ম্যাপ বা মানচিত্রের সাহায্যে পৃথিবী চিনবেন কিভাবে ?.
রাহুল
কয়েকদিন আগে একটি অচেনা জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিল । বিকেলে আকাশ মেঘলা করে বৃষ্টি
শুরু হল । এর মধ্যে সে রাস্তা হারিয়ে ফেলল । আকাশে মেঘ থাকার জন্য দিক ঠিক করতে
পারছেনা । একজনকে বলায় সে বলল সোজা উত্তর দিকে চলে যেতে । কিন্তু, উত্তর দিক কোনটা
বুঝতে পারছেনা । তাহলে আমাদের কাছে কি থাকলে কোন দিক বা জায়গা সম্বন্ধে ধারণা করতে
পারি ? উত্তর হল ওই এলাকার ম্যাপ বা মানচিত্র ।
খ্রিস্ট জন্মের ২৫০০ বছর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র আবিষ্কৃত হয় ব্যাবিলনে । মানচিত্রটি একটি পোড়া মাটির ফলকের উপর আঁকা ছিল । ষোড়শ শতাব্দীতে ১৫৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভূগোল বিদ মার্কেটর প্রথম মানচিত্র বই প্রকাশ করেন । গ্রিক পুরাণের দেবতা ‘Atlas’ এর নাম অনুসারে নাম করণ করা হয় Atlas’ । বর্তমানে মানচিত্র বইকেও Atlas’ বলা হয় । মানচিত্র প্রাচীনকালে চামড়া, কাপড়, তুলোট কাগজের ওপর সাধারণত আঁকা হত । ম্যাপ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ ‘ম্যাপা’ থেকে, যার অর্থ কাপড় । মানচিত্র আঁকার বিদ্যাকে বলা হয় কার্টোগ্রাফি । বর্তমানে ঘরে বসেই উপগ্রহের চিত্রের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা মানচিত্র তৈরি করা যায় ।
অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।
খ্রিস্ট জন্মের ২৫০০ বছর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র আবিষ্কৃত হয় ব্যাবিলনে । মানচিত্রটি একটি পোড়া মাটির ফলকের উপর আঁকা ছিল । ষোড়শ শতাব্দীতে ১৫৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভূগোল বিদ মার্কেটর প্রথম মানচিত্র বই প্রকাশ করেন । গ্রিক পুরাণের দেবতা ‘Atlas’ এর নাম অনুসারে নাম করণ করা হয় Atlas’ । বর্তমানে মানচিত্র বইকেও Atlas’ বলা হয় । মানচিত্র প্রাচীনকালে চামড়া, কাপড়, তুলোট কাগজের ওপর সাধারণত আঁকা হত । ম্যাপ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ ‘ম্যাপা’ থেকে, যার অর্থ কাপড় । মানচিত্র আঁকার বিদ্যাকে বলা হয় কার্টোগ্রাফি । বর্তমানে ঘরে বসেই উপগ্রহের চিত্রের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা মানচিত্র তৈরি করা যায় ।
মানচিত্র ছাড়াও আরও কতগুলির উপাদানের দ্বারা
কোন অঞ্চলের বা জায়গা সম্বন্ধে জানতে পারি । গ্লোব হল পৃথিবীর একটি ছোটো মডেল বা
ক্ষুদ্র প্রতিরূপ । তবে, গ্লোবের দ্বারা বেশি তথ্য পাওয়া যায়না । তাছাড়াও স্কেচ ও
প্ল্যান-এর দ্বারা কোনও অঞ্চল সম্বন্ধে ধারণা করা যায় । স্কেচ থেকে দিক ও দূরত্ব
সঠিক পাওয়া যায়না । পৃথিবী সম্বন্ধে সঠিক ভাবে
জানতে সবথেকে ভাল ও সহজ উপায় হল ম্যাপ বা মানচিত্র । পৃথিবী গোলাকার তাই
তাঁকে সমতল কাগজে আঁকতে গেলে অনেক ত্রুটি হয় ।
মানচিত্রে বিভিন্ন তথ্য ও নানা বিষয় দেখানো হয়
। যে মানচিত্রে নদনদী, মালভূমি, পাহাড়-পর্বত, সমভূমি ইত্যাদি দেখানো হয় সেই
মানচিত্রকে প্রাকৃতিক মানচিত্র বলে । যে মানচিত্রে জেলা, দেশ, মহাদেশ ইত্যাদি
দেখানো হয় তাকে রাজনৈতিক মানচিত্র বলে । আবার যেসব মানচিত্রে আবহাওয়া, রেলপথ, সড়কপথ,
জনসংখ্যা, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি নির্দিষ্ট বিষয় দেখানে হয় তাকে বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র
বলা হয় ।
মানচিত্র আঁকার জন্য আমাদের কতগুলি অপরিহার্য
উপাদানের দরকার হয় । পুরো পৃথিবীকে আমরা একসাথে দেখতে পাইনা । একটি নির্দিষ্ট
স্কেল অনুসারে পৃথিবী বা তার কোন অংশকে মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয় । যখন ছোটো
স্থানে পুরো পৃথিবী, দেশ বা মহাদেশ দেখানো হয় তখন তাকে ছোটো স্কেল মানচিত্র বলে ।
এখানে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়না । আবার যেসব মানচিত্রে ছোটো এলাকাকে বড়ো করে
দেখানো হয় তাকে বড়ো স্কেল মানচিত্র বলে । এখানে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় ।
মানচিত্রের কোনও বড়ো এলাকাকে পুরোটা দেখানোর
জন্য তাকে বাস্তব দূরত্বের তুলনায় আকারে ছোটো করে দূরত্ব দেখানো হয় । পৃথিবীর দুটি
স্থানের মধ্যে যে নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুপাতে মানচিত্রের দূরত্ব দেখা যায় তাকে বলা
হয় মানচিত্রের স্কেল । মানচিত্রে দুটি স্থানের মধ্যে বাস্তব দূরত্ব বের করার জন্য
প্রথমে স্থান দুটিকে একটি সরল রেখায় যোগ করতে হবে । এরপর মানচিত্র দূরত্বকে
মানচিত্রের স্কেল দিয়ে গুন গুন করতে হবে । পৃথিবীর ম্যাপের মধ্যে আমরা ভারত বা
বাংলাদেশেকে খুব ছোটো দেখি । কিন্তু, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে দেখলে একটু বড়ো দেখা
যায় । এর কারণ হল – পৃথিবীর মানচিত্রে
অনেক দেশ, মহাদেশ থাকার জন্য ছোটো দেখায়, আর এশিয়াতে কয়েকটি দেশ থাকার জন্য বড়ো
দেখায় ।
মানচিত্রে যখন কোন এলাকাকে ছোটো করে দেখানো হয়
তখন সেখানে কি কি আছে তা বোঝাবার জন্য কিছু সংকেত, রঙ, প্রতীক, চিহ্ন ইত্যাদি
ব্যবহার করা হয় । পৃথিবীর সমস্ত দেশের মানচিত্রে কিছু নির্দিষ্ট সংকেত, রঙ,
প্রতীক, চিহ্ন একই অর্থের জন্য ব্যবহার করা হয় । তাকে প্রচলিত বা প্রথাগত প্রতীক
চিহ্ন বলে । এরকম কয়েকটি হল – পাহাড় পর্বতের জন্য খয়েরি বা বাদামি, জলের জন্য নীল,
সমভূমি বা বনভূমির জন্য সবুজ, কৃষিজমির জন্য হলুদ রঙ ।
এছাড়া শিরোনাম থাকে, যার সাহায্যে মানচিত্রের
বিষয় বস্তুর ধারণা পাওয়া যায় । উত্তর দিক দেখানো তিরচিহ্ন, দিক নির্ণয় করার জন্য ।
যদি কোন মানচিত্রে দিক চিহ্ন না থাকে তবে তার উপরের দিক উত্তর দিক, নীচের দিক
দক্ষিণ দিক, ডানদিকে পূর্বদিক ও বামদিকে পশ্চিম দিক হয় । মানচিত্রে অসংখ্য ধরণের
তথ্য দেওয়া থাকে । নির্দেশিকায় তার অর্থ দেওয়া থাকে । তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে –
মানচিত্রকে সঠিক ভাবে যদি না পড়তে পারেন তাহলে মানচিত্রে দেখানো কোন অঞ্চল
সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করতে পারবেন না ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে
কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ভূগোল
ও জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ভূগোল
ও জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক
ধন্যবাদ ।
অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।