আপনার সাস্থ্য রক্ষার জন্য কি কি খাবার খাবেন ?
সাস্থ্য মানুষের সব থেকে বড় সম্পদ । সেই
সম্পদকে যদি ভাল রাখতে চান তাহলে খাওয়ার সময় কতগুলি কথা আপনাকে মনে রাখতে হবে ।
কোন খাদ্যে কি গুন তা আগে আমাদের ভাল করে জানতে হবে । আপনি কোন কোন খাবার খাবেন তা
আপনার জানার প্রয়োজন । সঠিক ভাবে খাবার খাওয়ার ফলে আপনি একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ
বা মহিলা হয়ে ওঠবেন । এখন আমি জানাবো যে, আপনি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন
খাবার খাবেন। সবকিছু জানতে হলে লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন ।
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কলা পাতাতে খাওয়ার প্রচলন ছিল, এখন আর নেই বলা যায় । আপনি কি জানেন যে কলা পাতায় ভাত খেলে ২৮ টি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন । মাটিতে আসন পেতে খেতে হবে । কলা পাতায় সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম গুন বিশিষ্ট ট্যানিন পাওয়া যায় । বীচিকলা, কাঁঠালি কলার মোচা স্বাস্থ্যের জন্য খাওয়া ভাল ।
যারা
নিরামিষ খাবার খান আপনারা যা যা খাবেন – কচু, ওল, ছানা, দুধ, ডুমুর, সজনে
ডাঁটা, থোড়, মোচা, কলা, আম, চালকুমড়ো, পেঁপে, পটল, উচ্ছে, করলা, লাউ, মুলো, ঝিঙে, ডাল, টকদই ইত্যাদি । আলুতে ব্লাড সুগার হয় তাই ডালে আলু না খাওয়া ভাল ।
দুপুরে
ঘুমলে বা বেশি খেলে যাদের অম্বল হয় তাঁরা খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পর জল খান । একটু
বেশি করে জল খাবেন । অম্বল হলে স্যালাড, টক
খাবেন । স্যালাড বানান মুলো, টম্যাটো, পিয়াজ, শসা, গাজর
বিট দিয়ে । স্যালাড ছাড়া হাতের তৈরি রুটি খাবেন না ।
গরম
জল আর পাতিলেবুর রস একসাথে খেলে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । যাদের প্রস্রাবে
দুর্গন্ধ হয় তাঁরা লেবুর রস দিয়ে অনেকটা পরিমাণে জল খাবেন । জল কম বা বেশি খেলে
বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় । তাই পরিমাণ মত জল পান করুন । সারা দিনে দুই থেকে আড়াই
লিটার জল খাবেন ।
দুধ
এমন একটা খাবার যা শিশুদের জন্য সকল দরকারি উপাদান সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায় । দুধ
খেলে শিশুদের দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয় পূরণ, দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে পরিচালনা ও দেহের উষ্ণতা বজায় রাখতে
সাহায্য করে ।
আমাদের
শরীরে জীবনী শক্তি বাড়াতে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে, দেহে
শক্তি জোগাতে যে উপাদানের প্রয়োজন হয় তা হল ভিটামিন । ভিটামিন এ থেকে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ইনফুয়েঞ্জা, কান
ও চোখের রোগ সারানোর ক্ষমতা থাকে । শাকসবজি, ফল, দুধ, ডিম, মাখন, পালংশাক, গাজর, বাঁধাকপি, পাকা
আম, টম্যাটো, খাসির চর্বি, মটর শুটি, রাঙা আলু, পাঁঠার মেটুলি ইত্যাদিতে ভিটামিন
এ থাকে ।
ভিটামিন
বি এর অভাবে মুখে জিভে ঘা, ওজন কম, স্তনে দুধের অভাব, বেরি-বেরি, অজীর্ণ
শীর্ণতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রভৃতি রোগ দেখা যায় । সয়াবিন, মাছের
ডিম, দুধ, লেবু, মাংস, ছানা, ছোলা, নারকেল, ডিমের কুসুম, ছাতু, আলু, কমলা লেবু, চিনা বাদাম ইত্যাদিতে ভিটামিন
বি থাকে ।
ভিটামিন
সি এর অভাবে স্কার্ভি, দাঁত ও অস্থির অপুষ্টি, খিটখিটে
ভাব, শিশুদের ওজন কম হওয়া ইত্যাদি দেখা যায় । দুধ, দই, লেবু, টম্যাটো, বাঁধাকপি, রাঙা
আলু, তরমুজ, আনারস, আপেল, ছোলা, পালংশাক ইত্যাদিতে ভিটামিন
সি থাকে ।
ভিটামিন
ডি ও ই পাওয়া যায় - কর্ড লিভার ও সার্ক লিভার তেল, দুধ, মাখন, ডিমের
কুসুম, সূর্যের আলো । বাদাম, নারকেল
কলা, মাংস, ডিম ইত্যাদিতে ভিটামিন ই পাওয়া যায় ।
ব্লাড
সুগার আছে যাদের তাঁরা সকালে খালি পেটে হাঁটবেন । হাই প্রেশারের রোগীরাও সকালে
হাঁটবেন । লো প্রেশারের রোগীরা বেশি বিশ্রাম নেবেন । উপবাস বিনা কারনে করবেন না ।
হাঁপানির রোগীরা কাঁকড়া খাবেন না, বেশি কথা বলবেন না ।
রাতে খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যাবেন না, আধ
ঘণ্টা পরে ঘুমবেন । দিনের বেলা ঘুমবেন না, বাচ্চা, বয়স্ক
ও রোগীরা ঘুমবেন ।
ভাঙ্গা
ডিম খাবেন না, কারন এতে সংক্রামক রোগ দেখা যায় । ইলিশ
মাছ, ডিম, কাঁকড়া, বেগুন বেশি না খাওয়া ভাল । মাছ, মাংস, দুধ
একসাথে খাবেন না । ইলিশ মাছ পর পর কয়েক দিন খাবেন না । ভরা পেটে ঘি খাবেন না ।
বাচ্চারা রেগে রাত্রে না খেয়ে ঘুমান ঠিক না । পর পর কয়েক দিন এরকম করলে পরে বড়
ধরনের রোগ হতে পারে ।
বেশি
ভাজাভুজি খাবার খাবেন না । রঙ দেওয়া খাবার যেমন-মিহিদানা, বোঁদে, কমলা
ভোগ বেশি খাবেন না । গরম খাবারের পর ঠাণ্ডা খাবার, বা
ঠাণ্ডা খাবারের পর গরম খাবার খাবেন না । সারা জীবন সুস্থ সুন্দর থাকার জন্য খাবার
খান সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে ।
আমাদের লেখা
আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার
বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট
পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷