মাথার বুদ্ধির ধার বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় গুলি কি কি ?
বুদ্ধি হল নতুন সমস্যা ও অবস্থার
সাথে সংগতি বিধানের সাধারণ মানসিক শক্তি - স্টার্ন । তীক্ষ্ণ ধারালো বুদ্ধি সব মানুষ চায় । পরিবেশ, ইচ্ছা ও
শেখার উপর নির্ভর করে আপনার বুদ্ধির ধার কতটা হবে । বুদ্ধি আসলে হল পরিবেশের সাথে
মানিয়ে চলার ক্ষমতা । আমাদের মস্তিষ্ক হল বুদ্ধির আধার । মস্তিষ্কে সেরিব্রাল
কর্টেক্স নামে এক ধুসর টুপির মধ্যে নানা অংশ রয়েছে । সেই অংশগুলি আমাদের মেধা,
বোধ, বুদ্ধি ও চেতনার মূল উৎস । বুদ্ধির খেলা, বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান এগুলির
সাহায্যে বুদ্ধির ধার কিছুটা বাড়ানো যায় । সাধারণ ভাবে ১৫-১৬ বছর বয়স পর্যন্ত
আমাদের বুদ্ধির বিকাশ হয় । এখন আমি আপনাদের কিভাবে বিভিন্ন উপায়ে আপনার বুদ্ধির ধার
বাড়াবেন তার বিভিন্ন উপায় জানাবো । উপায় গুলি জানতে লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন ।
১) খাদ্য – আমাদের এমন খাদ্য গ্রহণ করা দরকার যা, আমাদের মাথার বুদ্ধির ধার বাড়তে সাহায্য করে । খাবার গুলির মধ্যে রয়েছে ওমেগা, বিভিন্ন মাছ, আখরোট, প্রভৃতি । যে সব খাবারে ম্যাগনেসিয়াম থাকে সে সব খাবার খাবেন । আর ফলে আমাদের মাথায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ে । কালোজামের মধ্যে স্মৃতি, শিক্ষা ও বুঝতে পারার ক্ষমতা থাকে । ফুলকপিতে পাওয়া যায় মস্তিষ্কে নতুন কোশ গঠন ও চালাক হওয়ার পুষ্টি উপাদান । কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন – গমের রুটি, চাল, ওটস, আনাজ, মসুরের ডাল, ডিম ইত্যাদি খাবার মাথা ও শরীরের ক্ষমতা জোগাতে সাহায্য করে । জাঙ্কফুড খাবেন না । ধূমপান ও মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, এগুলি এখুনি ত্যাগ করুন ।
২) ঘুম – ঘুম
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড দরকারি । সঠিক ভাবে ঘুমানোর বিভিন্ন নিয়ম কি ? আমরা
পরে এক পোষ্টে আপনাদের জানাবো । আপনি যদি আপনার মাথার বুদ্ধি বাড়াতে চান তাহলে
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় আপনার ঘুমের প্রয়োজন । যদি রাতে আপনার ঠিকমত ঘুম না হয়
তাহলে তার প্রভাব আপনার মাথার উপর পড়ে । পরিমাণ মত ঘুম না হলে আপনার মাথার বিভিন্ন
অংশে কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে । একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের কম করে ৭-৮ ঘণ্টা
প্রতিদিন ঘুমানো দরকার ।
৩) শরীরচর্চা – শরীর
চর্চা করলে আমদের শরীরে অক্সিজেনের চলাচল বাড়ে । তারফলে আমাদের মাথা ভালোভাবে কাজ
করার ক্ষমতা পায় । শরীর থেকে নানা অপ্রয়োজনীয় বস্তু বাইরে বের হয়ে যায় । আমাদের
মাথা সুরক্ষিত ও মনের অবস্থা ভাল থাকে । শরীর চর্চার ফলে আমাদের শরীরে স্নায়ুর
ক্ষমতা সক্রিয় হয় । বেশি কিছু না করতে পারেন তবে, প্রতিদিন
৪৫ মিনিট হাঁটুন, ২০-২৫ মিনিট সাঁতার কাটুন ।
৪) ধ্যান
করা – আপনি যদি ধ্যান করেন তাহলে আপনার মন অনেকটা
শান্ত হয়ে যাবে । ধ্যান আপনার চিন্তা কম করার সাথে সাথে আপনার মাথার বুদ্ধির ধার
বাড়াতে সাহায্য করে । আপনি প্রথমে একটি নির্জন স্থান নির্বাচন করে ৩০ মিনিট ধ্যান
করুন । তখন আপনার মনের মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি হবে । আপনি তখন ভাববেন পৃথিবীর সব
কিছু কত সুন্দর ।
৫) জল – আপনি
জানেন যে আমাদের শরীরের ৭০% জল দিয়ে তৈরি । সঠিক পরিমাণে জল পান করলে মাথার বুদ্ধি
ঠিকমত কাজ করবে । জলের বদলে অন্য পানীয় যেমন – ডাবের
জল, ফলের রস বা শাকসবজি থেকে পাওয়া রস খেতে পারেন । বেশি পরিমাণে বিভিন্ন
কোম্পানির পানীয় পান না করাই ভাল । পরিষ্কার, শুদ্ধ, জীবাণুমুক্ত
জল পান করুন ।
৬) চিন্তা
করা – চিন্তা করা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার
চেষ্টা করুন । করণ অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে আপনার মস্তিষ্কে ক্ষতি হতে পারে ।
এরফলে আপনার কাজে ভুল হওয়া, বুদ্ধি কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে । সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন
। বন্ধুদের বা বাড়ির লোকেদের সাথে সময় কাটান, একা
একা থাকবেন না । বই পড়া, গান শোনা, খেলাধুলা করা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী ।
৭) নতুন
শেখা – নতুন কিছু শেখা বা নতুন কিছু করা মাথার পক্ষে
আনন্দের বিষয় । যখন আপনি নতুন কিছু শিখবেন বা করবেন তখন মস্তিষ্ক আলাদা পথে চলার
একটা আনন্দ লাভ করে, আপনার মস্তিষ্ক মজবুত হয় । একটানা কোন কাজ করবেন না । কাজের মাঝে
একটু ফাঁকা সময় বার করে নেবেন । আপনি প্রতিদিনের কাজের বদলে আপনার শখের কাজ করতে
পারেন । সপ্তাহে একদিন বাগানে কাজ করা বা রান্নাতে সাহায্য করা ইত্যাদি । কোন
যন্ত্র বাজাতে ভাল লাগলে বাজাতে পারেন ।
আমাদের
লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান ।
আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও
পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য
লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷