শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কম্প্যুটার ভাইরাস কাকে বলে, ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কি কি ?.


  দশ বছরের ছোট রিয়া সে আজ তাঁর বাবার সাথে ডাক্তার বাবুর কাছে এসেছে । ডাক্তার বাবু রিয়াকে দেখে বললেন – রিয়া তোমার তো ভাইরাস থেকে জ্বর হয়েছে । তখন রিয়া বলল – ডাক্তার বাবু ভাইরাস তো মোবাইল কম্প্যুটারে হয় । ডাক্তার বাবু বললেন – এখানে ভাইরাস হল এক প্রকার জীবাণু যা আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরণের অসুখ তৈরি করে । তাহলে মোবাইল কম্প্যুটার ভাইরাস কি ?.


 মোবাইল কম্প্যুটার ভাইরাস হল এমন একটি ঘাতক কম্প্যুটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়ার যা কিনা আমাদের কম্প্যুটারে আমাদের অজান্তে প্রবেশ করে । প্রবেশ করার পর সাধারণত ব্যবহারকারীর কম্প্যুটারে বিভিন্ন ফাইল, হার্ড ডিস্ক, ও অন্যান্য প্রোগ্রামের ক্ষতি করে । ভাইরাস গুলি ব্যবহারকারী বোঝার আগে কম্প্যুটারে ক্ষতি করে দেয় । এরফলে কম্প্যুটারের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায় । অনেক সময় দেখা যায় এই ভাইরাস গুলির মধ্যে মজার মেসেজ বা ছবি দেখতে পাওয়া যায় । ভুল ফলাফল প্রদান করে, গড়বড় হয়ে যায় । আপনি যদি দেখেন যে আপনার কম্প্যুটার আগের মত কাজ করতে পারছেনা, কাজে দেরি হচ্ছে, তাহলে বুজতে হবে যে ভাইরাস আক্রমণ করেছে ।


  ভাইরাস গুলি বিভিন্ন প্রকারের হয় - ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস - বিভিন্ন প্রোগ্রামে যে সমস্ত একজিকিউটিভ ফাইল থাকে সেগুলি নষ্ট করে দেয় । এরফলে সেই প্রোগ্রাম আর কাজ করতে পারেনা । বুট ভাইরাস - কম্প্যুটার বুট হওয়ার সময় লোড হয়ে বুটিং সমস্যা তৈরি করেন । ম্যাক্রো ভাইরাস - এক্সেল, এম,এস,ওয়ার্ড ইত্যাদি প্রোগ্রামের ক্ষতি করে । কয়েকটি ভাইরাস হল – Worm.Win32.FiyStudio.co/ Pack.Win32.Black.d

  ভাইরাস কিভাবে আসে – বিভিন্ন কারণে আমাদের কম্প্যুটার ভাইরাস আসতে পারে । আপনি যদি কোন ভাইরাস যুক্ত ফাইল খোলেন, ভাইরাস যুক্ত সফটওয়ার বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন । ই-মেলের সাথে যে অ্যাটাচ করা ফাইল থাকে সেগুলি ভাইরাস থাকলে । সেই ই-মেল যদি আপনি কাউকে পাঠান তবে তাঁর কম্প্যুটার ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে । কোন অপরিচিত ও অ্যাটাচ করা ই-মেল খুলবেন না । কারণ অপরিচিত ই-মেলের মাধ্যমে ভাইরাস আসতে পারে । সেই ই-মেল খোলার আগে ডিলিট করবেন । কোনো সিডি, ডিভিডি, বা ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করার সময়ও আসতে পারে । যেকোন সাধারণ সাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন না ।  যেকোনো প্রোগ্রামার তাঁর মত করে ভাইরাস বানায়, তাই ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য সবসময় খেয়াল রাখবেন ।


 ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় – যদি আপনার কম্প্যুটারে ভাইরাস প্রবেশ করে, ফাইল গুলিকে নষ্ট করে দেয় তাহলে খুব সমস্যা । এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে । এই সব সমস্যা প্রতিকারের জন্য আমাদের কাছে আছে এন্টিভাইরাস । তাহলে এন্টিভাইরাস কি ? এটি হল এক প্রকারের সফটওয়ার বা প্রোগ্রাম, যে প্রোগ্রাম ভাইরাস নষ্ট করে ফাইল গুলিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনতে পারে । যখন কম্প্যুটারে কোনো ভাইরাস দেখতে পাওয়া যায় তখন এন্টিভাইরাস ভাইরাসকে নষ্ট করে দেয় । প্রতিদিন আমাদের পৃথিবী উন্নত হচ্ছে, আবার নতুন নতুন ভাইরাস বানান হচ্ছে । এখন বাজারে বিভিন্ন প্রকারের এন্টিভাইরাস কিনতে পাওয়া যায় ।
   আপনার যেটি ভাল লাগে আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারেন । বিনামূল্যে এন্টিভাইরাস গুলি ট্রায়াল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন । ফ্রী এন্টিভাইরাস দিয়ে ভাইরাস ডিলিট করা যায় না । এর জন্য পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন । কম্প্যুটারে ইন্টারনেট চালানোর আগে অবশ্যই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন । ইন্টারনেট থেকে ভাইরাস আসে । আপডেট করা এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন, যা নতুন নতুন ভাইরাস সহজে মোকাবিলা করতে পারে । সাধারণ কথাটা মনে রাখুন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, এতে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন এবং আপনার কম্পিউটার ও সুরক্ষিত থাকবে। এবার চিন্তা না করে ইন্টারনেট চালানো যেতে পারে । কয়েকটি এন্টিভাইরাস হল – Quick Heal, Norton, AVG, Nod 32, Kaspersky, McAfee.
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইন্টারনেট বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ইন্টারনেট লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷