বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

হলুদ, আদা, পেঁয়াজ, রসুন ও আমলকীর দ্বারা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের উপায় কি কি ?.


১) হলুদ – হলুদ আমাদের বিভিন্ন উপকার করে । বহু বছর ধরে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে হলুদ মুখে মাখার জন্য কাঁচা হলুদ আর মসুরের ডাল একসাথে বেটে নিন । এরপর এর মধ্যে দুধের সর মিশিয়ে মাখিয়ে নিন । এভাবে এক মাস মাখুন, আপনার মুখের ত্বক উজ্জ্বল হবে । তেল আর হলুদ একসাথে গায়ে মাখলে দেহের উজ্জ্বলতা বাড়ে । আপনার গলা ধরলে ২ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো, সামান্য চিনি, ১ গ্লাস সামান্য গরম জলে সরবতের মত করে খেতে হবে । আপনার কৃমি হলে ১৫-২০ ফোটা হলুদের রসের সাথে খানিকটা লবণ দিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে খাবেন । সাতদিন ধরে এভাবে খেতে হবে । 

 লিভারের সমস্যা হলে ১ চামচ হলুদ রস সামান্য চিনি বা মধু দিয়ে এক মাস খাবেন । সর্দি বা কাশি কমাতে হলে মধুর সাথে হলুদের রস মিসিয়ে খেতে পারেনহলুদ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় হলুদ শরীরে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে


২) আদা – আদা আমাদের বিভিন্ন উপকার করে । মসলা ও আচারের উপকরণ হিসেবে আদা অধিক ব্যবহিত হয় আদার আবার ঔষধি গুণ রয়েছে আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে । আপনার আমবাত দেখা দিলে ১০ গ্রাম আখের গুড়, ১ চামচ আদার রস নিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে । এভাবে প্রায় ১ মাস খেতে হবে । আদা হজমে সাহায্য করে । হিক্কা হলে ১ চামচ আদার রস ও ১ চামচ ছাগলের দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে হবে । আপনার আমাশয় হলে শুকনো আদা গুঁড়ো ১ গ্রাম, এক কাপ হালকা গরম জলে মিশিয়ে খেতে হবে । প্রতিদিন দুবার করে খাবেন, যতদিন ভাল না হওয়া পর্যন্ত । সর্দি জ্বর হলে ১ চামচ আদার রস, ২ চামচ শিউলি পাতার রস, ১ চামচ তুলসী পাতার রস, ১ চামচ মধু মিসিয়ে খাবেন । প্রতিদিন দুবার করে তিনদিন পর্যন্ত । ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন । খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন ।

৩) পেঁয়াজ – পেঁয়াজ কাটতে গেলে আমাদের সবার চোখে জল আসে । বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য পেঁয়াজ ভাল কাজ করে । প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের সঙ্গে এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা আমাদের শরীরে নানা উপকার করে । প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন B এবং C পেঁয়াজের মধ্যে থাকে । কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে পেঁয়াজ আমাদের সাহায্য করে । কানে পুঁজ হলে পেঁয়াজ ও রসুনের রস হালকা গরম করে ১-২ ফোঁটা প্রতিদিন দুবার করে ৪-৫ দিন দিতে হবে । সর্দির জন্য নাক দিয়ে জল পড়লে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে ২ চামচ জল দিয়ে খাবেন । নাক থেকে রক্ত পড়লে ৪-৫ ফোঁটা পেঁয়াজের রস নিয়ে নাকে নস্যির মত টানতে হবে । বমি ও হিক্কা হলে ২-৩ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে সামান্য জল দিয়ে খেলে ভাল হবে ।
) রসুনরসুন একটি মসলা জাতীয় খাদ্য উপাদান । রান্নার মসলা হিসেবে রসুনের ব্যবহার বেশি করা হয় । অনেক দিন আগ থেকেই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে । রসুনের মধ্যে আছে ভিটামিন A,B,C,D, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, আয়োডিন রসুন মানুষের দেহে এমন কোনও রোগ বালাই নেই যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে না । রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার উপায় সৃষ্টিকারী উৎস বিদ্যমান রয়েছে । হার্ট সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত রসুনের ভূমিকা রয়েছে । গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে হজমের গণ্ডগোল রোধ হয় । মাথা ধরলে - চামচ রসুনের রস নাকে নস্যির মত টানুন আপনার গায়ে যদি কোন ঘা বা ক্ষত থাকে তাহলে সেখানে রসুনের - টি কোয়া বেটে পরপর কয়েক দিন লাগাবেন শরীরের ক্ষয় ওজন বৃদ্ধির জন্য দুধে রসুন সিদ্ধ করে সেই দুধ খেতে হবে এক কাপ দুধে কোয়া রসুন নেবেন আধকোয়া রসুন বেটে ঘোলের সাথে প্রতিদিন খেতে পারেন

) আমলকীআমলকী হল সবচেয়ে উপকারী ভেষজের মধ্যে একটি ভেষজ । অর্শ্ব, ডায়রিয়া, আমাশয়, রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস ও ত্বক সমস্যায় আমলকীর আছে অশেষ ক্ষমতা । আমলকী গাছের কাণ্ড ও শিকড়ের ছাল থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ । আমলকী আমাদের বিভিন্ন উপকার করে রোজ সকালে এক চামচ আমলকীর রস খেলে শরীর ও লিভার দুটিই চাঙা থাকে । মেহ-রোগ হলে প্রতিদিন একটা করে কাঁচা আমলকী খাবেন যোনীতে ব্যথা হলে চামচ কাঁচা আমলকীর রস, চামচ হিঞ্চের রস নিয়ে ১৫-২০ দিন প্রতিদিন একবার করে খাবেন আপনার চুল উঠে গেলে, চুল পেকে গেলে কাঁচা আমলকী বেটে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ২৫-৩০ মাঠায় লাগাতে হবে আপনার প্রস্রাবে যদি জ্বালা হয় তাহলে চামচ কাঁচা আমলকীর রস, গ্রাম মিছরির জল নিয়ে - দিন খেতে হবে আমলকী লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, লিভারকে সুরক্ষিত রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে । মধু ও আমলকী একসাথে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে । আমলকী ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ।
 
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

1 টি মন্তব্য:

ধন্যবাদ

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷