ভারতের লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল.
আবার মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে ভারতের প্রধাম মন্ত্রী
নির্বাচিত হতে চলেছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী । নিজের জনপ্রিয়তা কমার বদলে বিপুল
সমর্থন পেয়ে আবার তিনি ভারতের দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধান মন্ত্রী হতে চলেছেন । মোদী হলেন ভারতের তৃতীয় প্রধান
মন্ত্রী, যিনি পর পর দুবার প্রধান মন্ত্রী হলেন, একক সংখ্যা গরিষ্ঠ নিয়ে । পাঁচ বছর আবার
আমরা তাঁকে প্রধান মন্ত্রী হিসাবে দেখতে পাব ।
গত লোকসভা
নির্বাচনে মোদী ঝড় ছিল চোখে পড়ার মত, এবারে সাধারণ ভাবে সেই ঝড় চোখে না পড়লেও,
বিজেপি আশা করেছিল যে
তারা ৩০০ টির মত আসন পাবে । বিভিন্ন সংথ্যার যে বুথ
ফেরত সমীক্ষা তা মিলে গেল বলা যায় । বিরোধী শিবির যে আশা করেছিল তাঁরা আবার ভাল ফল
করবে তা আর হলনা । কয়েক মাস আগে দেশের তিনটি রাজ্য গুলিতে বিজেপি হারের সম্মুখিন
হয়েছিল সেই তিন রাজ্যে বিজেপি আবার বিপুল আসন পেয়েছেন । ৩০ মে হবে মোদীর শপদ গ্রহন
। বিরোধিরা মানলেন তাঁদের নিজেদের ব্যর্থতা । ভারতের অধিকাংশ জায়গায় বিজেপি ভাল ফল করেছে । নোটবন্দি,
গি.এস.টি, তিন তালাক বিল কোন প্রভাব ভোটের বাক্সে পড়তে দেখা গেলনা । উত্তর
প্রদেশের আমেঠি কেন্দ্রে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী পরাজিত হয়েছেন । এর পর তিনি
কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করবে বলে শোনা যাচ্ছে । কংগ্রেসের এই
পরাজয়ের পর দলের মধ্যে থেকে অনেকে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেছেন
। হারের পর রাহুল বিজেপির স্মৃতি ইরানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
ভারতে মোট আসন – ৫৪২/৫৪৩ টি, এন.ডি.এ – ৩৫২, উই.পি.এ – ৯৫, অন্যান্য – ৯৫,
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের ৪২ টি আসনের ফলাফল --
পশ্চিমবঙ্গে
ভোটের হাওয়া বি.জে.পির পক্ষে অনেকটা ভাল বলা যায় । যেখানে তাঁদের মাত্র ২ টি আসন
ছিল তা বেড়ে হয়েছে ১৮ । বাম ও কংগ্রেসের অবস্থান প্রায় মুছে গেছে । কংগ্রেস ২
টি আসন পেলেও বামফ্রন্ট কোন আসন পাইনি । মাঠে ময়দানে নেবে কাজ করার জন্য দলীয়
কর্মী নেই, সেই কারনে লোকসভা ভোটে প্রায় মুছে গেছে বামফ্রন্ট । কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বের এমন রিপোর্ট দিতে চলেছে বামফ্রন্ট । শাসক তৃণমূলের ভোট কমার লক্ষন
পরিস্কার দেখা গেছে । এখন সব জায়গায় তৃণমূলের প্রধান পতিপক্ষ হল বিজেপি । বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ এবারে দ্বিগুণের
থেকে বেশি । বাংলার মিডিয়াতে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল যে বিজেপি কি বাংলায় তৃণমূলে
ফাটল ধরাতে পারবে ? শাসক দল যে ৪২ সে ৪২ টি আসনের কথা বলে ছিল তা আর পূরণ করা হলনা
। উত্তরে বিজেপির জয় জয়োকার । ঘাসফুল রাজ্যের উত্তরে প্রায় শূন্য হয়ে গেল । আবার এদিকে কানা ঘুষো হচ্ছে যে –
তৃণমূলের যে বিধায়করা বিজেপিইর সাথে যোগাযোগ রেখেছেন তারা কি বিধান সভা ভোটের আগে
দলে যোগ দেবেন ? রাজ্যে যে বিধান সভার উপনির্বাচন ছিল সেখানেও তৃণমূলের খারাপ ফল ।
মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে বলেছেন – ‘ বিজয়ীদের অভিনন্দন, সব পরাজিতরাই
পরাজিত নন । পুরনাঙ্গ পর্যালোচনা করে আমাদের মতামত জানাব । আগে গননা প্রক্রিয়া
সম্পূর্ণ হোক এবং ভিভিপ্যাড মিলিয়ে দেখা হোক’ । ২০২১ তে রাজ্যে বিধান সভার ভোট, তাতে বিজেপি
সর্বশক্তি দিয়ে লড়ার অক্সিজেন পেয়ে গেল । নিজেদের ক্ষমতা বাংলায় কিভাবে ধরে রাখবে
এখন এটাই তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারন । যে সিঙ্গুর আন্দোলনের জন্য ক্ষমতায় আসতে
পেরেছিল তৃণমূল, সেই সিঙ্গুরে শিল্পের দাবিতে মিছিল করলেন মানুষ । দল বিরোধী কথা
বলার অভিযোগে তৃণমূল মুকুল রায়ের ছেলে শুভাংশু রায় কে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে
। ২০২০ তে রাজ্যে পৌরসভার ভোট । তৃণমূলের হেভিওয়েত নেতা দীনেশ ত্রিবেদি হারলেন
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিং এর কাছে । কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসম
বেনজির নূর বিজেপির খগেন মুরমুর কাছে পরাজিত হলেন । এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা অনেক জায়গায় দেখা গেছে
। চাকদহে বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে কিছুক্ষণ রেল অবরোধ করা হয় । গণ্ডগোল এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য
পুলিস । কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক মনে করেন –
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন পরিচালনা বিহারের থেকেও শক্ত ।
বাংলার আসন – ৪২, তৃণমূল – ২৪, বিজেপি – ১৮, কংগ্রেস –
২ , বামফ্রন্ট – ০।
কেন্দ্র
--- জয়ী পার্থী --- দল
১) দার্জিলিং – রাজু সিং বিস্তা – বিজেপি ।
২) জলপাইগুড়ি – জয়ন্ত রায় – বিজেপি ।
৩) কোচবিহার – নিশীথ প্রামানিক – বিজেপি ।
৪) আলিপুরদুয়ার – জন বারলা – বিজেপি ।
৫) রায়গঞ্জ – দেবশ্রি চৌধুরী – বিজেপি ।
৬) বালুরঘাট – ডঃ সুকান্ত মজুমদার – বিজেপি ।
৭) মালদহ উত্তর – খগেন মুরমু – বিজেপি ।
৮) মালদহ দক্ষিণ – আবু হাসেন খান চৌধুরী – কংগ্রেস ।
৯) জঙ্গিপুর - খলিলুর রহমান - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১০) মুর্শিদাবাদ - আবু তাহের খান - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১১) বহরমপুর – অধির রঞ্জন চৌধুরি - কংগ্রেস ।
১) দার্জিলিং – রাজু সিং বিস্তা – বিজেপি ।
২) জলপাইগুড়ি – জয়ন্ত রায় – বিজেপি ।
৩) কোচবিহার – নিশীথ প্রামানিক – বিজেপি ।
৪) আলিপুরদুয়ার – জন বারলা – বিজেপি ।
৫) রায়গঞ্জ – দেবশ্রি চৌধুরী – বিজেপি ।
৬) বালুরঘাট – ডঃ সুকান্ত মজুমদার – বিজেপি ।
৭) মালদহ উত্তর – খগেন মুরমু – বিজেপি ।
৮) মালদহ দক্ষিণ – আবু হাসেন খান চৌধুরী – কংগ্রেস ।
৯) জঙ্গিপুর - খলিলুর রহমান - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১০) মুর্শিদাবাদ - আবু তাহের খান - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১১) বহরমপুর – অধির রঞ্জন চৌধুরি - কংগ্রেস ।
১২) কৃষ্ণনগর - মহুয়া মৈত্র - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৩) রানাঘাট – জগন্নাথ সরকার – বিজেপি ।
১৪) বর্ধমান পূর্ব - সুনীল মণ্ডল - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৫) বর্ধমান-দুর্গাপুর – এস.এস আলুয়ালিয়া - বিজেপি ।
১৬) আসানসোল – বাবুল সুপ্রিয় - বিজেপি ।
১৭) বোলপুর - অসিত মাল - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৮) বীরভূম - শতাব্দী রায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৯) বনগাঁ – শান্তনু ঠাকুর – বিজেপি ।
২০) ব্যারাকপুর – অর্জুন সিং – বিজেপি ।
২১) হাওড়া - প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২২) উলুবেড়িয়া - সাজদা আহমেদ - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৩) শ্রীরামপুর - কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৪) হুগলি – লকেট চ্যাটার্জি – বিজেপি ।
২৫) ঘাটাল - দীপক অধিকারী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৬) আরামবাগ - অপরূপা পোদ্দার - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৭) তমলুক - দিব্যেন্দু অধিকারী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৮) কাঁথি - শিশির অধিকারী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৯) ঝাড়গ্রাম – কুয়ার হেমব্রম – বিজেপি ।
৩০) মেদিনীপুর – দীলিপ ঘোষ – বিজেপি ।
৩১) পুরুলিয়া – জ্যোতির্ময় মাহাত – বিজেপি ।
৩২) বাঁকুড়া – সুভাষ সরকার - বিজেপি ।
৩৩) বিষ্ণুপুর – সৌমিত্র খাঁ – বিজেপি ।
৩৪) দমদম - সৌগত রায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৫) বারাসত - কাকলি ঘোষ দস্তিদার - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৬) বসিরহাট - নুরসরত জাহান - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৭) জয়নগর - প্রতিমা মণ্ডল - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৮) মথুরাপুর - চৌধুরী মোহন জাটুয়া - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৯) ডায়মন্ডহারবার - অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৪০) যাদবপুর - মিমি চক্রবর্তী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৪১) কলকাতা দক্ষিণ - মালা রায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৪২) কলকাতা উত্তর - সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৩) রানাঘাট – জগন্নাথ সরকার – বিজেপি ।
১৪) বর্ধমান পূর্ব - সুনীল মণ্ডল - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৫) বর্ধমান-দুর্গাপুর – এস.এস আলুয়ালিয়া - বিজেপি ।
১৬) আসানসোল – বাবুল সুপ্রিয় - বিজেপি ।
১৭) বোলপুর - অসিত মাল - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৮) বীরভূম - শতাব্দী রায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
১৯) বনগাঁ – শান্তনু ঠাকুর – বিজেপি ।
২০) ব্যারাকপুর – অর্জুন সিং – বিজেপি ।
২১) হাওড়া - প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২২) উলুবেড়িয়া - সাজদা আহমেদ - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৩) শ্রীরামপুর - কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৪) হুগলি – লকেট চ্যাটার্জি – বিজেপি ।
২৫) ঘাটাল - দীপক অধিকারী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৬) আরামবাগ - অপরূপা পোদ্দার - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৭) তমলুক - দিব্যেন্দু অধিকারী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৮) কাঁথি - শিশির অধিকারী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
২৯) ঝাড়গ্রাম – কুয়ার হেমব্রম – বিজেপি ।
৩০) মেদিনীপুর – দীলিপ ঘোষ – বিজেপি ।
৩১) পুরুলিয়া – জ্যোতির্ময় মাহাত – বিজেপি ।
৩২) বাঁকুড়া – সুভাষ সরকার - বিজেপি ।
৩৩) বিষ্ণুপুর – সৌমিত্র খাঁ – বিজেপি ।
৩৪) দমদম - সৌগত রায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৫) বারাসত - কাকলি ঘোষ দস্তিদার - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৬) বসিরহাট - নুরসরত জাহান - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৭) জয়নগর - প্রতিমা মণ্ডল - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৮) মথুরাপুর - চৌধুরী মোহন জাটুয়া - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৩৯) ডায়মন্ডহারবার - অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৪০) যাদবপুর - মিমি চক্রবর্তী - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৪১) কলকাতা দক্ষিণ - মালা রায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
৪২) কলকাতা উত্তর - সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় - তৃণমূল কংগ্রেস ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । খবর বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আপনার বাম পাশে সময় লেখাটির উপর ক্লিক করুন । ধন্যবাদ ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷