পড়াশোনায় মন লাগাবেন কিভাবে, পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করবেন কিভাবে ?.
বর্তমান সময়ে প্রত্যেক
ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান সমস্যা হল পড়াশোনা কিভাবে করবো বা পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট
কিভাবে করবো । যে কোন পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা বর্তমান সময়ে খুব জরুরি । আপনি যদি
কোন ছাত্র-ছাত্রী বা চাকরী পার্থী হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই পড়াশোনা করে ভাল রেজাল্ট
করতে হবে । ভাল রেজাল্ট তখন হবে যখন আপনি মন দিয়ে পড়াশোনা করবেন । এখন আমি আপনাদের
কয়েকটি পদ্ধতির কথা বলবো – আপনি যদি
এগুলি অনুসরণ করেন তাহলে পরীক্ষায় অবশ্যই ভাল রেজাল্ট করবেন । তাই লেখাটি শেষ
পর্যন্ত পড়ুন ।
২) মোবাইল, টিভি – বর্তমান
সময়ে আমরা মোবাইল, টিভির পিছনে অনেক সময় খরচ করে নষ্ট করছি । পড়াশোনা করার সময়
আপনাকে এই দুটো জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে । পড়ার সময় এগুলি চালাবেন না, যদি পারেন
মোবাইল অফ বা সাইলেন্ট করে রাখুন । কারণ, পড়ার সময় ফোন বা মেসেজ এলে আপনাকে দেখার
জন্য উঠতে হবে । সে কারণে আপনার পড়াশোনায় মন লাগবেনা ।
৩) পড়ার উপকরণ
– আপনি যখন পড়তে বসবেন তখন পড়ার জন্য আপনার কাছে সমস্ত উপকরণ বা সরঞ্জাম নিয়ে
বসবেন । ধরুন আপনি এখন অংক করবেন, তার জন্য পেন, পেন্সিল, রবার, খাতা, কাটার
ইত্যাদি আগে থেকে নিয়ে নেবেন । পড়ার সময় আপনাকে এগুলি আনার জন্য বার বার উঠতে
হবেনা ।
৪) নির্জন স্থান – ভালভাবে পড়াশোনা করার জন্য একটি নির্জন
স্থান সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ । তাই পড়াশোনা করার জন্য এমন একটি নির্জন স্থান
নির্বাচন করুন যেখানে আপনাকে কেউ বিরক্ত করবেনা । কোন যানবাহন, মাইক, বাজনা
ইত্যাদির শব্দ হয়না এমন স্থান । কারণ কোন শব্দ হলে আপনি পড়াতে ঠিকমত মন বসাতে
পারবেন না ।
৫) নির্দিষ্ট সময় – পড়ার জন্য প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়
নির্ধারণ করুন । আপনি বাকি সময় অন্য কাজ করবেন কিন্তু, আপনার পড়ার জন্য নির্ধারিত
সময়ে আপনি শুধু পড়াশোনা করবেন । প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ২-৩ ঘণ্টা সময় পড়লে আপনি
আশা করি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করতে পারবেন । একটা কথা মনে রাখবেন – ঘুমানোর আগে ও
ঘুম থেকে উঠার পর আমাদের মাথা বেশি সক্রিয় থাকে, তাই সকাল ও সন্ধ্যায় পরলে আপনার
ভাল পড়াশোনা হবে ।
৬) ঘুম ও জল – আমরা যে সমস্ত বিষয় পড়ি সেগুলি সমস্ত আমাদের
মাথার ভিতরে এক জায়গায় জমা হয় । মাথা ঠিক রাখতে হলে আপনাকে প্রতিদিন কম করে ৭-৮
ঘণ্টা ঘুমাতে হবে । ভাল ঘুম না হলে আমাদের কোন কাজে মন লাগেনা, সে পড়াশোনা হোক বা
অন্য কোন কাজ । পড়ার সময় আপনার সাথে একটি জলের বোতল রাখবেন । পড়তে
পড়তে ক্লান্ত লাগলে জল খাবেন ।
৭) বিরতি – একটানা ২-৩ ঘণ্টা পড়তে যে কোন মানুষের বিরক্তি
লাগবেই । সে জন্য একটানা ২-৩ ঘণ্টা না পড়ে ৩০-৪৫ মিনিট পড়ার পর একটু বিরতি বা
বিশ্রাম নেবেন । এরফলে আপনার বিরক্তি ভাব দূর হয়ে মাথা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে ।
৫-১০ মিনিট বিরতি নিতে পারেন, তখন আপনি আপনার বাড়ির বাইরে ঘুরে আসতে পারেন বা জল
খাবেন ।
৮) বুঝে পড়া – অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান
সমস্যা হল তারা পড়াটা বুঝে পড়েনা, শুধু মুখস্থ করে । মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে বেশি কিছু
করা যায়না । আপনি যদি পড়াটা বুঝে নিয়ে পড়েন তাহলে আপনার মুখস্থের কোন দরকার নেই ।
নোটস পড়ার থেকে টেকস বই ভাল করে পড়ুন । কারণ- নোটসে টেকস বইয়ের তুলনায় অনেক কম ও
সংক্ষিপ্ত লেখা থাকে । পরীক্ষক থাতা দেখার সময় আপনার নিজের কি প্রতিভা আছে তা তিনি
খোঁজার চেষ্টা করেন । তাই মুখস্থ দিয়ে নয় বুঝে নিয়ে পড়া পড়ুন ।
৯) যোগ ব্যাম – পড়াশোনার
সাথে যোগ ব্যামের একটা সম্পর্ক রয়েছে । যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী বা ব্যক্তি সকালে উঠে
যোগ ব্যাম অভ্যাস করেন তাহলে তার পড়া বা যেকোনো কাজের প্রতি মন সংযোগ বৃদ্ধি পায় ।
পড়া বা যেকোনো কাজের প্রতি একটা আগ্রহ মনে তৈরি হয় । আপনি আজ থেকে শুরু করতে পারেন
। কারণ যেকোনো মানুষ এটি করতে পারে ।
১০) উপকার – ভাল করে
পড়াশোনা করলে আপনার বাবা, মা খুশি হবে । পরীক্ষার জন্য কোন চিন্তা থাকবেনা । আপনার
শিক্ষক বা শিক্ষিকার সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে । পরীক্ষায় ভাল ফল করলে
ভবিষ্যতে চাকরির জন্য আপনার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে । আশাকরি আপনার আর
পড়াশোনা করতে কোন সমস্যা হবেনা ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন
প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে
অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর
ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আমাদের আরও পোস্ট -
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷