আপনি জীবনে সাফল্য লাভ করবেন কিভাবে ?.
‘ব্যর্থতা হল সুযোগ
নতুন করে শুরু করার, যেখানে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা যায়’- হেনরি ফোর্ড ।
১) সবার প্রথমে আপনাকে একটি লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে । আপনার ক্ষমতা অনুসারে লক্ষ নির্ধারণ করুন । নিজে জীবনে কি করতে চান সেই বিষয়ে যদি আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকে তবেই আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন । তারপর সেই লক্ষে পৌঁছনোর জন্য বা সাফল্য পাওয়ার জন্য আপনাকে সেই কাজটি আগ্রহ বা মন দিয়ে করতে হবে । আপনি তখন সফল হবেন যখন আপনি আপনার কাজটিকে ভালবাসতে পারবেন । এটি আপনাকে আপনার জীবনে সাফল্য লাভ করতে সাহায্য করবে ।
আমরা প্রতিটি মানুষ চাই জীবনে সাফল্য অর্জন
করতে । জীবনে সাফল্য কে চায় না ? কি আপনিও তাই চান তো ? কিন্তু, সবাই জীবনে সাফল্য
লাভ করতে পারেনা । কেউ সাফল্যের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করে যান, আবার কেউ
সাফল্যের জন্য পরিশ্রম না করে একঘেয়ে জীবনের ঘানি টেনে চলেন । কেউ বললেন যে
আমার ভাগ্যটা খারাপ, সত্যি কি তাই । যারা আজ জীবনে সফল,
সেই সফল মানুষরা কি করেন, যা আজ তাঁদেরকে সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছে দিয়েছে । আসুন এখন জেনে নিন
সফল মানুষদের কিছু অভ্যাস ।
১) সবার প্রথমে আপনাকে একটি লক্ষ নির্ধারণ করতে হবে । আপনার ক্ষমতা অনুসারে লক্ষ নির্ধারণ করুন । নিজে জীবনে কি করতে চান সেই বিষয়ে যদি আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকে তবেই আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন । তারপর সেই লক্ষে পৌঁছনোর জন্য বা সাফল্য পাওয়ার জন্য আপনাকে সেই কাজটি আগ্রহ বা মন দিয়ে করতে হবে । আপনি তখন সফল হবেন যখন আপনি আপনার কাজটিকে ভালবাসতে পারবেন । এটি আপনাকে আপনার জীবনে সাফল্য লাভ করতে সাহায্য করবে ।
২) সাফল্য লাভ করতে হলে আপনি সেই সব মানুষদের
সাহায্য নিন যারা আজকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । তাঁরা কিভাবে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে
সেগুলি জেনে নিন । আপনার কাজে উৎসাহ দেন এমন মানুষদের সাথে থাকুন । সব সময় পজিটিভ চিন্তা
করবেন । নেগেটিভ চিন্তা মাথায় একদম আনবেন না । যারা আপনাকে নেগেটিভ কথা বলে তাঁদের
থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন । আপনার মন ভাল থাকে এমন কাজ করুন ।
৩) জীবনে
আলস্যকে একদম প্রশ্রয় দেবেন না । রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমবেন ও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবেন
। আপনার শরীরের যত্ন নিন । তাই শরীর
চর্চা করতে পারেন, হালকা শরীরচর্চা আপনাকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে । এরফলে
আপনার পেশির শিথিলতা বাড়বে, রক্ত
সঞ্চালন ভাল হয়ে আপনার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে ।
৪) আপনি আপনার
কাজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখুন । আমাদের চারপাশে অনেক ঘটনা ঘটে থাকে, সেদিকে
আপনার নজর যেন বেশি না হয় । আপনার নজর থাকবে শুধুমাত্র আপনার কাজের দিকে । বাইরের
দিকে মন চলে গেলে কাজে মন বসাবেন কিভাবে ? যদি অন্য দিকে আপনার মন যায় তাহলে
সাফল্য থেকে আপনি দূরে সরে যাবেন ।
৫) সাফল্য লাভের
জন্য আমাদের জীবনে প্রচুর কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, এর কোনও বিকল্প নেই । আপনি যদি
কঠোর পরিশ্রম না করেন তাহলে আপনি নিজের লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন না । কাজে আপনাকে সময়
দিতে হবে । অল্প দিকের মধ্যে কেউ বড়ো কিছু করতে পারেনা । রাতারাতি কেউ বড়ো হতে
পারেনা । তাই সময় নিন, আপনি আপনার কাজ করে যান । দেখবেন একদিন সাফল্য আপনার জীবনে
অবশ্যই আসবে । তাঁর জন্য ধৈর্য ধরতে হবে । মেয়েদের পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করে
নিজের কাজে সময় দিন । দেখবেন আপনার সময়ের কোনও অভাব হবেনা ।
৬) আপনাকে সেই
কাজের ব্যপারে আরও বেশিকরে জ্ঞান লাভ করতে হবে । যেমন রাম একটি কাজ করছে দেখে
আপনিও সেই কাজ শুরু করলেন । কিন্তু, রাম যে টাকা ইনকাম করছে আপনি তা করতে পারছেন
না । কেন এমন হল ? এর কারণ হল রাম সেই কাজটি খুঁটিনাটি সম্পর্কে সব ভালকরে জানে,
আপনি জানেন না । তাই আপনাকেও যে কাজটি করবেন সেই কাজের খুঁটিনাটি সব বিষয় ভালকরে
জানতে হবে । তাঁর জন্য আপনি বই পড়তে পারেন বা ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে
পারেন । সবাই যে ভাবে কাজটি করে আপনি তাঁর থেকে আলাদা ভাবে করার পদ্ধতি বার করে
কাজটি তাড়াতাড়ি করার ব্যবস্থা করুন । আজকের দিনে মানুষ তাকে চায় যে অল্প সময়ে ভাল
পরিষেবা দিতে পারে ।
৭) আপনি যে কাজ করছেন যদি সে কাজে অনেক মানুষ মিলে করতে হয় তবে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করুন । যদি দলের কারোর সাথে আপনার মতের পার্থক্য হয়ে থাকে তবে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলুন । দলের সবার মতামতকে গুরুত্ব দিন । মনে রাখবেন – আপনি ও আপনার কর্মচারীর মধ্যে যদি সম্পর্ক ভাল থাকে তবে আপনার কাজ অনেক সহজে হয়ে যাবে । সাফল্যের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করা ।
৮) নতুন কিছু করে
দেখান । কারণ মানুষ নতুন নতুন জিনিস বেশি পছন্দ করে । সব সময় মানুষের ঝোঁক থাকে
নতুনের দিকে । বাজারে যে জিনিস নতুন আসে তাঁর চাহিদা প্রচুর হয় । কাস্টমারের কোনও
অভাব তখন পড়েনা । আপনার কাস্টমারকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করুন । এরফলে আপনার
ব্যবসা অনেক বেড়ে যাবে ।
৯) আপনাকে আপনার
নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে । এটা ভাবুন যে আমি যে স্বপ্ন দেখেছি তা আমাকে পূরণ
করতে হবে । আপনি ততক্ষণ হারবেন না যতক্ষণ না আপনি আপনার নিজের কাছে হার না মানবেন
। কোনও কাজ শুরু করার পর হাল ছাড়বেন না ।
১০) সবশেষে বলি আগে নিজেকে ও নিজের শরীরকে ঠিক
রাখুন । আপনি যদি কাজের পিছনে ছুটে শরীর খারাপ করে ফেলেন তাহলে কাজটি করবেন কিভাবে
। অনেককে দেখা যায় যে কাজের চাপে ঠিক সময় খান না, ঘুমানো কমিয়ে দেন, এরকম করবেন না
। সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে কাজ করুন । আপনার শরীরটা না থাকেলে আপনি থাকবেন কি করে ।
বিয়ে করার জন্য সঠিক ছেলে বা মেয়ে কিভাবে নির্বাচন করবেন ?.সুলক্ষণা নারীদের দেহের লক্ষণ ও গঠন কেমন হয় ?
কোন মানুষকে প্রভাবিত করে তার মনে আপনার স্থান কিভাবে করবেন ?.
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো
প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে
দয়া করে শেয়ার করুন । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর
ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷