কখন সহবাস করবেন, কখন করবেন না এবং অধিক সহবাসে কি ক্ষতি হয় ?.
দাম্পত্যে জীবনে সহবাস বা যৌন মিলনের গুরুত্ব অপরিসীম
। বিয়ের পর সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলতে
এ ব্যাপারে দু’জনের বোঝাপড়াটা ঠিকঠাক হওয়া খুব দরকার । সহবাসের (সেক্স) মূল উদ্দেশ্য বংশবৃদ্ধি । নারী ও
পুরুষের মধ্যকার নিয়মতান্ত্রিক শারীরিক মিলন সম্পর্কের মধ্যে সীমিত । নারী ও পুরুষ
কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে সহবাসের অধিকার অর্জন করে । ধর্মীয়
দৃষ্টিতে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক মিলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । যে সকল নর-নারী
বিবাহপূর্ব শারীরিক মিলন করেছেন তারা বিবাহ পরবর্তী যৌন জীবনে অসুখী । যে সকল নর-নারী
বিবাহপূর্ব শারীরিক মিলনে লিপ্ত হননি - তারা বিবাহ পরবর্তী সুখী জীবন যাপন করেন ।
অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।
আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই
নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য । শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিন অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি । এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য আছে যা আপনার শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়িয়ে দেবে
বহুগুণ । ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি নয়, গ্রিন স্যালাড, শসা, মাশরুম বা টমাটো খান । ডিমের সাদা অংশ চলতে পারে । পিজ্জা নয়, পাস্তা খান । মাংস খেলে একেবারে হালকা করে খান । সহবাসের আগে
পপকর্ন খাওয়া ভাল । ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নয়, আলু খেতে হলে সিদ্ধ খাওয়া ভাল । কফি ভুলে খাবেন না, লিকার চা কে আপনার সঙ্গী করুন । আইসক্রিম খেতে পারেন, তবে তা লো ফ্যাটের হতে হবে । শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান, তাহলে প্রচুর
পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার ।
কখন সহবাস করবেন ও
করবেন না –
প্রাপ্ত বয়স্ক একজন পুরুষ
ও নারী যে কোন দিন, দিন বা রাত যে কোন মুহূর্তে সহবাস করতে পারেন । পুরুষরা সাধারণত রাতের বেলায় সেক্স এড়িয়ে চলতে চায় । এ ক্ষেত্রে সকালের দিকটাকেই তারা বেছে নেয় । নারীরা রাতের বেলায় সেক্স করতে আগ্রহী । সহবাস করার জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনকে সমান আগ্রহী হতে হবে । দেখা যায় যে স্বামীর সহবাসের চাহিদা আছে কিন্তু, স্ত্রীর নেই, সে সময় সহবাস
করবেন না । মহিলাদের মাসিক বা ঋতুস্রাব অবস্থায় কখনোই স্ত্রী সহবাস করা উচিত না । ঋতুস্রাব পবিত্র হয়ে স্নান করার আগে পর্যন্ত মহিলাদের সাথে সহবাস করবেন না ।
রক্তস্রাবের সময় মহিলাদের সর্বক্ষণ রক্ত নির্গত হওয়ার কারণে
কারো কারো যৌনাঙ্গটি এক প্রকার ফোলা ও উষ্ণ থাকে । কাজের ব্যস্ততা বেশি থাকলে সে সময় সহবাস করা উচিত না । মাতাল অবস্থায় সহবাস না করা ভাল । চিন্তা-ভাবনা ও বিচলিত থাকলে
সহবাস করা উচিত না । একেবারে খালি পেটে অথবা
ভরপেটেও সহবাস না করা । এ অবস্থায় সহবাসে পেটের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে । এরফলে আপনার টিবি, ভীতিপ্রদ রোগ, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার
সমূহ সম্ভাবনা থাকে । চোখের দৃষ্টির রোগ , শারীরিক দুর্বলতা, কলিজা,
পাকস্থলী দুর্বল তাদের জন্যও সহবাস করা ক্ষতিকর ।
কতদিন পর পর সহবাস করা ভালো-
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন
প্রাপ্তবয়স্ক নারী যখন শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ফুরফুরে অবস্থায় থাকেন তখনই
তাঁদের মধ্যে শারীরিক মিলন হতে পারে । মাত্রাতিরিক্ত
সহবাস যেমন ক্ষতিকর আবার কম সহবাসও শরীর ও মনের পক্ষে ততটাই ক্ষতিকারক । প্রতিদিন সহবাস করা যাবে কিনা, করলে কি আমাদের শারীরিক
কোন ক্ষতি হয় ? নতুন যারা বিয়ে করেছেন তাঁরা সুযোগ পেলেই মিলিত হতে চান । গবেষণায় উঠে এসেছে - সদ্য
বিবাহিত দম্পতিরা সাধারণত মাসে ৩ থেকে ৪ বার মিলিত হন । কিন্তু, যদি অন্তত
পক্ষে ১১ বার মিলিত হওয়া যায় এক মাসে, তবে সদ্য বিয়ে করা দম্পতি
মানসিক ভাবে অনেক বেশি সুস্থ থাকেন । যে সব দম্পতি সপ্তাহে
অন্তত দুবার সহবাস করেছেন তাঁদের হৃদপিণ্ড অনেক ভালো থাকে । যাঁদের বয়স ২০ থেকে
৩০ বছর, তাঁরা সপ্তাহে ৩ বার
সহবাস করতে পারেন । যাঁদের বয়স ৩০-৪০ বছর তাঁরা সপ্তাহে ২ বার সহবাস করতে পারেন । পুরুষ
ও নারীর যৌনমিলনের হার বয়সের উপর নির্ভর করে । বয়স যত বাড়ে যৌনমিলনের হার তত কমে
যায় ।
সহবাসে কি উপকার –
মানসিক উৎকণ্ঠা বা স্ট্রেস থেকে আসে
উচ্চ রক্তচাপ, যা হৃদপিণ্ডের পক্ষে
চরম ক্ষতিকর ৷ যারা নিয়মিত সহবাস
করেন, তাঁদের রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকে । হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটা কম থাকে ৷ নিয়মিত সহবাস করলে শরীরকে
ফিট করে তোলে, ত্বক উজ্জ্বল করে, ওজন কমায়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়, বার্ধক্য পিছিয়ে দেয়
। সেক্স
করা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে,
মিলিত হওয়ার বাসনা কমে যায় । শরীরে
উত্তেজনা লোপ পেতে শুরু করে । একটা সময়ের পর আর কাম ইচ্ছা জাগে না । নিয়মিত সেক্স
করা শুরু করে,
সেটা যদি হঠাৎ বন্ধ হয় যায়, তবে বুদ্ধি লোপ
পেতে পারে ।
সবকিছু
ভুলে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হতে থাকে । মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে । মন খারাপ, কিছু
ভালো না লাগা, অকারণে অতিরিক্ত রাগ জন্মাতে শুরু হতে পারে । সেক্স করলে
হৃদয় ভালো থাকে ।
হরমোনের নিঃসরণ যথাযথ পরিমাণে হতে থাকে । সেক্স করলে শরীরে রোগ-জীবাণু
সহজে প্রবেশ করতে পারেনা । শরীরে
রোগপ্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে । রাতের প্রথমাংশে সহবাসের দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ
করলে সে সন্তান অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করে । রাতের শেষ প্রহরে সহবাস করার দ্বারা সন্তান
জন্মগ্রহণ করলে সন্তান সুস্থ সবল ও ধর্মভীরু হয়ে থাকে ।
অধিক
সহবাসে কি ক্ষতি হয় -
মাত্রাতিরিক্ত কোনও জিনিসই ভালো না । সুস্বাদু ও
মজাদার বস্তু খাওয়ার মাঝে কখনোই অতিরিক্ত করা ঠিক নয় । অধিক সহবাসে
পুরুষ ও মহিলা যুবক-যুবতীরা তাদের যৌবন কালে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করে সহবাসের
মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনও উপায়ে অমূল্য সম্পদ নষ্ট করে ফেলে । অধিক সহবাস করলে যৌন
মিলনের ক্ষমতা কমে যায় । অধিক সহবাসের কারণে
গর্ভধারণের শক্তিও হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে । মাত্রাতিরিক্ত সহবাস জীবন নষ্ট
করে দেয় । এক
সময় তাদের অবস্থা এমন হয় যে, মাথায় হাত দিয়ে কাঁদতে হয় । শেষে
কোনোভাবে সহবাসের জন্য বিভিন্ন ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়ে ওষুধের মাধ্যমে সহবাস করতে
হয় ।
নিজেকে
নিয়ন্ত্রণে রেখে সহবাস করা উচিত, না হলে পরবর্তী
জীবনে আপনি আরও বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা
আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট
টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । স্বাস্থ্য ও সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে
নিচে স্বাস্থ্য ও সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আপনার ইমেল দিয়ে আমাদের
ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করুন ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷