অনলাইন অপরাধ থেকে আপনি নিজেকে কিভাবে বাঁচাবেন ?.
প্রতিদিন আমরা
পৃথিবীর কোনও না
কোনও স্থানে অনলাইন অপরাধের কথা শুনতে পাই । পৃথিবী তথা ভারতে বর্তমান সময়ে কম্প্যুটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রচুর মাত্রায় করা হয় । দিনে
দিনে তার পরিমাণ খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাচ্ছে । সেই
সঙ্গে কম্প্যুটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইম বা অনলাইন অপরাধ প্রচুর দেখা
যাচ্ছে । এখানে এক শ্রেণির প্রতারক ছল-চাতুরি ও নানা সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে
সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ।
২) মোবাইল,
প্যান, আধার, ইমেল নম্বর একসাথে কোনও আদান প্রদান করার সময় দেবেন না । আপনি যে
ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেই ব্যাঙ্কের নির্দেশাবলী ভাল করে পালন করুন । আপনার কাছে
ব্যাঙ্কের নাম করে যদি মেসেজ বা ফোন আসে তবে ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করুন । ডেভিড
কার্ডের পিন নম্বর কয়েকদিন পর পর পরিবর্তন করবেন । অনলাইনে
ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ও অ্যাকাউন্ট থেকেও অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা । তাই অপরিচিত
কেউ ফোনে এটি-এম কার্ড সম্পর্কে তথ্য চাইলে তা দেবেন না । এ ধরনের প্রতারণার শিকার
হলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । কারণ প্রতারকরা কোন অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তুলে খুব দ্রুত অন্য অ্যাকাউন্টে
পাঠিয়ে দেয় । এ ক্ষেত্রে অর্থ ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে । তাই সবাইকে সতর্ক
থাকতে হবে । এ.টি.এম থেকে টাকা তোলার সময় কাজ
সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এ.টি.এম থেকে বেরবেন না । যদি আপনার কোনও আদান প্রদান
কারার সময় সন্দেহ থাকে বা অকারণে টাকা কাটা হয়ে থাকে তাড়াতাড়ি ব্যাঙ্কের সাথে
যোগাযোগ করবেন ।
সরকারি বা ব্যক্তিগত কোনও কোম্পানির তথ্য সর্ব
সাধারণকে জানানো, ইমেইলের দ্বারা স্প্যাম, কোনও বিশেষ বস্তুর প্রচার, ভাইরাস ইমেইলের
মাধ্যমে ছড়ানো, পর্ণগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়া, কোনও বিশেষ সফটওয়ারের কাজে বাধা প্রদান
ইত্যাদি করে ।
কম্প্যুটার ও
ইন্টারনেটের দ্বারা ঘটানো কোনও অপরাধকে সাইবার ক্রাইম বলা হয় । এর জন্য অপরাধী
দূরে কোনও স্থানে বসে হ্যাকিং দ্বারা উপরে বলা কাজ গুলি করে থাকে । তাই আপনাকে এই
অনলাইন অপরাধ থেকে বাঁচার উপায় জানা অবশ্যই দরকার । অনলাইন অপরাধ থেকে বাঁচতে
আপনাকে যে দিক গুলি নজর দিতে হবে সেগুলি নিচে দেওয়া হল, অনলাইন পতারণার স্বীকার হতে
না চাইলে এগুলি খেয়াল করে রাখুন ।
১) ইন্টারনেট ব্যাংকিং
বা অনলাইন ব্যাংকিং এ কাজ শেষ হওয়ার পর Log out না করে থাকেন তাহলে অবশ্যই Log out করবেন । পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে ‘রিমেম্বার পাসওয়ার্ড’ বা ‘কিপ লগইন’ অপশনে কোনও
ক্লিক করবেন না । কখন সাইবার ক্যাফে, অফিসে বা সর্বজনীন স্থানে ব্যাঙ্কের আদান
প্রদান করবেন না । কখন জন্ম তারিখ বা নামের দ্বারা সাধারণ কোনও পাসওয়ার্ড তৈরি
করবেন না । নতুন পাসওয়ার্ড তৈরির সময় অক্ষর, নম্বর ও বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করবেন । একটি
শক্ত ও জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করুন । আপনার পাসওয়ার্ড কাউকে কখন জানতে দেবেন না । ইন্টারনেট
ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড, ইমেল পাসওয়ার্ড কখন এক রাখবেন না । একি রকম হলে পাসওয়ার্ড
চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে যায় । সোশাল
নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন – ফেসবুক, টুইটার এগুলোর পাসওয়ার্ড সব আলাদা রাখবেন । এতগুলো
পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন তাই আপনি একটি ডাইরিতে বা কাগজে লিখে রাখুন । অন্য কারোর
হাতে সেগুলি যেন না পড়ে ।
৩) আপনার কাছে
কোনও ওয়েবসাইট থেকে উপহার, গেম বা অন্যান্য লিঙ্ক এলে সতর্ক থাকবেন । কোনও অফার
এলে সরাসরি সেই কোম্পানির ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করবেন । অফারটি নেওয়ার আগে
অফারটি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জেনে তবে অফার গ্রহণ করবেন । না হলে আপনি ফাঁদে
পড়ে আপনার অর্থ ও নানা তথ্য বাইরে চলে যেতে পারে ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনও
প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে
দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান ও ইন্টারনেট বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে বিজ্ঞান ও ইন্টারনেট লেখাটির
উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷