রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯

পৃথিবীর অবাক, মজার কথা গুলি কি কি ?


১) হাওয়াই দ্বীপে একটাও সাপ নেই ।

২) গ্রেট ব্রিটেনের ডাক টিকিটে সেই দেশের নাম থাকেনা ।

৩) আফ্রিকার কঙ্গো দেশে ছাগল চুরির অপরাধে শিরচ্ছেদ হয় ।

৪) একটি জলহস্তী মানুষের চেয়ে জোরে ছুটতে পারে ।

৫)  চিন সম্রাট শেন লুং খ্রিস্টপূর্ব ২৭২৭ সালে প্রথম চা কে পানীয় হিসাবে ব্যবহার করেন ।
 ৬) একটি শিম্পাঞ্জি আয়নায় নিজেকে চিনতে পারে, কিন্তু বাঁদররা পারেনা ।

৭) একটি কাঠঠোকরা পাখি প্রতি সেকেন্ডে ২০ বার ঠোক্কর মারে ।

৮) সব চেয়ে দীর্ঘ সময় বাঁচে তিমি মাছ, প্রায় ৫০০ বছর ।


৯) করমর্দন বা হ্যান্ডশেক প্রথা সর্ব প্রথম ইহুদিদের মধ্যে প্রচলিত হয় ।
১০) কন্যাকুমারিকায় প্রতি বছর চৈত্র পূর্ণিমায় সূর্যাস্ত ও চন্দ্রোদয় একই সময়ে দেখা যায় ।
১১) শিম্পাঞ্জি হল এমন বাঁদর যাদের লেজ নেই । মানুষের সাথে গরিলাদের বেশি মিল দেখা যায় ।
১২) উত্তর মেরু প্রতি বছর ৭ ইঞ্চি করে দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে ।
১৩) পৃথিবীর ভাষা সমূহের মধ্যে চীনের ম্যান্ডারিন ভাষা প্রথম স্থান অধিকার করেছে ।

১৪) ফরাসি দেশে একটিও মশা নেই ।
১৫) মিশরের নীলনদে দুই ধরনের জল প্রভাবিত হয় ।
১৬) স্পেনের নাট্যকার লোপ দ্য ভেগা সব থেকে বেশি প্রায় ২ হাজার নাটক লিখেছেন ।
১৭) ১৮৬৯ সালে জাপানে প্রথম রিক্সা প্রচলন হয় ।
১৮) সারা জীবনে আমরা প্রায় ৭৫০০০ লিটার জল পান করি ।
১৯) নিউজিল্যান্ডের কিউই পাখির ডানা নেই ।
২০) পৃথিবীতে পিঁপড়ের সংখ্যা সবথেকে বেশি ।
২১) চীন দেশে প্রথম নোটের প্রচলন হয় ।
২২) ব্রাজিলের বনে টক মধু পাওয়া যায় । এগুলি এক ধরনের পিঁপড়ে সংগ্রহ করে ।
২৩) ম্যাগেলন প্রথম নৌ বহর নিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন ।
২৪) বজ্রপাতের শব্দ ২০ মাইল দূর পর্যন্ত শোনা যায় ।
২৫)  পর্তুগিজদের শপথ বাক্য বাইমারিথেকে বাংলায় মাইরিশব্দের উদ্ভব হয় ।
২৬) যুদ্ধরত দুই দেশের সৈন্যদের মাঝের স্থান কে নো মান্স ল্যান্ডবলে ।
২৭) পিঁপড়েরা নিজের ওজনের ২০ গুন ভার বহন করতে পারে । এরা কোনদিন ঘুমায় না ।
২৮) ভারতে প্রথম কামান ব্যবহার করেন সম্রাট বাবর ।
২৯) শব্দের গতিবেগ হাওয়ার থেকে জলে তিন গুন বেশি ।
৩০) জলের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ফুট আলো প্রবেশ করতে পারে ।

৩১) প্রত্যেক মানুষের বুড়ো আগুলের ছাপ আলাদা আলাদা হয় ।
৩২) ডলফিন এক চোখ বন্দ করে ঘুমায় ।
৩৩) মাছ ও পিঁপড়ের চোখের পাতা নেই ।
৩৪) আফ্রিকার গিনি নামক স্থান থেকে সোনা এনে ইংল্যান্ডে স্বর্ণ মুদ্রা তৈরি হয়, তাই স্বর্ণ মুদ্রা গিনি নামে পরিচিত ।
৩৫) বুমেরাং এক প্রকার লোহা বা কাঠ দিয়ে তৈরি অস্ত্র, যা অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসী ব্যবহার করে । লক্ষে না গেলে তা আবার নিক্ষেপ কারির কাছে ফিরে আসে ।
৩৬) সবথেকে মূল্যবান ধাতু হল প্লাটিনাম ।
৩৭) হাইড্রোজেন গ্যাস হল পৃথিবীর সব চেয়ে কম ঘন বস্তু ।
৩৮) পৃথিবীর মধ্যে ভারতের স্বস্তিক চিহ্ন সব থেকে পুরনো, এখনো হিন্দুদের মাঙ্গলিক কাজে ব্যবহার করা হয় ।
৩৯) আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৫ বার চোখ পিটপিট করি, মেয়েরা ছেলেদের দিগুণ চোখ পিটপিট করে ।
৩৯) মানুষ সারাদিনে গড়ে ২৩০০০ বার নিশ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকে ।
৪০) অস্ট্রেলিয়ায় মানুষের থেকে ভেড়ার সংখ্যা কয়েক গুন বেশি ।
৪১) টিকটিকির জিভ তার দেহের দ্বিগুণ লম্বা হয় ।
৪২) টমাস আলভা এডিশন প্রায় ১ হাজার প্রকার বস্তু আবিষ্কার করেন ।
৪৩) পোপ গ্রেগরি ইংরেজিতে ৩৬৫ দিনের ক্যালেন্ডার প্রচলন করেন ।
৪৪) আমীর খসরু খেয়াল গানের প্রবর্তন করেন, সেতার বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভাবন করেন ।
৪৫) জন্মানোর সময় একটি পাণ্ডা ইঁদুরের থেকে ছোট হয় ।


৪৬) মেরু ভাল্লুক বেশি বাঁ পা ব্যবহার করে ।
৪৭) হিমালয়য় পর্বতে মোট ১৪৭ টি শৃঙ্গ আছে ।
৪৮) মেঘালয়ের মৌশিনরামে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয় ।
৪৯) লর্ড ওয়েলেসলি রবিবার ছুটি প্রবর্তন করেন । 
৫০) যে মানুষ ৮০ বছর বাঁচে, তাঁরা যেভাবে দিনগুলি কাটায় - কাজে ১৬ বছর ৮ মাস । নিদ্রায় ২৪ বছর ৯ মাস । খাওয়া ৬ বছর ৬ মাস । খেলায় ২৫ বছর ৬ মাস । রোগে ১ বছর ৫ মাস । বিনা কারণে ২ বছর ২ মাস । বেশভূষায় ২ বছর ১১ মাস ।

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -
প্রথম ভারতীয় এবং বাঙালি পুরুষ ও মহিলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কে কে ?
ভারতের বৃহত্তম, উচ্চতম, দীর্ঘতম, সর্বাপেক্ষা বেশি বস্তু গুলি কি কি ?.
ভারতের জাতীয় পতাকার অজানা কাহিনী কি ?.
বিখ্যাত ১৫০ টি বই ও লেখক, লেখিকার নাম কি কি ?.
ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পালনীয় দিবস গুলি কি কি ?.

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মেয়েরা ছেলেদের কি কি গুন গুলি পছন্দ করে ?


 সব ছেলে চায় যে সে মেয়েদের কাছে পছন্দের মানুষ হয়ে থাকতে । কিন্তুসবাই সেটা হতে পারেনা । কারন আপনি জানেন না যে মেয়েরা ছেলেদের কোন কোন গুন পছন্দ করে আর কোন গুলি পছন্দ করেনা । একটি ছেলের কি গুন থাকা দরকারযার ফলে যে কোনো মেয়ে কোন ছেলেকে সহজে পছন্দ করবে । এখন দেখা যায় যে একটি ছেলের অনেক মেয়ে বান্ধবী থাকেআর এক জনের কেউ থাকেনা । এর কারন হল মেয়েরা কি কি পছন্দ করে আপনি তা সঠিক ভাবে জানেন না । সহজে কোন মেয়ের প্রিয় হতে হলে নিচে দেওয়া টিপস গুলি অনুসরণ করতে পারেন । টিপস গুলি জানতে লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন ।

১) সুন্দর দেখতে – ছেলেরা যেমন সুন্দর দেখতে মেয়ে পছন্দ করেতেমনি মেয়েরাও সুন্দর দেখতে ছেলে পছন্দ করে । কোন ছেলে যদি একটা সুন্দরি মেয়ে দেখে তাঁর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে । মেয়েরা সুন্দর ছেলেদের দেখে কিন্তুএমন ভাবে দেখে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন না । ছেলেদের ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে । তাই বলে অতিরিক্ত স্টাইল কিন্তু মেয়েদের একেবারেই অপছন্দ যদিও আপনি দেখতে ততটা সুন্দর না হন মোটামুটি সুন্দর দেখায় এমন পোশাক পরবেন । দামি পোশাক পরতে হবে এমন কোন কথা নেইতবে পোশাকটি যেন পরিষ্কার ও সুন্দর হয় । একটা ছেলে তার সঙ্গে মানিয়ে একটা পাঞ্জাবি পরলে, কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, চোখে চশমা, চাপ দাড়ি । খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারে , এই ধরণের পুরুষদের প্রথম দেখাতেই যে কোন মেয়ের ভালো লাগে প্রথমে আমরা যেকোনো মানুষের পোশাক দেখিতাঁর পর অন্য দিকে নজর দিয়ে থাকি । কেমনা এলোমেলো হয়ে থাকা ছেলেদের মোটেও পছন্দ করে না মেয়েরা । তাই ছেলেদের এই গুণ থাকা আবশ্যক

 2. স্বভাব ও চরিত্র – আপনাকে কোন মেয়ে পছন্দ করলেন । এরপর সে দেখবে আপনার স্বভাব ও চরিত্র কেমন । তখন সে মেয়েটি করবে কিআপনার পরিচিত মানুষ যেমন বন্ধুপাড়ার লোকের কাছ থাকে আপনার সম্পর্কে খবর নেবে । আপনি কেমনকি করেনকোথায় যান ইত্যাদি । আপনার সম্পর্কে মানুষ ভাল ভাবে সেইসব কাজ করবেন । আপনি টাকা পয়সা না নিয়ে বিভিন্ন যে সব সামাজিক কাজ হয় সেখানে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন । আর একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন নিজের মনের গোপন কথা ভুলেও কাউকে বলবেন না । কারন পরে সেই জন্য আপনাকে কষ্ট পেতে হবে ।
৩) চেষ্টা করা – আমরা মানে মানুষরা একবার কোন কাজ করে সাফল্য পাইনা । আর মেয়েদের মন সেটা পাওয়া অনেক কঠিন । আমাদের তাঁর পছন্দের হতে হলে বারবার চেষ্টা করতে হবে । একথা জীবনের প্রতিটি কাজের জন্য বলা যায় । প্রথমে যে কোন মানুষ আপনাকে পছন্দ করবেনা । যদি আপনি তাঁর কাছে বারবার ফিরে আসেন তখন সে একবার হলেও আপনার কথা ভাবতে বাধ্য হবে । একবারে কোন কাজে সাফল্য আসেনা । কয়েকবার চেষ্টা করুনদেখুন তার পর কি হয় ।
৪) গুরুত্ব ও যত্ন – সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর সঙ্গী যখন নিয়মিত খবর রাখছে তখন মেয়েরা খুব খুশি হয় কারন সব মেয়েরা চায় যে তার বয়-ফ্রেন্ড বা স্বামী তাঁর কথার গুরুত্ব দেবে ও তাঁর যত্ন করবে । তাঁর কথার গুরুত্ব দেওয়া আপনার একটা ভাল অভ্যাস । সাধারণ ভাবে আমরা করি কিমেয়েদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মত তা জোর করে চাপিয়ে দিয়ে থাকি । এরফলে সে নিজেকে ছোট ও অসম্মানিত বোধ করে । তাই তাঁর কথা একটু ভাবুনসে কি বলতে চায় । তাঁর যত্ন নেওয়া আপনার একটি ভাল গুন । কারণ সে যদি কোন বিপদে পড়ে আপনার কাছে সমাধান নিতে আসবে । আপনার উচিৎ তাঁকে যত্ন করে সমস্যা সমাধান করা ।

৫) সাহসিকতা – প্রতিটি মানুষ সাহসী ছেলেদের পছন্দ করে ।আপনি যদি সামনা সামনি দাড়িয়ে কিছু বলার সাহস না থাকে তাহলে আপনাকে কে পছন্দ করবে বলুন । আপনি যদি কাউকে ভালবাসেন তবে অন্যকে দিয়ে না বলিয়েনিজে সামনা সামনি বলুন । শুধু ভালবাসা কেন জীবনে কোন কাজে যদি সাহস না নিয়ে এগোতে পারেন তাহলে আপনার দ্বারা কিছু হবেনা ।
৬) মিথ্যা না বলা – মেয়ে কেন আপনি নিজে যদি হনকেউ যদি মিথ্যা কথা বলে তাঁকে কেউ পছন্দ করেনা । অনেক সময় এমন হয় যে ছেলেরা সামান্য একটা কাজ করে কিন্তুমেয়েদের কাছে এমন ভাবে সেটাকে বাড়িয়ে বলে যা বিশ্বাস করা কঠিন । পরে যখন আপনার আসল কাজ কি সে জানতে পারবে তখন আপনি বিপদে পড়বেন । আপনি ঠিক যতটুকু ততটাই বলা ভাল ।
৭) উপহার দেওয়া – সঙ্গীর কাছ থেকে উপহার পেতে মেয়েরা খুব পছন্দ করে । ছেলেদের এই গুণ মেয়েদের খুব তাড়াতাড়ি কাছে টানে সব মানুষ এমনকি আপনিআমি উপহার পেলে খুশি হই । মেয়েরাও তাই । সব মানুষ চায় যে তাঁর ভালবাসার মানুষ তাঁকে কিছু উপহার দিক । উপহার যে দামি হতে হবে এমন কোন কথা নেই । যখন সে আপনার দেওয়া উপহারটি দেখবে তখন আপনার কথা তাঁর মনে পড়বে । উপহারটি পাওয়ার পর দেখুন সে কেমন খুশি হয় । তবে একটা কথা মনে রাখবেন টাকা আছে বলে দামি দামি উপহার দিয়ে মেয়েদের মন পাওয়ার চেষ্টা করবেন না ।
৮) অচেনা মানুষ – সাধারণত মেয়েরা কোন অপরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক করেনা । আপনি যদি কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতে চান আগে আপনি তাঁর কোন পরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক করুন । তাহলে কি হয় আপনি সহজে তাঁর সাথে পরিচিত হয়ে কথা বলতে পারবেন ।
৯) চমৎকার – সারপ্রাইজ বা চমৎকার সবাই পছন্দ করে । আপনি আগে থেকে না বলে কোন উপহার আনতে পারেন বা বেড়াতে নিয়ে যাওয়ারেস্টুরেন্টে খেতে বা সিনেমা দেখতে নিয়ে যেতে পারেন ।
 ১০) বিরক্ত না করা – যদি কোন মেয়ে আপনার সাথে কথা না বলে বা সম্পর্ক খারাপ হয় তবুও বারবার ফোন করে বা মেসেজ করে বিরক্ত করবেন না । অনেক সময় দেখা যায় যে কাজ করছে আপনি তাঁকে বারবার বিরক্ত করছেন । তাঁর সময়ের সাথে আপনার সময় মিলিয়ে চলার চেষ্টা করুন ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।  আপনার ইমেল দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করুন । 



  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯

বিশ্বকবি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা জীবনী


'আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারেনা'- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ ( ইং ১৮৬১ সালের ৭ই মে ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে এক অসাধারণ প্রতিভাধর শিশুর জন্ম হয় । শুধু বাংলার বা বাঙালির নয় ভারতের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন । তিনি ছিলেন কবি, সংগীতকার, নাট্যকার, চিত্রকর, অভিনেতা, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক । পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতার নাম সারদা দেবী । রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অষ্টম সন্তান । দেবেন্দ্রনাথ ধনী হওয়ার জন্য তাঁর পরিবারের আদব কায়দা ছিল ভিন্ন । ঠাকুর বাড়ি সেই সময় কলকাতার শ্রেষ্ঠ ধনী ও সংস্কৃতিবান পরিবার হিসাবে সুখ্যাতি অর্জন করে । 

  সে সময়কার দিনে ধনী পরিবারের সন্তানদের সময় কাটত আয়া দাস-দাসীদের দেখাশুনায় । শুধুমাত্র রাত্রে পিতা-মাতার সান্নিধ্য পেত । ছোট রবীন্দ্রনাথ কেও চাকরদের শাসন মেনে চলতে হত ।

 ছেলেবেলা থেকে বিদ্যালয়ের বাঁধা-ধরা নিয়ম তাঁর মোটেই ভাল লাগতনা । বাড়ির বড় দাদারা বিদ্যালয়ে যায় দেখে রবীন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল কিন্তু, কিছুদিন যাওয়ার পর তাঁর বিদ্যালয় আর ভাল লাগেনা । ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুলে রবীন্দ্রনাথকে প্রথম ভর্তি করা হয়েছিল । এরপর  নর্মাল স্কুলে । তারপর বাড়িতে পড়াশুনা করতে আরম্ভ করলেন । পিতা ও গৃহ শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষালাভ করতে লাগলেন । ছোট রবি সাধারণত বারান্দাতে খেলা করতো । খেলার সময় তিনি একজন শিক্ষকের অভিনয় করতেন, জানালার গরাদ গুলিকে ছাত্র মনে করে পড়াতেন । তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মনযোগী । নিজের চেষ্টায় ও নিজগৃহে শিক্ষার আদর্শ সুযোগ পেয়ে তিনি ইংরেজি, বাংলা, সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ পাণ্ডিত্য লাভ করেন । তিনি ফরাসি ভাষাও শিখেছিলেন । স্কুলের বই ছাড়া তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অনেক বই পরতেন । ছেলেবেলা থেকে তিনি শুধু লেখাপড়া নয়, ছবি আঁকতে ভালবাসতেন । রং তুলি নিয়ে তিনি মনের খেয়ালে ছবি আঁকতেন  তিনি সকালে ওঠে ব্যায়াম করতেন । তারপর পড়াশুনা, ছবি আঁকা, সংগীত চর্চা করতেন ।

   আট বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতে শুরু করেন । মাত্র তের বছর বয়সে তাঁর কবিতা তত্ববোধিনীপত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ষোলো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ বনফুলপ্রকাশিত হয় । এরপর তিনি প্রকাশ করেছিলেন ভিখারিনী  ১৭ বছর বয়সে তিনি বিলেতে যান । সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি সাহিত্য সেবায় মন দেন  ২২ বছর বয়সে ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সাথে তাঁর বিবাহ হয় ।  তিনি অনেক কাব্য, উপন্যাস, নাটক, গান, প্রবন্ধ লিখে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেন । তিনি তাঁর গীতাঞ্জলীকাব্যটির ইংরেজি অনুবাদের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন । নোবেল পুরস্কার লাভের পর নানা দেশ থেকে সাদর আহ্বান আসে । তিনি আমেরিকা, চিন, জাপান, ইরান, ইউরোপ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন । তাঁর কথাকাহিনি, সহজপাঠ, ছেলেবেলা, শিশু, ডাকঘর ইত্যাদি শিশু ও কিশোরদের মনে সাড়া জাগায় । তাঁর রচিত গানগুলি রবীন্দ্র সংগীত নামে পরিচিত ।


 ইংরেজ সরকারের ভারতীয়দের উপর অমানুষিক অত্যাচার  তিনি সহ্য করতে পারতেন না । ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের কারণে তিনি সক্রিয় অংশ নেন । এই পরি পেক্ষিতে তিনি বাংলার মাটি বাংলার জলগানটি রচনা করেন । সাড়া দেশ জুড়ে অরন্ধন পালিত হয় । রবীন্দ্রনাথ রাখি বন্ধনউৎসব পালন করেন । দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তিনি রচনা করেন । ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি ইংরেজ সরকারের দেওয়া নাইটউপাধি ত্যাগ করেন ।

   বোলপুরে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে  কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে যথাক্রমে ১৯১৪ ও ১৯৫০ সালে ডি.লিট উপাধি প্রদান করেন ।

   বাংলা সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি তাঁর অবদান রাখেননি । তিনি ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, এবং ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সংকলন রচনা করেন । 
  রবীন্দ্রনাথ রচিত বিভিন্ন গ্রন্থের নাম
   উপন্যাস করুণা, বৌঠাকুরানির হাট, রাজর্ষি, চোখের বালি, নৌকাডুবি, গোরা, যোগাযোগ, ঘরে বাইরে, চার অধ্যায়, শেষের কবিতা, দুইবোন, চতুরঙ্গ ইত্যাদি ।

  কাব্যগ্রন্থ - কড়ি ও কোমল, নৈবেদ্য, মানসী, সোনার তরী, গীতাঞ্জলী, খেয়া, বলাকা, পূরবী, সানাই, আরোগ্য ইত্যাদি ।  

    নাটক মায়ার খেলা, রাজা ও রানী, বাল্মীকি প্রতিভা, মালিনী, শ্যামা, নরকবাস, অচলায়তন, ডাকঘর, শোধবোধ, মুক্তধারা, বিসর্জন, গোড়ায় গলদ ইত্যাদি ।

   ছোটগল্প ঘাটের কথা, দিদি, ব্যবধান, কাবুলিওয়ালা, দান প্রতিদান, হালদার গোষ্ঠী, একরাত্রি, সমাপ্তি, মাল্যদান, রবিবার, শেষকথা, ইত্যাদি ।

   প্রবন্ধ প্রাচীন সাহিত্য, লোক সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, কালান্তর, সমাজ, স্বদেশ, মানুষের ধর্ম, শিক্ষার বিকিরণ ইত্যাদি । রবীন্দ্রনাথের রচনা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে ।

   ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, বাংলার ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবণ সর্বকালের সেরা কবির মহাপ্রয়াণ ঘটে । তাঁর রচিত কবিতা, নাটক, সাহিত্য, সংগীত প্রবন্ধের মধ্যে দিয়ে তিনি সারা জীবন আমাদের কাছে অমর হয়ে থাকবেন ।

   'আমরা সকলেই পৃথিবীতে কাহাকেও না কাহাকেও ভালোবাসি, কিন্তু ভালবাসিলেও বন্ধু হইবার শক্তি আমাদের সকলের নাই। বন্ধু হইতে গেলে সঙ্গ দান করিতে হয়। অন্যান্য সকল দানের মতো এ দানেরও একটা তহবিল দরকার, কেবলমাত্র ইচ্ছাই যথেষ্ট নহে' - বীন্দ্রনাথ ঠাকুর  ।
   
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । জীবনী বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জীবনী লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।