ফল ও শাকসবজির সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা কিভাবে করবেন ?.
আমরা ফল ও শাকসবজির দ্বারা
বিভিন্ন ভাবে আমাদের ত্বকের পরিচর্যা করতে পারি । আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ ।
আমাদের দেশে শীতকালে বাজারে অনেক পরিমাণে ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায় । শীতকালে
হাওয়াতে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ত্বক সহজে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে । তাই আমাদের শীতকালে
ত্বকের পরিচর্যা করা একটু বেশি দরকারি হয়ে যায় । এখন আমরা জানবো যে
কিভাবে ফল ও শাকসবজির দ্বারা বিভিন্ন ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করবেন । স্বাস্থ্য
বিষয়ে আরও বিভিন্ন পোস্ট পড়তে নীচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করবেন ।
১) কমলালেবু –
ভিটামিন ‘সি’ ভরা একটি ফলের নাম হল কমলালেবু । শীতকালে চামড়া কুচকে যাওয়া ও বেতো
চুল দেখা দিলে তা দূর করার জন্য কমলালেবু সাহায্য করে । শীতে সর্দির বিরুদ্ধে লড়াই
করে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে । আপনার মুখে কালচে দাগ পড়লে কমলালেবুর খোসা
বেটে খোসার সাথে আধ চামচ বেসন ও এক চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে আধঘণ্টা লাগান ।
কমলালেবুর রস খাওয়ার সাথে সাথে গায়েও মাখা যায় । রসটি আপনার গায়ে স্কিন টনিক
হিসাবে কাজ করবে । গায়ের রং উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে ।
যদি ত্বকে বলিরেখা পড়ে বা
ধুলো ময়লা জমে রোমকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় তবে কমলালেবু ব্যবহার করবেন । এরফলে
নোংরা ময়লা বার করে রোম ছিদ্র খুলে যায় । একটি কমলালেবুর রস বার করে এর সাথে আধ
চামচ ল্যানোলিন, ২ চামচ মধু মেশান । এরপর আপনার চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে লাগিয়ে নিন ।
১৫-২০ মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলবেন । কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে এর সাথে
কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন । এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে আর্দ্রতা, ত্বক
টান টান , রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাওয়া ও ত্বকে রেশম কোমল ভাব দেখা যাবে ।
২) টমেটো –
আপনার শুষ্ক, রুক্ষ, খসখসে ত্বকে যদি কালো ছোপ পড়ে তা দূর করার জন্য টমেটোর ব্যবহার করতে পারেন
। এরফলে আপনার ত্বক হবে নরম । টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে
। ত্বকের বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখা, রেশমের মত কালো কোমল
চুল, ত্বকে মেলেনিন পিগমেন্টের কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য ভিটামিন ‘সি’ গুরুত্ব
রয়েছে । ত্বকে লাবণ্য পেতে শীতের দিনে বা সারা বছর টমেটোর স্যালাড খেতে পারেন ।
একটি টমেটোর রসের সাথে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস, ১
চামচ গ্লিসারিন, ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে হাতে, মুখে, গলায়
লাগাবেন । ২০-২৫ মিনিট বাদে ধুয়ে ফেলুন ।
৩) গাজর –
ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ একটি সবজির নাম হল গাজর । গাজরে থাকে বিটাক্যারটিন, যাকে
বলা হয় ‘প্রো ভিটামিন এ’ । শীতের দিনে একটি করে গাজর
খেলে আপনার ত্বক হবে মসৃণ, নরম ও উজ্জ্বল, চোখ হয় দ্যুতিময়য় । ভিটামিন ‘এ’ অভাবে
চামড়া কুচকে যায় । যাদের চোখের কোনে কালি পড়ে তাঁরা গাজরের রসের সাথে কাঁচা দুধ
মিশিয়ে চোখের কোনে লাগালে চোখের কালি দূর হয়ে যায় । গাজরকে প্রথমে মিহি করে কুচি
কুচি করে কেটে সেদ্ধ বা কাঁচার সাথে ১ চামচ বেসন, ২
চামচ কাঁচা দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিন । ২০-২৫ মিনিট মুখে লাগানর পর প্রথমে হালকা গরম
জলে, পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন ।
৪) বিন –
সবুজ বিনের সাহায্যে স্কিনের টনিক তৈরি করতে পারেন । বিন গুলিকে ছোটো
ছোটো টুকরো করে কেটে স্টিলের পাত্রে ঢাকনা দিয়ে জলে সেদ্ধ করে নিন । এইবার জলটা
ছেঁকে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন । মুখে ফেসিয়াল করার পর মুখে মাখুন । প্রতিদিনের জন্য
প্রতিদিন তৈরি করবেন । পুরনো টা আর ব্যবহার করবেন না । নতুন ভাবে তৈরি করে আবার
ব্যবহার করুন ।
৫) আপেল – শীতকালে বাজারে প্রচুর আপেল পাওয়া যায় । আপেলে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড । তৈলাক্ত ত্বকের টোনার হিসাবে আপেল আদর্শ ফল । এছাড়া রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন । আপেলের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন । তারপর কাটা অংশ গুলো ভালকরে সেদ্ধ করুন । সেদ্ধ করা আপেলের অংশ ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ বানান । ২০-২৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন । কম করে সপ্তাহে একদিন এটি ব্যবহার করবেন ।
৬) বাঁধাকপি –
বাঁধাকপিতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ এবং
‘সি’ থাকে । ভিটামিন ‘সি’ ত্বকে
খড়ি ওঠা ও শুষ্ক ত্বকে ভাল কাজ করে । ৪ চামচ বাঁধাকপির রসের সাথে আধ চামচ ইস্ট ও
আধ চামচ মধু মিশিয়ে নিন । ১৫-২০ মিনিট মুখে মাখার পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -
মধুর বিভিন্ন উপকারিতা গুলি কি কি ?.
সুস্থ নীরোগ সন্তান লাভ করবেন কিভাবে ?.
তুলসী পাতার বিভিন্ন উপকারিতা কি কি ?
আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যত্ন কীভাবে করবেন ?.
আপনার ত্বকের যত্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে করবেন ?
আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -
মধুর বিভিন্ন উপকারিতা গুলি কি কি ?.
সুস্থ নীরোগ সন্তান লাভ করবেন কিভাবে ?.
তুলসী পাতার বিভিন্ন উপকারিতা কি কি ?
আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যত্ন কীভাবে করবেন ?.
আপনার ত্বকের যত্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে করবেন ?
আমাদের
লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান ।
আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও
পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য
লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷