সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯

আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ গুলি কি কি ?.


  টুকিটাকি বিভিন্ন কাজ আমাদের বিভিন্ন সময় বেশ উপকারে আসে । এখন আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ে কিছু টুকিটাকি পরামর্শ নিয়ে কথা বলবো । স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের আগে অনেক লেখা পোস্ট করা হয়েছে, সেগুলি পড়ে না থাকলে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করে পড়ে নিন । এই পরামর্শ গুলি আপনি অতি সহজে মনে রাখতে পারবেন ও কাজটি সহজে হয়ে যাবে । চলুন দেরি না করে স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন টুকিটাকি পরামর্শ গুলি জেনে নিন ।



১) কাপড়ে যদি লোহার দাগ লাগে সেই দাগ তোলার জন্য লেবুর রস ও লবণ একসাথে মিশিয়ে দাগের উপর ঘষুন । এরফলে দাগ উঠে যাবে । পাতিলেবুর রস দাঁতের গোঁড়া শক্ত করতে ও নখ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । পাতিলেবুতে ভিটামিন ‘সি’ থাকে, যা আমাদের শরীরে ভিটামিন ‘সি’র অভাব পূরণ করে । পাতিলেবুর রস মিশ্রিত জলে মুখ ধোয়া হলে মুখের শ্রী বৃদ্ধি হয় । প্রতিদিন সকালে হালকা গরম জলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস দিয়ে খালি পেতে খেলে শরীরে সতেজ ও কাজে উৎসাহ বাড়ে ।


২) বিছা বা বোলতা যদি কামড়ে দেয় সেই ক্ষতস্থানে পেঁয়াজের রস লাগানো হয় তবে জ্বালা কমে যায় । আপনার ঘরে পিঁপড়ের উপদ্রব দেখা দিলে তা দূর করার জন্য এক গ্লাস জল নিন, তাতে দোক্তা পাতা ভিজিয়ে রাখবেন । পিঁপড়ের গর্তে সেই জল ঢেলে দিন, পিঁপড়ে আর আসবেনা । প্রতিদিন সকালে নিয়মিত নিমপাতার রস খেলে কৃমি ভালো হয়ে যায় । চিরতার জল খেলেও ভালো ফল পাওয়া যায় ।

৩) মাথায় যদি মরা মাস ও খুসকি হয় এজন্য মাথাতে কয়েকবার কর্পূরের জল লাগাবেন । মাথায় উকুন থাকলে বালিশের উপর কয়েকটি তুলসী পাতা রেখে ঘুমবেন । ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা বেটে গায়ে মেখে আধঘণ্টা রাখুন । তারপর ভাল করে স্নান করুন ।

৪) অনেকের আবার চোখের চারিদিকে কালো কালো দাগ দেখা যায় । এটি দূর করার জন্য কাঁচা দুধ তুলো দিয়ে চোখের চারিদিকে লাগান । কয়েক দিন এভাবে লাগাতে হবে । আপনার দেহে যদি আঁচিল থেকে তা দূর করার জন্য কিছু হিংচেশাক আর চন্দন বেটে মিশ্রণ তৈরি করে আঁচিলের উপর বারবার কয়েকদিন লাগান ।


৫) কচু খেলে আমাদের শরীরের দুর্বলতা দূর হয় । সাদা কচু, মান কচু ইত্যাদি খেলে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ে ও ক্লান্তি দূর হয় । কাঁঠালি কলা খেলে কৃমির প্রভাব দূর হয় । ভরা পেটে ঘি খেলে অম্বলের রোগ হয় । মুড়ি, ঘি, মধু একসাথে খেয়ে জল খাবেন না । কার্ত্তিক মাসে অল্প পরিমাণ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল ।

৬) আপনার স্মৃতিশক্তি যদি কমে আসে ২ চামচ ব্রাহ্মী শাকের রস, ১ কাপ গরম দুধ, ১ চামচ চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে টিফিনের পর ১ মাস খাবেন । পাগল ভাব দেখা দিলে ব্রাহ্মী শাকের রস ৩-৪ চামচ, ১ চামচ মধু, কুড়চূর্ণ আধ চামচ করে প্রতিদিন সকালে টিফিনের পর ১ মাস ১ বার করে খেতে হবে ।

৭) আপনার মুখে ব্রণ হলে ১০ গ্রাম সাদা সরষে ও ১০ গ্রাম কাঁচা দুধ বেটে নিয়ে মুখে মাখুন । আধঘণ্টা মুখে মেখে রাখবেন । এরপর ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন । এরকম ভাবে দিনে একবার করে ১৫-২০ দিন মাখতে হবে ।


৮) দাঁতে পোকা হওয়ার কারণ আমরা নিয়মিত দাঁতের যত্ন করিনা । কোনও কিছু খাওয়ার পর মুখ ভাল করে ধোয়া উচিত । চকলেট, লজেন্স, কেক, বিস্কুট ইত্যাদি খাবার বেশি না খাওয়া ও খাওয়ার পর ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে ।

৯) কোথায় কেটে গেলে দূর্বা বা গাঁদা ফুলের পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায় । আঘাত লাগলে চুন ও কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে গরম করে লাগাতে হবে । পুড়ে গেলে সাথে সাথে আলু থেঁতো করে লাগালে জ্বালা কমে যায় ।

১০) আপনার ধাতু দুর্বলতা দেখা দিলে ৫০ গ্রাম মাসকলাই আধ লিটার জল নিয়ে সিদ্ধ করে জলের পরিমাণ ২৫০ গ্রাম হলে নামিয়ে নিতে হবে । ঠাণ্ডা হওয়ার পর সকালে টিফিনের পর রোজ একবার করে ১ মাস খাবেন । যাদের ধাতু অল্প উত্তেজনায় ক্ষরণ হয় তাঁরা  ১ টি বাতাসার সাথে ১০-১২ ফোঁটা বটের আঠা নিয়ে রোজ সকালে ১ বার করে ১ মাস টিফিনের পর খেতে হবে ।


  আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯

ওজন বৃদ্ধির কারণ কি, ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় কি ?.


  আমাদের শরীরে যদি মেদের পরিমাণ অত্যধিক হয় ও অ্যাডিলোপ টিস্যুর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হয় তখন তাকে স্থূলত্ব বলা হয় । অতিরিক্ত মোটা বা বেশি ওজন আমাদের শরীরের সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ কখনোয় হয়না । আনুমানিক, একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ মানুষের ১৫ % এবং মহিলাদের ২৫ % মেদ শরীরে থাকে । আমাদের যদি এই মেদের পরিমাণ ৫ % বেশি হয়ে যায় তাহলে স্থূলত্বের লক্ষণ দেখা যায় । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত আজ ভারতে ও বাংলাদেশে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে । ওজন বৃদ্ধির ফলে রক্তের চাপ বাড়া, ডায়াবেটিস, হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে । 


  খাদ্য – আমাদের শরীর বিভিন্ন কারণে মোটা বা ওজন বৃদ্ধি হয়ে থাকে । প্রধানত খাদ্যের প্রভাবে আমদের শরীরে ওজন বৃদ্ধি হয় । খাদ্য শরীরের বিকাশ, বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনের মূল কারণ । অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা তাঁদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাদ্য গ্রহণ করে । এরফলে তাঁদের শরীরে মোটা হওয়ার লক্ষণ দেখ যায় । খাদ্যের প্রধান উপাদান গুলি হল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিনফ্যাট, খনিজ লবণ  কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি আসে ৬০-৭০ ভাগফ্যাট থেকে আসে ২০-৩০ ভাগ, প্রোটিন থেকে আসে ১০-২৫ ভাগ শক্তি । আপনি যদি কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খান, সেগুলি আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস হয় । কার্বোহাইড্রেট ফ্যাটের তুলনায় সহজপাচ্য হয়ে থাকে । ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণ খেলে শরীর মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে ।


বংশগত ধারা – অনেক মানুষ ধারণা করেন যে ওজন বৃদ্ধির আর একটি কারণ হল বংশগত ধারা । বংশগত ধারার সাথে ওজন বৃদ্ধির তেমন একটা সম্পর্ক নেই । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন হয় যে সেই পরিবারে অনেক দিন ধরে তাঁদের খাদ্য তালিকায় বেশি তাপ-মূল্যের খাবার যেমন ঘি, মাখন ও চিনি ইত্যাদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে । এরফলে এই বংশের লোকেরা দীর্ঘদিন এরকম খাবার খাওয়ার ফলে মোটা হওয়া এদের বংশগত পর্যায়ে পৌঁছে যায় । অধিক পরিমাণ তাপ মূল্যের খাদ্য দীর্ঘদিন বংশগত ভাবে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার ফলে একই বংশের লোকেরা একরকম মোটা হয় 

শরীরচর্চা – শরীরচর্চা বা ব্যায়াম নিয়মিত না করার ফলে আমাদের শরীর মোটা হয়ে যায় । আমরা পার্বত্য এলাকায় মোটা মানুষ খুব কম দেখতে পাই । এর কারণ হল যে তাঁরা প্রতিদিনের জীবনে কঠোর পরিশ্রম করেন । শরীরচর্চা বা ব্যায়াম না করার ফলে আমাদের ক্যালোরি খরচ হয় না । তারফলে আমাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আবার যারা পরিশ্রমের কাজ করেন তাঁদের ক্যালোরি খরচ বেশি হয়, আর যারা বসে বসে কাজ করেন তাঁদের ক্যালোরি খরচ কম হয় । ফলে যারা পরিশ্রমের কাজ করেন না তাঁদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে ।

থাইরয়েড ও পিটুইটারি গ্রন্থি  অনেক সময় দেখা যায় যে থাইরয়েড  পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে উপযুক্ত হরমোন নিঃসৃত হয় না । এরফলে বিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা দেখা যায় । তারফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায় । এই কারণে মোটা হওয়া লোকের সংখ্যা প্রায় ৫ % এর কম হয় । আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায় । আপনার বয়স যদি এখন ২৫ বছর পার হয়ে যায় তাহলে প্রতি বছর আপনার ওজন ১ কিলোগ্রাম করে বাড়ার সম্ভাবনা আছে । এছাড়াও বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন কারণে ওজন বৃদ্ধি হয়ে থাকে ।


ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় কি  -
 ১) ওজন কমানোর জন্য আমাদের প্রধান কাজ হল খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । যখন তখন খাবার খাবেন না, খিদে পেলে তবে খাবার খাবেন । খাদ্য তালিকায় অধিক পরিমাণ টাটকা শাকসবজি রাখতে হবে । ফ্যাট জাতীয় ও মাছ, মাংস যতটা সম্ভব কম খাবেন । মিষ্টি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার না খাওয়া ভাল । মাছের কালিয়া মাসে এক থেকে দুবার খাবেন । প্রতিদিনের রান্নাতে হালকা মশলা দিয়ে ঝোল রাঁধবেন । শর্করা জাতীয়, ঠাণ্ডা পানীয় জাতীয় খাবার কম খেতে হবে । মাঝে মাঝে যদি আপনার খিদে পায় তখন ফল, বাদাম, ছোলা সেদ্ধ, সেদ্ধ ডিম ইত্যাদি খেতে পারেন । প্যাকেট জাত খাবার একদম খাওয়া নিষিদ্ধ । খাবার খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে খাবেন । অনেকে আবার রোগা হওয়ার জন্য উপোষ করা শুরু করে দেন । এটা প্রতিদিন করবেন না । খাবার খাওয়ার সময় আপনার যতটা খাদ্যের প্রয়োজন ততটা খান । প্রতিদিন আমরা খাদ্য থেকে যে পরিমাণ ক্যালোরি পাই তার থেকে বেশি পরিমাণ ক্যালোরি বিভিন্ন কাজের দ্বারা খরচ করে হবে ।

২) খেলাধুলা বা ব্যায়াম বা শরীর চর্চার মাধ্যমে মেদের বাহুল্য দূর করা যায় । প্রতিদিন নিয়মিত ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করতে পারেন । ব্যায়াম না করতে পারলে প্রতিদিন সকাল বা সন্ধ্যায় ৪৫-৬০ মিনিট হাঁটুন । হাঁটার ফলে আপনার দেহে ক্যালোরি খরচ হবে । চেষ্টা করবেন সকালে সূর্যোদয়ের আগে ও সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পরে হাঁটার সময় নির্ধারণ করতে । সাঁতার কাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী  সাঁতার কাটার ফলে সারা দেহ সঞ্চালিত হয় । দেহকে সচল রাখতে সাহায্য করে । সাঁতার কাটার ফলে আমাদের দেহের অনেক পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয় । বাড়ি থেকে বেরনোর সাথে সাথে গাড়িতে না গিয়ে হেঁটে রাস্তার মোড় বা স্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে পারেন । সবসময় নিজেকে কোন পরিশ্রমের কাজের সাথে যুক্ত রাখুন ।

৩) যখন তখন ঘুমিয়ে পড়বেন না । খুব বেশি সময় ধরে ঘুমবেন না । বেশি সময় ঘুমলে ওজন বৃদ্ধি পাবে । প্রতিদিন কম করে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমবেন  বেশি রাত করে ঘুমবেন না আর দেরি করে ঘুম থেকে উঠবেন না । যতটা সম্ভব রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমবেন ও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন ।  সারাদিন বসে থাকবেন না । বসে থাকার ফলে দেহে ক্যালোরি খরচ হয় না । এরফলে আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি পাবে । কাজের ফাঁকে ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা অন্তর একটু সময় নিয়ে কমকরে ৫ মিনিট হাঁটাচলা করবেন ।


৪) সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলের মধ্যে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন এছাড়া যদি আপনি মধু লেবু মিশিয়ে গ্রিন টীও খেতে পারেন  রোগা হতে গ্রিন টির উপকারিতা মোটামুটি সবাই জানেন । এই খাবার খেলে অতিরিক্ত টক্সিন আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে  হলুদধনেজিরেগুঁরো ইত্যাদি মশলাগুলিকে কখনওই খাবার থেকে বের করে দেবেন না কারণ এই মশলাই আপনাকে রোগা হতে সাহায্য করবে  খাবার খাওয়ার আগে সব সময় এক গ্লাস জল খান, জল খাওয়ার ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেওয়া সম্ভব হবে  প্রচুর পরিমাণে জল খান  রাতের ডিনার হালকা করে করুন পার্টির মরশুমে কোনদিন খুব ফ্যাটি কিছু খাওয়া হলেপরের দিন একদম হালকা খাবার খান ওজন কমাতে চিনিকে কিন্তু ভুলতেই হবে  চায়ে বা দুধে কখনওই চিনি দিয়ে খাবেন না  রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই দরকার 
৫) উপরের কাজ গুলি করার সাথে সাথে এমনটা ভাববেন না যে, কেন আপনার ওজন কমছেনা । এতদিন ধরে আপনার যে ওজন বেড়েছে তা একদিনে কি কমা সম্ভব । সময় দিন, তাড়াতাড়ি ফল পাওয়ার আশায় ওলটো-পাল্টা কিছু করে বসবেন না । ধীরে ধীরে আপনার ওজন কমান, একসাথে বেশি ওজন কমলে শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে । এদিকে খেয়াল রাখবেন ।
   আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯

ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট কিভাবে বানাবেন ও সুন্দর করে সাজাবেন ?.


 বর্তমান দুনিয়াতে ফেসবুক হল সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট । ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধু, বন্ধুদের বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা আপনার অফিসের সহকর্মীদের সাথে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখতে পারেন । এখানে আপনি আপনার ছবি, ভিডিও, স্ট্যাটাস আপলোড করতে পারবেন । আবার সেগুলি আপনি আপনার বিভিন্ন বন্ধু, পরিবারের সদস্যদের কাছে শেয়ার করতে পারেন । ফেসবুক আবিষ্কার করেন আমেরিকান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মার্ক জুকার্বাগ ২০০৪ সালে তিনি ফেসবুক তৈরি করেন । তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ তৈরি করার জন্য এটি বানিয়েছিলেন
 

  আজ সারা বিশ্বে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন । ফেসবুক ব্যবহার করতে হলে আপনার একটি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট বানাতে হবে, না হলে আপনি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন না । এখন যারা নতুন ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাঁরা এগুলি জানে, আবার অনেকে আছে যারা জানেন না । যারা জানেন না তাঁদের জন্য এখন আমি আপনাদের জানাবো যে কি করে ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট বানাতে হয় ।
 

শুধু অ্যাকাউন্ট বানালে কাজ শেষ হয় না, অ্যাকাউন্টকে সুন্দর করে সাজানোর দরকার আছে । এরফলে আপনি একটা বিশেষ আলাদা মানুষ তা সবার নজরে পড়বে । ফেসবুক চালাতে হলে আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে, সাথে অ্যান্ডয়েট মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্প্যুটার লাগবে । ফেসবুক আপনার কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেয়না, আপনি বিনামূল্যে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন । তাহলে শুরু করা যাক। ইন্টারনেট বিষয়ে আরও বিভিন্ন পোস্ট পড়তে নিচে ইন্টারনেট লেখাটির উপর ক্লিক করবেন ।

১) প্রথমে আপনাকে www.facebook.com যেতে হবে বা মোবাইল থেকে চালাতে হলে গুগল প্লেস্টোর থেকে ফেসবুক অ্যাপটি ডাওনলোড করতে হবে । এরপর আপনাকে Creat new account তে ক্লিক করতে হবে ।  এরপর যে পেজ আসবে সেখানে আপনার বিস্তৃত বিবরণ দিতে হবে । প্রথমে আপনার নাম, পরে আপনার পদবী দিতে হবে । আপনার নাম যদি তাপস দাশ হয় তাহলে প্রথম ঘরে তাপস পরের ঘরে দাশ লিখবেন ।
২) এরপর আপনার ফোন নম্বর বা ইমেল দিতে হবে । ইমেল না থাকলে শুধু ফোন নম্বর দিতে হবে ।
৩) এবার আপনার লিঙ্গ নির্বাচন করতে হবে । আপনি পুরুষ হলে Male, মেয়ে হলে Female নির্বাচন করতে হবে । যদি কোনটা না হন তাহলে শেষের টি নির্বাচন করুন ।
৪) এরপর আপনার জন্মদিনের তারিখ, মাস, বছর দিতে হবে । তারিখের ঘরে আপনার জন্মদিনের তারিখ, মাসের ঘরে জন্ম মাস আর বছরের ঘরে জন্মের বছর দিতে হবে ।


৫) এরপর আপনার পছন্দ মত একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করুন । এমন পাসওয়ার্ড যেন আপনার মনে থাকে । মনে না রাখতে পারলে কাগজে বা আপনার ডাইরিতে লিখে রাখুন । আপনি ছাড়া আপনার পাসওয়ার্ড অন্য কেউ যেন না জানতে পারে । কাউকে আপনার পাসওয়ার্ড বললেন না বা দেবেন না । পাসওয়ার্ড ৬ থেকে ১২ টি সংখ্যা হয়ে থাকে ।

৬) আপনার সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়ার পর sin up তে ক্লিক করুন । এরপর আপনি যে ইমেল বা মোবাইল নম্বর দিয়েছেন সেখানে একটি ভেরিফিকশনের একটি কোড আসবে । এই কোড নম্বর দিয়ে Confirm করতে হবে । আপনার অ্যাকাউন্ট  তৈরি হয়ে গেছে

ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট কিভাবে সুন্দর করে সাজাবেন --
 অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আমাদের কাজ তাকে সুন্দর করে সাজানো । সুন্দর করে সাজানোর জন্য আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে । আপনি এগুলি দিতে পারেন বা না দিতে পারেন । এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই । তবুও সবাই যাতে আপনাকে সহজে আলাদা করে চিনতে পারে তার জন্য এগুলি দেওয়া দরকার

১) প্রথমে আপনাকে আপনার একটি ছবি প্রোফাইল ফটোতে লাগাতে হবে । আপনার অ্যাকাউন্ট  খুলে ‘Upload profile picture‘  এ ক্লিক করে আপনি যে ফটো লাগাতে চান সেটি নির্বাচন করুন । এরপর Cover photo’ লাগাতে হবে । আগের মতো করে ‘Upload cover photo’  তে ক্লিক করে একটি ফটো নির্বাচন করুন ।
২) এরপর আপনাকে আপনার ঠিকানা, স্কুল, কলেজ, শহরের নাম, দেশের নাম ইত্যাদি দিতে হবে । এছাড়াও আপনার কি বিষয়ে আগ্রহ, আপনার ধর্ম কি , আপনার প্রিয় রাজনৈতিক দলের নাম কি, আপনি কোথায় কাজ করেন বা করেছেন, আপনার যদি পরিবারের কোন সদস্য থাকে ফেসবুকে তার নাম, আপনার প্রিয় কোন ব্যক্তির উক্তি ও আপনার সম্বন্ধে কিছু লিখতে পারেন ।  এগুলি দেওয়ার পর Save করুন 
 ৩) এবার যদি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে যুক্ত হতে চান তাহলে তার নাম দিয়ে সার্চ করুন । একই নামে অনেক জনকে আপনি দেখতে পাবেন । আপনার বন্ধুকে চেনার জন্য তার ছবিটির দিকে দেখুন । তারপর ‘Add friend’  ক্লিক করুন । এভাবে আপনাকে কেউ যদি Friend request পাঠায় তাহলে আপনি তাকে Accept করলে তখন আপনারা বন্ধু হয়ে যাবেন এরফলে আপনারা একে অপরকে মেসেজ পাঠাতে পারবেন, তার পোস্ট করা ফটো, ভিডিও বা স্ট্যাটাস আপনি দেখতে পাবেন ।
 ৪) আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ফটো, ভিডিও বা স্ট্যাটাস পোস্ট করতে পারবেন । ফটো বা ভিডিও পোস্ট করার জন্য Photo/Video তে ক্লিক করুন । আপলোড করার পর Post তে ক্লিক করুন । সেগুলি আপনার বন্ধুরা তখন দেখতে পাবে । ভাল লাগলে তাঁরা Like, Comment, Share করবে ।

   আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইন্টারনেট বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ইন্টারনেট লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

কুষাণ সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সাহিত্য, শিল্প, স্থাপত্য ও অন্যান্য দিক কেমন ছিল ?.


  ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্য পতনের পর কুষাণরা একটি বড়ো সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল । উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশ কুষাণদের শাসনে এসেছিল । রাজনৈতিক দিক থেকে কুষাণদের সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য । কুষাণ সম্রাটগণ ভারত ও চিনের মধ্যে যোগসূত্র ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন । উত্তর ভারতে বিভিন্ন শক্তি যেমন – ইন্দো-গ্রীক, ইন্দো-শক, ইন্দো-পার্থিয়গণের যুদ্ধের ফলে বিধ্বস্ত হয় । কুষাণরা অঞ্চলটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীনে এনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন । ইউ.চি উপজাতিদের ঐক্যবদ্ধ করে ।


  কুষাণদের কথা আমরা জানতে পারি ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত মুদ্রা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও রাশিয়ায় পাওয়া বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক লেখ থেকে । এছাড়া বিভিন্ন গ্রন্থ যেমন - বারদেসানেসের বুক অফ দি লজ অফ কান্ট্রিজ, টলেমীর ভূগোল, কল্পনামণ্ডটীকা, অঙ্গবিজ্জ, আর্মেনীয় ও সংস্কৃত গ্রন্থ । এগুলি ছাড়া স্থাপত্য ও ভাস্কর্য কুষাণ সাম্রাজ্যের ইতিহাস লেখার সাহায্য করে । এইসব উপাদান থেকে পাওয়া তথ্য থেকে আমারা কুষাণদের সম্পর্কে ধারণা করতে পারি ।


  কুষাণদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেখা যায় যে কুষাণ সম্রাটগণ রাজাতিরাজ, দেব পুত্র ইত্যাদি অভিধা গ্রহণ করতেন । কুষাণ সম্রাটগণ যে দৈব অধিকারের নীতিতে বিশ্বাসী তার প্রমাণ দেবপুত্রঅভিধার মধ্যে পাওয়া যায় । ডঃ বি.এন মুখোপাধ্যায়ের মতে কুষাণ সাম্রাজ্য তিনটি শ্রেণী অঞ্চল ছিল । প্রথম শ্রেণীভুক্ত অঞ্চল ছিল ক্ষত্রপ ও মহাক্ষত্রপ শাসিত এলাকা । চস্টনের পরিবার কিছুদিন কুষাণ সাম্রাজ্যের অনুগত ছিল । তাঁরা যে অঞ্চল শাসন করতো সেটি দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত বলা হয় । পাটলিপুত্র ও পূর্বাঞ্চলের করদ রাজ্যগুলি বা সামন্ত রাজ্যগুলি তৃতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল । সাম্রাজ্যের যে সব অঞ্চলগুলি সম্রাটের প্রত্যক্ষ শাসনে থাকত সেখানে আমলাগণ মহাক্ষত্রপদের মত ভূমিকা পালন করেন । মহাক্ষত্রপদের সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরণের দায়িত্ব পালন করতে হত । রাজ কর্মচারীদের মধ্যে যে স্তরভেদ ছিল তা বোঝা যায় মহাক্ষত্রপ, ক্ষত্রপ, মহা দণ্ডনায়ক, দণ্ডনায়ক ইত্যাদি দেখে ।

  অর্থনৈতিক দিক থেকে কুষাণ যুগ উন্নত ছিল । এর কারণ হিসাবে বলা যায় প্রচুর শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল । এ যুগে স্বর্ণমুদ্রা, মনি মুক্ত, শিরোভূষণের জন্য দামি পাথর পাওয়া গেছে ।  এর থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে সেই সময় শিল্পে ও বাণিজ্যে কতটা উন্নতি হয়েছিল । অনেক নগর ও বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল । ভারত, রোম ও চীনের মধ্যে এই সময় ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল । কিছু মুষ্টিমেয় বনিক শ্রেণীর হাতে সেই বাণিজ্যের সম্পদ কেন্দ্রীভূত হয় । ধনী ও অভিজাত শ্রেণীর মানুষরা সেই সম্পদ ব্যবহার করতো ।

  কৃষিকে একেবারে অবহেলা করা হয়নি । কুষাণ যুগে জলসেচের চিহ্ন পাকিস্তান ও সোভিয়েতের মধ্যে এশিয়া এলাকাতে পাওয়া গেছে । সাধারণ মানুষের দুর্দশা কম ছিল না । মথুরা প্রস্তর লেখ থেকে জানা যায় যে ব্রাহ্মনদের ও মথুরার দুঃস্থ মানুষদের আহার দান করা হত । ধনী অভিজাতরা বহু ক্রীতদাস নিযুক্ত করতেন । কুষাণদের সাথে যে রোমের ব্যবসা বাণিজ্য হত তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁদের মুদ্রার সাহায্যে ।


  কুষাণ যুগে প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের উন্নতি হয়েছিল । তা গুপ্ত যুগে পূর্ণতা পায় । অশ্ব ঘোষের রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ হল বুদ্ধ চরিতএছাড়া সৌন্দ্রানন্দ, সারিপুত্র প্রকরণ তিনি রচনা করেন । তিনি শুধু সাহিত্যে নয় ধর্ম ও দর্শনে নতুন ভাবধারা প্রবর্তন করেছিলেন । সংস্কৃত সাহিত্যের প্রথম নাট্যকার বলা হয় অশ্ব ঘোষকে  অশ্ব ঘোষের সমসাময়িক আরেক জন ব্যক্তি ছিলেন মাতৃচেত । বৌদ্ধ লেখকদের মধ্যে আর এক জন হলেন নাগার্জুন । তিনি ছিলেন দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক ।  কুষাণদের সাথে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল এমন প্রমাণ পাওয়া যায়না, দক্ষিণের সাতবাহন রাজ্যে তাঁর কর্মস্থল ছিল । ভেষজ বিজ্ঞানে এসময় উন্নত হয়েছিল । চরক ও সুশ্রুতের নাম উল্লেখযোগ্য, যদিও এদের সঠিক সময় জানা যায় না ।

 কুষাণ সম্রাটগণ শিল্প, সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন । এরফলে শিল্প, সাহিত্যের ও বিজ্ঞানের উন্নতি হয় । শিল্পের মধ্যে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য প্রধান ছিল । সেগুলি প্রধানত মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল । কুষাণরা অনেক চৈত্য, নগর, মন্দির, বিহার, স্তূপ গড়ে তুলেছিলেন । সুরখ কোটালে খননকার্যের ফলে পশ্চিম বিভাগে মন্দির স্থাপত্য, তক্ষশীলায় ধর্মরাজিক বিহার নির্মাণ ও একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের কথা জানা যায় ।

  কুষাণ যুগের প্রধান শিল্পরীতি ছিল গান্ধার  শিল্পরীতি । বুদ্ধের জীবন ভিত্তিক শিল্পের সঙ্গে গ্রীস, রোম ও মধ্য এশিয়ার প্রভাব পড়েছিল । এই সময়ের মূর্তি গুলির উপর গ্রীক দেবতা অ্যাপেলোর প্রভাব দেখা যায় । এই সময়ের আরও একটি মৌলিক শিল্পরীতি হল মথুরা শিল্পরীতি । কুষাণ নৃপতিদের মূর্তি ও বিহার, মন্দিরের ধনী ব্যক্তির মূর্তি এই শিল্পে দেখা যায়  অমরাবতী অঞ্চলে আরও একটি উল্লেখযোগ্য শিল্পরীতি গড়ে উঠেছিল ।


  কুষাণ যুগে বৌদ্ধ ধর্ম ছিল সবথেকে জনপ্রিয় । এই সময় মহাযান বৌদ্ধ ধর্ম জন্মলাভ করে । বৌদ্ধদের মধ্যে সর্বাস্তিবাদী সম্প্রদায় সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিল । ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পরিবর্তন আসে । শৈব ধর্ম এসময়ও জনপ্রিয় ছিল । প্রথম কণিষ্ক, বাসিষ্ক, হুবিস্কের মুদ্রায় শিবের মূর্তি পাওয়া গেছে । কুষাণ সাম্রাজ্যের মথুরা অঞ্চলে বেশিরভাগ জৈনরা বাস করতেন । এই সাম্রাজ্যের পশ্চিম অঞ্চলে গ্রীক ও ইরানীয় দেব-দেবীর কথা জানা যায় । দেব-দেবীর বিভিন্নতা দুই দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ । এক হল তাঁরা বিভিন্ন ধর্ম রাজনৈতিক সুবিধার জন্য প্রশ্রয় দেন, দুই হল রাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পরিচয় দেয় ।

  ভারত ও চীনের মধ্যে তীর্থযাত্রীরা যাতায়াত করতেন, সেই তীর্থযাত্রীদের আশ্রয়ের জন্য তীর্থ পথে মঠ নির্মিত হয় । চীনে এসময় বৌদ্ধ ধর্ম ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় । কুষাণরা বিভিন্নভাবে পারসিক ও গ্রীকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন । তার প্রমাণ হিসাবে ভাষা, ধর্ম, পোশাক, দেব-দেবীত্বে গ্রীক ও পারসিক প্রভাব দেখা যায় ।

  কুষাণ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পরবর্তী সময়ের উপর প্রভাব ফেলে । ভারতে পরবর্তী সময়ে মহাদন্ডনায়ক, অশ্বারোহী সৈন্য, মুদ্রা ও অন্যান্য বিষয়ে অনুসরণ করেছিল । কুষাণ যুগের মুদ্রার প্রভাব উত্তর ভারতে, গুপ্ত যুগে ও অন্যান্য অঞ্চলে প্রভাব দেখা যায় । কুষাণ যুগ ছিল গুপ্ত যুগের ভাস্কর্য ও তুর্কিস্তানের শিল্পকর্মের অনুপ্রেরণা ।


আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইতিহাস বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ইতিহাস লেখাটির উপর ক্লিক করুন ।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।