দাবি করেন ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে প্রায় নিয়মিত যাওয়া-আসা করে এবং তাদের দেখাও পাওয়া গেছেঐতিহাসিকরা উৎসে খোঁজ করছেন ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব আর বিজ্ঞানীরা খোঁজ করছেন পৃথিবীর বাইরের গ্রহ কিংবা উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব
 আমাদের সৌরজগতের মঙ্গল গ্রহের অবস্থান, সূর্যের দিক থেকে পৃথিবীর ঠিক পরেই । একারণে এই গ্রহে প্রাণের বিকাশ ঘটার মতো উপযুক্ত পরিবেশ থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের দৃঢ় বিশ্বাস । এখনও মানুষ বিজ্ঞানসম্মতভাবে কোনো ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধান পেয়েছে বলে জানা যায়নি, আবার এরকম দাবি যে একেবারেই নেই এমনটাও সঠিক নয় । তবে দেখা যাক আর নাই যাক আধুনিক বিজ্ঞানের সূত্রমতে ভিনগ্রহের প্রাণীদের বিবর্তন সম্পর্কে একটা ধারণা ঠিকই  করা যায় । বিজ্ঞানীরা ভিনগ্রহের প্রাণীদের বুদ্ধিমান প্রাণী ধরে নিয়ে বলেন যে, এরকম প্রাণীরা যদি খুব ছোট হয়, তবে কখনোই বুদ্ধিমান হতে পারবে না। কারণ বুদ্ধিমান হবার জন্য যতটুকু মস্তিষ্ক দরকার তা ধারণ করার মতো দেহ তাদের নেই ।
 জীবনযাত্রায় অন্যতম একটি উপাদান পোশাক বিজ্ঞানের কাছে ভিনগ্রহের প্রাণীদের পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই যারা, ভিনগ্রহের প্রাণী দেখেছেন বলে দাবি করেন, তাদের বক্তব্য হল ভিনগ্রহের এসব বুদ্ধিমান প্রাণীরা পোশাক হিসেবে কিছুই পরে না যেহেতু তারা অতি বুদ্ধিমান, তাই পোশাক-পরিচ্ছদের বাহুল্য ত্যাগ করতে শিখে নিয়েছে তবে তারা মাথায় হুড পরিধান করে থাকে বলে অনেকের দাবি কারো দাবি, তারা লম্বা লম্বা জোব্বা পরে থাকে ভিন গ্রহীদের অস্তিত্বই যেখানে অনিশ্চয়তায় ভরা, নিঃসন্দেহাতীত ভাবে এ অবধি প্রমাণিত নয়, অনুমান নির্ভর কিছু তত্ত্বকথা
 'সুপার আর্থ' তেমনই আর একটি গ্রহ। নাসা নয়, টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর দৌলতে ২০১৭-য় এই গ্রহটির অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানতে পারি । নাম কেন সুপার আর্থ ? বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি পৃথিবীরই উন্নত সংস্করণ। যার পোশাকি নাম অবশ্য K2-18b আমাদের সৌরজগতের বাইরে, পৃথিবী থেকে ১১১ আলোকবর্ষ দূরে, অজানা এক বামন নক্ষত্রকে ঘিরে নিজস্ব কক্ষপথে পাক খাচ্ছে সুপার আর্থ । বিজ্ঞানীদের দাবি, এখানেও প্রাণ আছে । বিজ্ঞানীদের আশান্বিত করে তোলে জল সদৃশ তরলের উপস্থিতি । টরেন্টোর বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটা জলই। আর জল মানেই সৃষ্টির সম্ভাবনা, প্রাণের উল্লাস ।
 এদিকে, পৃথিবীর নিকটবর্তী মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে বহুদিন ধরে বৈজ্ঞানিক মহলে নানা জল্পনা রয়েছে ৷ বিজ্ঞানীদের একাংশ বিশ্বাস করেন লালগ্রহএকসময় পৃথিবীর মতোই সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা ছিল ৷ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কিউরিওসিটি রোভারের তোলা ছবি বিজ্ঞানীদের সেই বিশ্বাসকে আরও উস্কে দেয় । ছবি বিশ্লেষণ করে কেউ কেউ দাবি করেন, ওই ছবিতেই মঙ্গলে গাছ ও মাথার খুলির সন্ধান মিলেছে ।
 নাসার প্রকাশিত এক ভিডিয়োয় ছবিটি প্রকাশ করে লেখা রয়েছে, বস্তুটি একটি মঙ্গোলীয় গাছের প্রস্তরীভূত অংশ হতে পারে ৷ নাসার দাবি অনুযায়ী ছবিটি তোলা ২০১৭-র মার্চে ৷ এই আলোকচিত্রটি নিয়েপ্যারানরমাল ক্রুসিবলতাদের ইউটিউব চ্যানেলে একটু বেড়েই খেলেছে। তারা জানায়, গাছের মতো দেখতে বস্তুটি লম্বায় ৩ ফুট । মঙ্গলে একসময় যে প্রাণী ও উদ্ভিদের অস্তিত্ব ছিল, তা মেনে নেওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে তারা সওয়াল করতে থাকে ৷

 প্যারানরমাল ক্রুসিবলের এই ধারণা সমর্থনে এগিয়ে আসেন আর এক বিশ্বখ্যাত মঙ্গলগ্রহ গবেষক স্কট সি ওয়ার্নিং । তাঁরও দাবি, একসময় পৃথিবীর মতোই প্রাণের অস্তিত্ব ছিল মঙ্গলে৷ কোনও এক সৌর বিস্ফোরণে ওই গ্রহে পরবর্তী সময়ে প্রাণের অস্তিত্ব লোপ পেয়েছে । ওই গবেষক আরও জানান, 'ছবিতে শুধু গাছ নয়, একটি ভিনগ্রহী প্রাণীর মাথার খুলিও দেখা গিয়েছে ৷ মানুষের মাথার খুলির মতোই যার গড়ন ৷ তাঁর কথায়, ওই খুলিটি প্রমাণ করে একসময় মঙ্গলে বুদ্ধিমান প্রাণী বসবাস করত ৷ তবে নাসার মনে হয়েছে, এসব বাজে বকওয়াস । তাই খারিজ হয়ে গিয়েছে এসব তত্ত্ব। নাসার মতে, বস্তুগুলি পাথার ছাড়া আর কিছু নয়  
 বহুদিন আগে থেকেই পৃথিবীর মানুষের বিশ্বাস যে, পৃথিবীর বাইরেও মহাকাশের অন্যত্র প্রাণ রয়েছে । মহাবিশ্ব অনেক বড় হবার কারণেই স্টিফেন হকিং এবং কার্ল সেগান এর মতে পৃথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা বেশি । সত্যি যদি মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকতো তাহলে এতদিনে তাদের দেখা পাওয়ার কথা । যদি এলিয়েন থাকে তাহলে আমরা তাদের দেখতে পাই না কেন? ওরা পৃথিবীতে আসে না কেন? তবে আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী এলিয়েনের অস্তিত্বের পাকা-পোক্ত কোনো প্রমাণ পায় নি ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে এখনও বিজ্ঞান কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও অনেকেই পৃথিবীতে তাদেরকে দেখার দাবি করেছেন এবং পৃথিবীর একটা বৃহত্তর অংশের মানুষ বিশ্বাস করে যে, ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে । অনেকেই দাবি করেন ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে প্রায় নিয়মিত যাওয়া-আসা করে এবং তাদের দেখাও পাওয়া গেছে, তাই এটা অসম্ভব নয় যে, পৃথিবীর বাসিন্দারা ভিনগ্রহের প্রাণী দেখেছেন । জরিপে দেখা গেছে এই বিশ্বাস পুরুষের (২২%) তুলনায় নারীর কিছুটা কম (১৭%) । ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এই বিশ্বাস বেশি ।
 অনেকে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের প্রমাণের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যাওয়া UFO(=Un-identified Flying Object=অচেনা উড়ন্ত বস্তু) ’র কথা বলেন । তবে বেশিরভাগ UFO কেই পৃথিবী সৃষ্ট আকাশযান অথবা কোন মহাজাগতিক বস্তু বা দেখার ভুল হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় । পৃথিবীতে যদি তাদের দেখা না পাওয়া যায় তাহলে বুঝে নিতে হয় মহাকাশযান তৈরি করে পৃথিবীতে আসার ব্যাপারে তাদের গরজ নেই । আবার হয়তো ঐ বুদ্ধিমান প্রাণীর সভ্যতা খুব ক্ষণস্থায়ী; তাদের জন্ম হয় এবং কিছু বোঝার আগেই তারা নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করে ফেলে ।
 এখনও পর্যন্ত মানুষ বিজ্ঞানসম্মতভাবে কোনো ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধান পেয়েছে বলে জানা যায়নি, আবার এরকম দাবি যে একেবারেই নেই এমনটাও সঠিক নয় ।  ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানে পৃথিবীতে এবং পৃথিবী থেকে পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন অভিযান । সৌরজগতের শনি গ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ টাইটানে দীর্ঘদিন থেকে প্রাণের সন্ধান পাবার আশায় সন্ধান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা । নাসার বিজ্ঞানীরা ক্যাসিনির পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে জানান যে, শনির অনেকগুলো উপগ্রহের মধ্যে একমাত্র টাইটানেই প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ  

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
আরো পড়ুন - 

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

পৃথিবীতে আয়তনে বড় ১০ টি দেশের নাম কি কি ?.


আলজেরিয়া -১০
উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত এই রাষ্ট্রএর আয়তন হচ্ছে  ২,৩৮১,৭৪১ বর্গকিলোমিটার । যা পৃথিবীর আয়তনের ১.৬% । এটি আফ্রিকার বৃহত্তম এবং বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র । দেশটির নয়-দশমাংশ জুড়ে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত । ভূমধ্যসাগরের তীরে উপকূলীয় সমভূমি রয়েছে । আলজেরিয়ার প্রায় সব মানুষ দেশটির উত্তরাঞ্চলে উপকূলের কাছে বাস করে । আলজেরিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ । যা আয়তনের দিক থেকে দশম । আলজেরিয়ার বেশির ভাগ লোক আরব, বার্বার কিংবা এই দুইয়ের মিশ্রণ । ১৯৯০ সালে আরবি ভাষাকে সরকারীভাবে আলজেরিয়ার জাতীয় ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।

 কাজাকিস্তান-৯
এশিয়ার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র । এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র । কাজাখ একটি তুর্কি শব্দ, এর অর্থ বিস্ময় । কাজাকিস্তানের অর্থ হল বিস্ময়ের ভূমি । আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কাজাকিস্তান । এটি ইউরোপের পার্শ্ববর্তী একটি রাষ্ট্র । যার আয়তন হচ্ছে ২,৭২,৪৯০০ বর্গকিলোমিটার । যা পৃথিবীর আয়তনের ১.৮% । কাজাখ ভাষা কাজাকিস্তানের সরকারি ভাষা । কাজাখ নামের তুর্কীয় জাতি এখানকার প্রধান জনগোষ্ঠী । ১৯৯১ সালে দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে । স্বাধীনতার পর থেকে দেশটিতে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা বিদ্যমান । ৭০ ভাগ মুসলিম হওয়ায় এখানে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে দেখা যায় ।

আর্জেন্টিনা -৮
 ব্রাজিল এর পর ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনা । দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের প্রায় পুরোটা জুড়ে অবস্থিত । যার আয়তন প্রায় ২,৭৮,০৪০০ বর্গকিলোমিটার । যা কিনা পৃথিবীর আয়তনের ২% । আর্জেন্টিনায় ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু বিচিত্র । উত্তরের নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে দক্ষিণের মেরু-উপদেশীয় অঞ্চল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার বিস্তার । দেশটির রাজধানী বুয়েনোস আইরেস । বুয়েনোস আইরেস দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক শহরগুলির একটি । বৃহত্তর বুয়েনোস আইরেস এলাকাতে আর্জেন্টিনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগণ বাস করে ।

ভারত -৭
ভারত এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ । ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র । আয়তনে এটি প্রায়  ৩,২৮৭,২৬৩ বর্গকিলোমিটার । যা পৃথিবীর আয়তনের ২.৩% । অতিমাত্রায় দারিদ্র্য , নিরক্ষরতা ও অপুষ্টি এখনও ভারতের অন্যতম প্রধান সমস্যা । আর্থিক বৃদ্ধি হারের বিচারে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় । ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে । ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় । ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি । তিনি পরোক্ষভাবে একটি নির্বাচক মণ্ডলী কর্তৃক পাঁচ বছরের সময়কালের ব্যবধানে নির্বাচিত হন । অন্যদিকে ভারতের সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী । ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক । সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারত একটি বহু ধর্মীয়, বহু ভাষিক, ও বহুজাতিক রাষ্ট্র । ভারতের আইনবিভাগ হল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ । এটি গঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নামক একটি উচ্চ কক্ষ ও লোকসভা । ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র । ২০১৮ সালে দেশটির আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি । দাবা খেলার উদ্ভবও হয়েছিল ভারতে । এছাড়াও দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেলা হল কাবাডি, খো খো, ও গুলি ডান্ডা ইত্যাদি ।

অস্ট্রেলিয়া -৬
অস্ট্রেলিয়া একটি দ্বীপ-মহাদেশ । এটি এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত । অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ হলেও ভিন্ন ভাবে এটি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত । নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এর অন্তর্ভুক্তি । আর দেশ অনুসারে অস্ট্রেলিয়ার আয়তন ৭৬,১৭,৯৩০ বর্গকিলোমিটার । যা পৃথিবীর আয়তনের ৫.২% । অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা । সিডনী বৃহত্তম শহর । দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত । অস্ট্রেলিয়া ৬টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত - নিউ সাউথ ওয়েল্স, কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, ভিক্টোরিয়া, ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া । প্রতি ৩ বছর সাধারণ নির্বচন অনুষ্ঠিত হয় । দেশটির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সুসম্পর্ক রয়েছে ।

ব্রাজিল -৫
পাঁচ নম্বরে আছে ফুটবলের দেশ ব্রাজিল । এর আয়তন ৮,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার । দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ । যা পৃথিবীর আয়তনের ৫.৭% । এই দেশটিতে বসবাস কৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি । মোট জনসংখ্যার ৮৩.৭৫% ভাগ শহরাঞ্চলে বসবাস করে । ১৮২২ সালে ব্রাজিল, পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে । ১৮২৪ সালে ব্রাজিলের প্রথম সংবিধান পাশ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থা চলে আসছে, যা বর্তমানে কংগ্রেস নামে পরিচিত । ব্রাজিল জীববৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি দেশ হিসেবে বিবেচিত হয় । ব্রাজিলে বিভিন্ন প্রকারের প্রকৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য বিদ্যমান আছে । পর্তুগিজ এখানকার প্রধান ভাষা এবং রোমান ক্যাথলিক প্রধান ধর্ম । ব্রাজিলে বেশকিছু ক্রীড়ার উদ্ভব ঘটেছে, সেগুলি হল  - বীচ ভলিবল, ফুটসাল এবং ফুটভলি অন্যতম । কার্নিভাল ও সাম্বা নৃত্য বহির্বিশ্বের কাছে ব্রাজিলের সংস্কৃতির সবচেয়ে পরিচিত অংশগুলোর একটি ।

চীন -৪
জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের এক নম্বরে চীন হলেও,আয়তনে চীনের অবস্থান চতুর্থ । এটি প্রায় ৯,৫৯৮,০৯৪ বর্গকিলোমিটার জায়গা দখল করে আছে । যা পৃথিবীর আয়তনের ৬.৪% । এশিয়া মহাদেশের একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তি । প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের তটরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪,৫০০ কিলোমিটার । চীনারা তাদের দেশকে চুংকুও নামে ডাকে, যার অর্থ "মধ্যদেশ" বা "মধ্যবর্তী রাজ্য"। চীন একটি পর্বতময় দেশ । এর মোট আয়তনের দুই-তৃতীয়াংশ পর্বত, ছোট পাহাড় এবং মালভূমি নিয়ে গঠিত । চীনে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের বাস । এদের ৯০%-এর বেশি হল চৈনিক হান জাতির লোক । চীনের দুইটি বৃহত্তম নদী হোয়াংহো ও ইয়াংসি । গণ প্রজাতান্ত্রিক চিনের রাজনীতি একটি একদলীয় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক কাঠামোয় সংঘটিত হয় । গণচীনের বর্তমান সংবিধানটি ১৯৫৪ সালে প্রথম গৃহীত হয় এবং এতে দেশের শাসনব্যবস্থা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।

যুক্তরাষ্ট্র -৩
 যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা United States, এই দেশটি যুক্ত রাষ্ট্র নামেও পরিচিত । বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র । যার আয়তন হচ্ছে ৯,৬২৯,০৯১ বর্গকিলোমিটার । যা পৃথিবীর আয়তনের ৬.৫% । দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৯০ লক্ষ । উত্তর-পশ্চিমে আটলান্টিকের কোল ঘেঁষে অবস্থিত বৃহৎ হ্রদ এলাকায়ই দেশটির অধিকাংশ মানুষের বসতি । বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের দুই-পঞ্চমাংশ খরচ করে এই দেশ । বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিধর রাষ্ট্র । মার্কিন নাগরিকেরা বাংলা ভাষায় "মার্কিনী" নামে পরিচিত । মার্কিন সরকার ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রীয়, প্রাদেশিক ও স্থানীয় আইন, এবং এগুলিকে নির্বাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান । আইনসভা দ্বিপাক্ষিক । নিম্ন কক্ষের নাম হাউজ অভ রেপ্রেজেন্টেটিভ্‌স এবং  উচ্চ কক্ষের নাম সেনেট ।

কানাডা -২
কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি দেশ । বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রাষ্ট্র । আবার কানাডা হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় শীতলতম দেশ । এই দেশে বছরে ৮ মাস বরফাচ্ছন্ন থাকে । আয়তনে বেশি হলেও কানাডা সামরিক শক্তিতে তেমন উন্নত নয় । যার আয়তন ৯,৯৮৪,৬৭০ বর্গকিলোমিটার । যা পৃথিবীর আয়তনের ৬.৭% । কানাডা দ্বিভাষিক- ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা দুটোই সরকারি ভাষা এবং বহু কৃষ্টির দেশ । এছাড়াও অনেক বিচ্ছিন্ন ভাষাও রয়েছে । কানাডার সরকার দুই ভাগে বিভক্ত । কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক বা আঞ্চলিক সরকার । কানাডার বর্তমান সংবিধান ১৯৮২ সালে রচিত হয় । কানাডা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি । 

রাশিয়া -১ 
পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হল রাশিয়া । এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেন্সিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত । আয়তনে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ দেশ । যার পূর্ব নাম ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন । রাশিয়ার আয়তন প্রায় ১৭,০৯৮,২৪২ কিমি । যা পৃথিবীর ১১% জায়গা দখল করে আছে । রাশিয়া বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ যেখানে ২০১২ হিসাব অনুযায়ী ১৪৩ মিলিয়ন লোক বসবাস করে । রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ যার রয়েছে পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির এক অষ্টমাংশ । রাশিয়া ১১টি সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত । রাশিয়া একটি আধা-রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশ যেখানে প্রেসিডেন্ট সর্বক্ষমতার মালিক । তিনি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে থাকেন । রুশ ভাষা রাশিয়া বা রুশ প্রজাতন্ত্রের সরকারি ভাষা । এটিতে রাশিয়ার প্রায় ৮০% লোক কথা বলে । এছাড়াও রাশিয়াতে আরও প্রায় ৮০ টির বেশি ভাষা প্রচলিত ।  
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার ইমেল দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করুন । 
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।