সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

এরোপ্লেনের ব্ল্যাক বক্স কি, এর কাজ কি ?.


 যদি তুলনা করা হয় যে কোন যানে যাতায়াত করা সবথেকে বেশি সুবিধা ও আরামদায়ক, সবাই এক কথায় উত্তর দেবেন এরোপ্লেন । আবার এখানে যাতায়াতের একটা ঝুঁকি থেকে যায় । এরোপ্লেনের সাথে ব্ল্যাক বক্সের একটা যোগ রয়েছে । এটি বিমানে ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস, যার সাহায্যে বিমানের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যেটি কোনো বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ব্যবহৃত হয় । অনেকে এই ব্ল্যাক বক্স সম্পর্কে জানেন না, অনেকে আবার সামান্য কিছু জানেন । এখন আমরা জানব যে - ব্ল্যাক বক্স কি, এর কাজ কি, কে আবিষ্কার করেন ইত্যাদি । ব্ল্যাক বক্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের লেখাটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন । 


 ফ্লাইট রেকর্ডার, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত । অস্ট্রেলীয় সরকারের অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন এটি প্রথম আবিষ্কার করেন । ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করা হয় । এবার আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসে যে - ব্ল্যাক বক্স আসলে দেখতে কেমন হয় । এর নাম যখন ব্ল্যাক বক্স অবশ্যই এটা দেখতে কালো হবে । এমনটা কি আপনি এখন ভাবছেন । আসলে মোটে সে রকম নয় । 
  ব্ল্যাক বক্স এর রং হল কমলা । কমলা রঙের বানানো হয় এর কারণ রয়েছে । কারণটি হল – মাটিতে বা অন্য কোন জায়গায় একে কমলা রঙের জন্য সহজে খুঁজে পাওয়া যায় । বিমান যখন আকাশে উড়ে তখন এই ব্ল্যাক বক্স এরোপ্লেনের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাখে । এরোপ্লেনের ব্ল্যাক বক্স দুভাবে কাজ করে – ১) ককপিটের ভয়েস রেকর্ড করা, ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যের কথাবার্তা, পাইলটদের সাথে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিট এর সাথে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমান বন্দরের সাথে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড করা হয় । ২) বিমানের সমস্ত ডাটা রেকর্ড করা । এটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময়, শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে । এটিকে বিমানের এমন এক জায়গায় রাখা হয় যাতে এর কোন ক্ষতি না হয় । বিমানের ৮৮ রকম ডাটা এই ব্ল্যাক বক্স জমা করে রাখা হয় ।
 ব্ল্যাক বক্স টাইটানিয়াম, স্টিল ইত্যাদি ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়, যার দ্বারা এটি অনেক ক্ষমতাশালী হয় । টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয় । যদি বিমান দুর্ঘটনা হয় তাহলে বিমানের ক্ষতি হলেও ব্ল্যাক বক্সের তেমন কিছু ক্ষতি হয় না । যদিও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এই ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে জানা যায় যে কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । কারণ, এটি পাওয়া গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয় । ব্ল্যাক বক্সের ডাটা পুনরুদ্ধার করে সহজে বোঝা যায় যে – বিমানের কোন অংশ বা যন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়া, বা চালকের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
 ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা থাকে যার ফলে এটি জলের মধ্যে পড়লেও এর কোন ক্ষতি হয় না । জলের মধ্যে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি ৩০ দিন পর্যন্ত কাজ করতে পারে । জলের মধ্যে থেকেও এটি সংকেত পাঠাতে পারে । ৬ হাজার মিটার গভীরে জলের নিচে একটি ব্ল্যাক বক্স অক্ষত থাকতে পারে । তবে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি যতদিন কাজ করবে ততদিনই এটি এই সিগন্যাল পাঠাতে পারে । প্রায় ১৫-২০ হাজার ফুট দূর থেকে ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় । ব্ল্যাক বক্সকে সাধারণত বিমানের পিছন দিকে রাখা হয় । এরফলে বিমান ক্ষতি হলেও এর কোন ক্ষতি হয় না । ব্ল্যাক বক্সের কাঠামোটি দেখতে একটি সিলিন্ডারের মত, যেটি একটি প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত থাকে । সিলিন্ডারের পাশে বক্স আকারের কাঠামোর মধ্যে এর ব্যাটারি থাকে, আর সিলিন্ডারে থাকে মেমোরি ইউনিট । ২৫০ থেকে ১০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ১০-১২ ঘণ্টা থাকতে পারে । ঠাণ্ডাতে -৫৫ থেকে -৭৫ ডিগ্রী পর্যন্ত তাপমাত্রায় এটি কাজ করতে সক্ষম ।


  ফ্লাইট রেকর্ডার, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত । অস্ট্রেলীয় সরকারের অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন এটি প্রথম আবিষ্কার করেন । ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করা হয় । এবার আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসে যে - ব্ল্যাক বক্স আসলে দেখতে কেমন হয় । এর নাম যখন ব্ল্যাক বক্স অবশ্যই এটা দেখতে কালো হবে । এমনটা কি আপনি এখন ভাবছেন । আসলে মোটে সে রকম নয় । ব্ল্যাক বক্স এর রং হল কমলা । কমলা রঙের বানানো হয় এর কারণ রয়েছে । কারণটি হল – মাটিতে বা অন্য কোন জায়গায় একে কমলা রঙের জন্য সহজে খুঁজে পাওয়া যায় । বিমান যখন আকাশে উড়ে তখন এই ব্ল্যাক বক্স এরোপ্লেনের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাখে । এরোপ্লেনের ব্ল্যাক বক্স দুভাবে কাজ করে – ১) ককপিটের ভয়েস রেকর্ড করা, ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যের কথাবার্তা, পাইলটদের সাথে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিট এর সাথে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমান বন্দরের সাথে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড করা হয় । ২) বিমানের সমস্ত ডাটা রেকর্ড করা । এটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময়, শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে । এটিকে বিমানের এমন এক জায়গায় রাখা হয় যাতে এর কোন ক্ষতি না হয় । বিমানের ৮৮ রকম ডাটা এই ব্ল্যাক বক্স জমা করে রাখা হয় ।

 ব্ল্যাক বক্স টাইটানিয়াম, স্টিল ইত্যাদি ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়, যার দ্বারা এটি অনেক ক্ষমতাশালী হয় । টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয় । যদি বিমান দুর্ঘটনা হয় তাহলে বিমানের ক্ষতি হলেও ব্ল্যাক বক্সের তেমন কিছু ক্ষতি হয় না । যদিও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এই ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে জানা যায় যে কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । কারণ, এটি পাওয়া গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয় । ব্ল্যাক বক্সের ডাটা পুনরুদ্ধার করে সহজে বোঝা যায় যে – বিমানের কোন অংশ বা যন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়া, বা চালকের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।

 ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা থাকে যার ফলে এটি জলের মধ্যে পড়লেও এর কোন ক্ষতি হয় না । জলের মধ্যে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি ৩০ দিন পর্যন্ত কাজ করতে পারে । জলের মধ্যে থেকেও এটি সংকেত পাঠাতে পারে । ৬ হাজার মিটার গভীরে জলের নিচে একটি ব্ল্যাক বক্স অক্ষত থাকতে পারে । তবে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি যতদিন কাজ করবে ততদিনই এটি এই সিগন্যাল পাঠাতে পারে । প্রায় ১৫-২০ হাজার ফুট দূর থেকে ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় । ব্ল্যাক বক্সকে সাধারণত বিমানের পিছন দিকে রাখা হয় । এরফলে বিমান ক্ষতি হলেও এর কোন ক্ষতি হয় না । ব্ল্যাক বক্সের কাঠামোটি দেখতে একটি সিলিন্ডারের মত, যেটি একটি প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত থাকে । সিলিন্ডারের পাশে বক্স আকারের কাঠামোর মধ্যে এর ব্যাটারি থাকে, আর সিলিন্ডারে থাকে মেমোরি ইউনিট । ২৫০ থেকে ১০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ১০-১২ ঘণ্টা থাকতে পারে । ঠাণ্ডাতে -৫৫ থেকে -৭৫ ডিগ্রী পর্যন্ত তাপমাত্রায় এটি কাজ করতে সক্ষম ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে বিজ্ঞান লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷