রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আপনি বিবাহের পর সুখী দাম্পত্য জীবন কিভাবে কাটাবেন ?


 বিবাহ হল এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে একজন পুরুষ ও নারী একে অপরের সাথে সারা জীবন থাকার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে থাকেন । বিয়ে করলে যে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে তেমনটা ভাবা সহজ নয় । বিয়ের পর দুইজন মানুষের একসাথে নতুন জীবনের পথ চলা শুরু হয় । শুধু ভালোবাসা ও যৌন সম্পর্কের মধ্য দিয়ে এই সম্পর্ক সুখী রাখা যায় না । নতুন জীবন নির্ভর করে পারস্পরিক ভালোবাসা, সততা ও সমঝোতার উপর । একটি ভালো সম্পর্কে প্রয়োজন হয় দুইজনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও যত্নের, শ্রদ্ধা ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার । কিন্তু, অনেক মানুষের জীবন বিয়ের পর অসহ্য, দুঃখ জনক, ক্লান্তিকর হয়ে যায় ।  আপনি আপনার বিবাহের পর সুখী দাম্পত্য জীবন কিভাবে কাটাবেন তার কিছু পদ্ধতি নিচে দেয়া হল ।
 
 
১) আপনি যাকে বিয়ে করেছেন তার সাথে আপনাকে সারা জীবন কাটাতে হবে । সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন । স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি চাকরিজীবী হয় , তাহলে ঘরের সব কাজ স্ত্রীর উপর চাপিয়ে না দিয়ে আপনি বাড়ির কাজে আপনার স্ত্রীর সাথে হাত বাড়িয়ে দিন । এরফলে আপনাদের সম্পর্ক মজবুত হবে ।



২) বিশ্বাস কথাটা ছোট হলেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি । যে কোনও সম্পর্কে বিশ্বাসই হল মূল ভিত্তি এর মাধ্যমেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয় । আপনি আপনার স্ত্রীকে সব সময় বিশ্বাস করুন । দুজনের মধ্যে কোনও বিষয় গোপন রাখবেন না । একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন । আপনার সততা, খোলাখুলি কথা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সাহায্য করবে । আপনি যদি কিছু গোপন করেন, পরবর্তী কালে সেটি প্রকাশ হলে আপনাদের সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে । আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন । এতে সম্পর্কে গভীরতা বাড়ে ও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় । 
আরো পড়ুন -বিয়ের আগে নারীদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি?
৩) আপনারা বছরের পর বছর একসাথে আছেন । মাঝেমধ্যে নিজেরাই দেখা করুন বাইরে গিয়ে । দুজন মিলে বাইরে খেতে যেতে পারেন । সারাদিনে একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সাথে সময় কাটান অন্তত ১০মিনিট । মাসে অন্তত একটি সন্ধ্যাকে নিজেদের মতো উপভোগ করুন । আপনি আপনার জীবনের বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন । সেই দিনগুলি পালন করুন ও একে অপরকে উপহার দিতে পারেন ।

৪) জীবন সবসময় একই রকম যাবে এমন মনে করার কারণ নেই ।  দাম্পত্য জীবনে এক সঙ্গে থাকতে গেলে সামান্য কারণে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে অনেক সময় তা সম্পর্ক ভাঙা পর্যন্তও গড়ায়  দিনের ঝগড়া নিয়ে রাতে ঘুমোতে যাবেন না । ধীরে সুস্থে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করুন । এতে একে অপরের সম্পর্কে শুধু ভালো ধারণাই তৈরি হবে না, বরং সম্পর্কেও মধুরতা আসবে তাকে বোঝাবেন যে – আপনি তাকে সবথেকে বেশি ভালবাসেন ।


৫) সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে প্রতিদিন একে-অপরের প্রশংসা করুন । ছোটখাটো বিষয়ে তার প্রশংসা করেও সম্পর্কে মধুরতা ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে তাঁর প্রশংসা করুন । তবেই সম্পর্ক সফল দীর্ঘস্থায়ী হবে ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই । ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে ।

৬) কথায় আছে মানুষ মাত্র ভুল করে । ভুল হলে অভিমান করবেন না । কারণ সে আপনার পরিবারের একজন সদস্য । অভিমানের সময় চুপ করে বসে না থেকে কিংবা কথা কাটাকাটি না করে সুন্দর কিছু একটা করার চেষ্টা করুন । নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিন । নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই নিজের দায়িত্ব নিতে শিখুন ।  একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ । চুপ থাকুন এবং তার কথা শুনুন । রাগের সময় উঁচু স্বরে কথা না বলে নিচু স্বরে কথা বলুন । কথা বলার সময় খারাপ শব্দ ব্যবহার করবেন না ।

৭) কোন গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন । পছন্দ না হলে ভদ্র ভাবে আপনার মতামত জানিয়ে দিন । নিজের সিদ্ধান্ত জোর করে কারোর উপর চাপিয়ে দেবেন না । একে অপরের স্থান দিতে শিখুন, স্বাধীনতা দিতে শিখুন ।


৮) আপনার সঙ্গীর যদি পড়াশোনা, ব্যবসা বা চাকরি করার জন্য উৎসাহ থাকে তাহলে তাকে সাফল্য পেতে সাহায্য করুন । এরফলে আপনাদের ভালোবাসা হবে আরও শক্তিশালী ।

৯) দিনক্ষণ না গুণে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন একে অপরের মতামত ইচ্ছা অনিচ্ছার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে এতে একে অপরের সম্পর্কে শুধু ভালো ধারণাই তৈরি হবে না, বরং সম্পর্কেও মধুরতা আসবে

১০) জীবন সবসময় একই রকম যাবে এমন মনে করার কারণ নেই। জীবনের খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন । মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন, পরে এটি আপনার জীবনে খুব কাজে লাগবে । 

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

 

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আপনি আপনার ভালোবাসার সম্পর্ক সুন্দর ও মজবুত বানাবেন কিভাবে ?.


  সম্পর্ক শব্দটি এতটাই মধুর যা একে অপরকে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে । সম্পর্ক সারা পৃথিবীতে বিরাজমান । সমস্ত প্রাণীর মধ্যে এটা লক্ষ্য করা যায় । নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়ে একে অপরের চরণে প্রাণ নিবেদন হল প্রেমের সম্পর্ক , সেই ভালোবাসার মানুষটির নাম নিভৃত যতনে লিখে রাখার নাম-ই হল প্রেম । কিন্তু কেন এই  সম্পর্ক গুলির মধ্যে ছেদ ঘটে অকারণে ? তার কারণগুলি কি হতে পারে । আমরা অনেক সময় ছোট ছোট জিনিসগুলি অগ্রাহ্য করে থাকি , ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সুমধুর সম্পর্কগুলি ভেঙে যাওয়ার দিকে এগোতে থাকে । আমারা যদি কয়েকটি বিশেষ দিকের প্রতি নজর দেই , তাহলে হয়তো সম্পর্কের ভীত মজবুত হবে ।
 
 
 আমাদের কোন মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার থেকে বড় সমস্যা হল সেই সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা । অনেক মানুষ সহজে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেন কিন্তু, সেই সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে পারেনা । এখন আমি আপনাদের জানাবো যে - আপনার ভালোবাসার সম্পর্ক সুন্দর ও মজবুত বানাবেন কিভাবে ?



১) বিশ্বাস – সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের বুনন এর ওপর বিশ্বাস এর সুতো টান লেগে ছিঁড়ে গেলে সম্পর্কের ভাঙন অনিবার্য । আপনাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির উপর বিশ্বাস রাখতে হবে । এমন কথা ভাববেন না যে – সে আপনাকে সত্যি ভালোবাসে কিনা । বিশ্বাসের সত্যিই অসীম ক্ষমতা রয়েছে , বিশ্বাস-ই পারে মধুর সম্পর্ক স্থাপন করতে । এরকম কোন আচরণ করবেন না – যাতে সে আপনাকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে সম্পর্ক রক্ষা ও সুন্দর করতে একে অপরকে কেয়ার বা যত্ন করা প্রয়োজন । সবার ভালোবাসা প্রকাশ করার পদ্ধতি আলাদা রকম হয় । সে তার সেই পদ্ধতির দ্বারা আপনাকে বুঝিয়ে দেবে সে আপনাকে কতটা ভালোবাসে । জোর করে নিজের মতামত চাপিয়ে দেবেন না ।
আরো পড়ুন -বিয়ের আগে নারীদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি?
২) সময় – প্রতিটা সম্পর্কের মধ্যেই একসঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো খুবই প্রয়োজন । অথচ আমাদের প্রিয়জনরা যারা সর্বদা আমাদের পাশে রয়েছে , তাদের জন্য সময় বের করার কথা আমরা অনেক সময় ভাবতে ভুলে যাই । আপনি যদি কারোর সাথে সম্পর্ক আবদ্ধ হয়ে থাকেন তবে, আপনি যত বেশি সময় পারেন তার সাথে কাটানোর চেষ্টা করুণ । নিজের কাজের পর আপনি বাকি যে সময় হাতে পাবেন সেই সময় তাকে দিন । অতীতের কোন এক ভুল কে সামনে রেখে বর্তমানের সুন্দর মুহূর্তগুলোকে নষ্ট করবেন না । কারণ – সবাই চায় তার ভালোবাসার মানুষের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে । মাসে একদিন বাইরে ঘুরতে বা সিনেমা দেখতে পারেন । প্রতিদিন সকালে ও রাতে একবার করে ফোন করবেন । তার মোবাইলে সুন্দর সুন্দর মেসেজ পাঠাতে ভুলবেন না ।

৩) মনের কথা – আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের মনের অবস্থা আমাদের প্রিয়জনেরা বুঝুক । কথা বলার সময় আপনারা আপনাদের মনের কথা খুলে বলবেন । কোন কিছু মনের মধ্যে চেপে রাখবেন না । ভাল ভাল কথা বলবেন । এমন কোন কথা বলবেন না যাতে তার মনে কষ্ট পায় বা দুঃখ পায় । নিজেকে বড় মনে করা, আর সে ছোটো এমন ভাবে কথা বলবেন না । ফোনে কথা বলার সময় অন্য দিকে মন দেবেন না । আপনার ফোন তখন যেন ব্যস্ত না থাকে ।


৪) হাসি – হাসি মানুষের জীবনে সব থেকে বেশি আনন্দের প্রকাশ ঘটায় । তাই আমাদের উচিৎ নিজেকে সব সময় হাসি খুশি রাখা ও ভালোবাসার মানুষটি যেন সেরকম থাকে তার খেয়াল রাখা । এর জন্য আপনি শুধু ফোনে হাশির জোকস বা মেসেজ পাঠাতে পারেন । যদি পারেন হাসির ভিডিও বা ভিডিও লিঙ্ক পাঠাতে পারেন ।

৫) উপহার – ছোট থেকে বড় কে না ভালোবাসে উপহার পেতে । সব মানুষ উপহার পেতে ভালোবাসেন । তাই আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষকে কিছু উপহার দিতে পারেন । সেটি অবশ্যই আপনার বাজেটের বা পকেটের মধ্যে হতে হবে । বেশি দামি উপহার দেওয়ার কোন দরকার নেই । আপনি উপহার হিসাবে – মজার কার্ড, ফ্রেমে বাধানো আপনাদের ফোটো, বই, জামা, কাপড় ইত্যাদি দিতে পারেন ।

৬) ভিডিও কল- ইন্টারনেট ব্যবহার বর্তমান সময়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে । তাই শুধু ফোনে কথা বলার পরিবর্তে  আপনি ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন । এরফলে আপনারা একে অপরকে সরাসরি দেখা ও কথা বলা দুটোই সুবিধা পাবেন । সে এই সময় কোথায় আছে, কি করছে তা আপনি স্পষ্ট বুঝতে পাড়বেন ।


৭) ভুল বোঝা – সম্পর্কের উন্নতকরণের আরেকটি ধাপ হল একে অপরকে গুরুত্ব দেওয়া । তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনে তার আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী । আপনারা কখন নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি করবেন না । এরফলে একটি সুন্দর সম্পর্ক সহজে নষ্ট হয়ে যায় । আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি হলে দুজনে আলোচনার মাধ্যমে তাড়াতাড়ি মিটিয়ে নিন । বন্ধু বান্ধবদের সাথে এই নিয়ে বেশি কথা বলবেন না, হিতে বিপরীত সমস্যা দেখা দিতে পারে । আপনি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে বিচার করে স্থির করবেন । কারোর কথায় আপনার মাথার ভার বাড়াবেন না ।

৮) প্রশংসা ও ক্ষমা - আমরা সকলেই নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসি । আপনি আপনার প্রিয়জনের করা কোন কাজের প্রশংসা করতে পারেন । মানুষ জীবনের সবচেয়ে বড় ধর্ম হল ক্ষমার ধর্ম । তাই আপনারা একে অপরকে  ক্ষমা করে আবার নতুন ভাবে জীবনে পথ চলা  শুরু করুন ।

৯) সেক্স – অনেক মানুষ মনে করেন যে সম্পর্ক সুন্দর করার জন্য সেক্স জরুরি । আমার মতে – আপনাদের যদি পরে বিয়ে না হয় তাহলে এই কাজ করার আগে ১০০ বার ভাবুন । সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এটি খুব দরকারি নয় । যদি আপনাদের এটা মনে হয় যে - পরে আপনাদের কোন সমস্যা আসবেনা, তাহলে আপনারা স্থির করুণ যে আপনারা কি করবেন । আমার মতে বিয়ের আগে সেক্স না করাই ভালো ।


 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

আরও পোস্ট পড়ুন -

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

আপনি চাকরি করার জন্য ইন্টারভিয় কিভাবে দেবেন ?.


 আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনে চাকরি করার আশা থাকে সবাই চায় জীবনে চাকরি করে প্রতিষ্ঠিত হতে চাকরি করার জন্য বেশির ভাগ মানুষ লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে যান কিন্তু, ইন্টারভিয় দিতে গিয়ে পাশ করতে পারেনা সবারই একটা কৌতূহল আছে এটা জানার যে কি হয় ইন্টারভিয় রুমে আপনার চাকরি পাবার সম্ভাবনা অনেকখানি নির্ভর করে ইন্টারভিউতে আপনি কতটা ভালো করেন তার ওপর । অনেক সময় চাকরিটা হাতের কাছে এসেও হাত ছাড়া হয়ে যায় আপনার চাকরি যাতে হাত ছাড়া না হয়ে যায় তার জন্য এখন আমি আপনাদের জানাবো যে - আপনি চাকরি করার জন্য ইন্টারভিউ কিভাবে দেবেন ?.
 
১) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হয় মৌখিক পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষা নানান ভাবে হতে পারে প্রথমে আপনি কাজ করার জন্য যেখানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সেই অফিস বা সংস্থা বা কোম্পানি সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকে কিছু তথ্য জেনে নিতে হবে যে প্রতিষ্ঠানে আপনি কাজ করতে চাইছেন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন । সেখানে প্রধানত কি কাজ করা হয়, কতজন কাজ করে, কিভাবে কাজ হয়, মাসে কত টাকা মাইনে দেয় ইত্যাদি আপনার এই সব তথ্য জানা থাকলে সেখানে আপনার কাজ পেতে সুবিধা হবে সেজন্য আপনি সেই অফিস বা সংস্থা বা কোম্পানি কোন কর্মীর সাথে আগে কথা বলে নিতে পারেন বর্তমানে এসব জানার একটা ভালো উপায় হল ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ।
২) আগে দর্শনধারী, তারপর গুণ বিচারিপুরনো হলেও কথা এক্ষেত্রে বেশ প্রযোজ্য । ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পোশাক পরুন যে পোশাকে আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগবে তাই বলে আবার বেশি সাজগোজ করবেন না আপনি যতই ভালো ইন্টারভিউ দিন না কেন, আপনার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে ইন্টারভিউয়াররা যদি বিরক্ত হন, তাহলে আদতে কোনও লাভ হবে না । ছেলেরা স্যুট ও টাই পরতে পারেন, মেয়েরা শাড়ি বা শালোয়ার ইত্যাদি নিয়োগ বিশেষজ্ঞরা ব্যাপারে সাদা রঙকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন । রঙিন, জবড়জং পোশাকের চেয়ে হালকা রঙের পোশাক পরাই ভালো । দরজায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই মুখে হাসি রাখুন, হাসিমুখে প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিন ।
৩) প্রথমবার আপনি যখন ইন্টারভিউ রুমে ঢুকবেন তখন সেখানে উপস্থিত ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য যারা আছেন তাদের সাথে হাত মেলান একজন ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী এবং পেশাদার লোক কখনোই কাঁপা কাঁপা, নিস্তেজ হাতে করমর্দন করবে না । ঠিকভাবে হ্যান্ডশেক করা অনুশীলন করুন এটা হল এক ধরনের সৌজন্য দেখানো নিজেকে তখন নার্ভাস অনুভব করবেন না
৪) সঠিক ভাবে তাঁদের সামনে বসবেন । বডি ল্যাংগুয়েজের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন, ইন্টারভিউয়ের সময় কখনো কাত হয়ে বসবেন না । সবসময় সোজা হয়ে বসুন । আপনার বসার ধরন দেখে তাঁরা বুঝে নেবে যে – আপনি কেমন ধরনের মানুষ এমন ভাব দেখাবেন না যাতে আপনাকে অলস বা খুব কাজের মানুষ বলে মনে করে । আপনি আপনার সাধারণ ভাবে স্বাভাবিক থাকবেন । আপনি আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখবেন ।
৫) আপনাকে এরপর তাঁরা বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন । আপনাকে কি ধরনের প্রশ্ন করা হতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং সম্ভাব্য উত্তরগুলোও ভেবে নিন । আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন ওই পদের কাজের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন থাকবে এরপর প্রশ্ন থাকবে কিছু সাধারণ জ্ঞানউপস্থিত বুদ্ধি যাচাই প্রায় সকল বহুজাতিক কোম্পানিতেই করা হয় এক এক কোম্পানির প্রশ্ন ও নম্বর বণ্টনের ধরন এক এক রকম প্রশ্ন গুলির উত্তর ঠিকঠাক দেওয়ার চেষ্টা করুণ । সঠিক উত্তর না জানা থাকলে ভুল উত্তর দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না । কথা বলার সময় আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলুন । এমন ভাবে কথা বলবেন না যাতে তাঁরা আপনার কথা বুঝতে না পারে বা শুনতে না পায় । কথার মাঝে কোন কথা বলবেন না । একি কথা বারবার বলবেন না । সোজা হয়ে বসে চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবেন । ইন্টারভিউয়ের সময় যার সাথে কথা বলছেন অবশ্যই তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন । কথা বলার সময় কোন খারাপ শব্দ ব্যবহার করবেন না ।
৬) ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে । নিজের ওপর আপনার আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে । বিশেষজ্ঞরা বিষয়ে বলেন যে, ইন্টারভিউয়ের সময় ঘাবড়ে না গিয়ে আপনার প্রস্তুত করা উত্তরগুলোর দিকে মনোযোগ দিলে ইন্টারভিউ ভালো হয় । আপনি যদি এগুলো মেনে চলেন তাহলে আপনার চাকরি পাওয়ার সুযোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে । কারণ তাঁরা আপনার বুদ্ধির পরীক্ষার পাশাপাশি মানসিক পরীক্ষা যাচাই করে দেখে । অবশেষে দেখবেন চাকরিটা পেয়ে গেছেন
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আরও পোস্ট -
আপনি আপনার নিজের আত্মবিশ্বাস কিভাবে বাড়াবেন ?.
দেহের গঠন অনুসারে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় ?.
সুলক্ষণা নারীদের দেহের লক্ষণ ও গঠন কেমন হয় ?
 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।