আমাদের এই পৃথিবী কবে ধ্বংস হবে ?.
পৃথিবী কবে ধ্বংস হবে এ প্রশ্ন
মানুষের মনে চিরকাল ছিল ও বর্তমানে আছে । পৃথিবী কবে নাগাদ ধ্বংস হবে এ বিষয়ে
বিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট কোনও সময় বেঁধে দেয়া নেই । পৃথিবী ধ্বংস হওয়া নিয়ে কম ভবিষ্যদ্বাণী হয়নি । ২০১২ সালের কথা অনেকেরই মনে
থাকবে । তারও আগে কিংবা পরে, নানা
সময়ে নানা কথা শোনা গিয়েছে । ১৫শ শতকের সময় থেকে মূলত পৃথিবীর অস্তিত্ব ধীরে
ধীরে বিপন্ন হয়ে শুরু করে । এখন সেই অবস্থা আরও গতিশীল হয়েছে । এখন আমরা জানব যে আমাদের এই পৃথিবী কবে নাগাদ ধ্বংস হবে তার সম্ভাব্য
কিছু কারণ ।
১) পৃথিবী কবে
নাগাদ ধ্বংস হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বুলগেরিয়ার
বাসিন্দা বাবা ভ্যাঙ্গা । যার আসল নাম ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা । ১৯১১
সালে জন্ম ভ্যাঙ্গেলিয়ার, ১৯৯৬ সালে মারা যান ভ্যাঙ্গা । তখন তার বয়স ৮৫ বছর । তার ভবিষ্যদ্বাণী মতে - ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশাল
হিমশৈলগুলো গলতে শুরু করবে । পৃথিবীর
অস্তিত্ব সংকট তখন দেখা দেবে । ২১৩০ সাল নাগাদ মানুষ জলের তলায় বসবাসের বন্দোবস্ত
করে ফেলবে । ৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য । কিন্তু তত দিনে মানুষ এক
নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে । সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর নতুন উপনিবেশ।
২) পৃথিবী কবে নাগাদ ধ্বংস হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা । তারা
জানিয়েছেন, ২৮৮০ সালের ১৬ মার্চ ধ্বংস হবে
পৃথিবী । ডিএ-১৯৫০ নামে এক গ্রহাণু ১৯৫০ সালে আবিষ্কৃত হয় । এদিন ডিএ-১৯৫০ নামে এক
গ্রহাণু সজোরে আঘাত হানবে পৃথিবীর বুকে । গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ কিলোমিটার
(৯ মাইল) বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে । পৃথিবীতে আঘাত হানার পর এটি আছড়ে পড়বে
আটলান্টিক মহাসাগরে । এরফলে আটলান্টিকের
মহাসাগরে জল ৪০০ ফুট উপরে উঠে আসবে । যার ফলে বড় ধরণের সুনামি দেখা দেবে ।
৩) গ্লোবাল
ওয়ার্মিং শব্দটা এই মুহূর্তে পৃথিবী বাসীর কাছে আতঙ্ক ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এর মধ্যে বিশ্বের ওপর পড়তে শুরু করেছে । একাধিক
রিপোর্ট বলছে,
যে দিকে জলবায়ু এগোচ্ছে, তাতে পৃথিবী ধ্বংসের
সময় দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ৷ অ্যান্টার্কটিকার বেশ কিছু হিমবাহ দ্রুত গতিতেই
গলতে শুরু করেছিল ৷ হিমবাহ গলনে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে আগে ডুবে যাবে মালদ্বীপ
ও টুভালুর মতো দেশগুলি ৷ সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, যে হারে অ্যান্টার্কটিকায় হিমবাহের বরফ গলছিল, সেই
হার খানিকটা কমেছে ৷ আগামী ২০৬০ সালের মধ্যে ১ হাজার
কোটিতে পৌঁছে যাবে পৃথিবীর মানুষের সংখ্যা । তার সঙ্গে প্রতিদিন বেড়ে চলবে মানুষের
চাহিদা ।
পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্যের হার মাত্রাতিরিক্ত হারে
কমে গিয়েছে । নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যে, কমছে উৎপাদনশীলতা এবং ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ । জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের নামকরা
বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন । এই অবস্থা থেকে বাঁচতে গেলে, জীব বৈচিত্র্যকে বাঁচাতে গেলে নীতি
নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্কতা দেখাতে হবে । নিজের পরিবেশে বদল এনে, নিজের
খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে, নানা ধরনের সংরক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া রোধ করা
সম্ভব । তবে সঠিক পথে এগনোর প্রয়োজন ।
৪) স্টিফেন
হকিং'র মতে - ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী ৷ বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ ও কসমোলজিস্ট স্টিফেন
হকিং মৃত্যুর আগেই সেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ৷ ৬০০ বছরের মধ্যেই আমরা
পৃথিবী বাসীরা মারা যাব ৷ উল্কাপাত ঘটবে বিশ্বজুড়ে, লাল হয়ে জ্বলবে গ্রহ ৷ সময়
যত এগবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত উন্নত হবে ৷ বেশির
ভাগ দেশই পারমানবিক শক্তি অর্জন করছে বর্তমানে । ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ, বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও ইঞ্জিনিয়ারস ভাইরাস বাড়বে ৷ আর তার ফলে ধ্বংস
হতে পারে পৃথিবী ৷ যদি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় সেটার পেছনে পারমাণবিক
যুদ্ধের বড় একটা হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে । একদিন মানুষের জায়গা নেবে মানুষেরই হাতে তৈরি করা রোবটরা ৷ একদিনই এর হাতের পুতুল হয়ে
যাবে মানুষ ৷ তখন মানব সভ্যতার দিন শেষ হবে ৷ অনেক বৈজ্ঞানিকই মনে করে এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ডে রয়েছে আমাদের মতই কোনও প্রাণী জগৎ যাদের আমরা এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণী
বলি । আমরা বিশ্বাস করি বা নাই করি, ভিনগ্রহ বাসীদের সম্বন্ধে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও, ভিনগ্রহ বাসীদের দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনাকে কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না ।
৫) মিশরীয়দের একটা প্রত্নতাত্ত্বিক
আবিষ্কার থেকে পৃথিবী কবে নাগাদ ধ্বংস হবে তার কথা
জানা যায় । যেভাবে
অতীতে মিশরীয় সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে, সেভাবেই বর্তমানেও একদিন ঠিক
শেষ হয়ে যাবে আজকের সভ্যতা । চেক প্রজাতন্ত্রের একটি ঐতিহাসিক দল মিশরে খনন কাজ
চালাচ্ছিল । তখন
তারা খুঁজে পান,
মিশরীয় সভ্যতার এক রানী খেনটাকাসের মাথার খুলি । একটি জায়গায় লেখা রয়েছে, যেদিন এটি পাওয়া যাবে, সেদিনই ধ্বংস হয়ে
যাবে পৃথিবী । ইতিহাসবিদরা বলছেন, আজকের
পৃথিবীও যেকোনো দিন মিশরীয় সভ্যতার মতোই হারিয়ে যাবে ।
৬) সূর্যের উপস্থিতি
পৃথিবীর টিকে থাকবার
জন্যে প্রচণ্ড দরকার
।
গাছপালা, মানুষ, পশু-পাখি,
এমনকি নদ-নদী
ও সমুদ্রসহ জলের
সমস্ত উৎসের ঠিকঠাক
টিকে থাকবার জন্য
আমাদের দরকার এই
সূর্য । প্রত্যেক ১১
বছর অন্তর সূর্যের
জীবনে আসে সৌর ঝড় বা সোলার ম্যাক্স,
তখন সূর্য থেকে
নির্গত হয় সবচাইতে
শক্তিশালী এক রশ্মি
। আমাদের প্রাণের সম্ভাবনা কেড়ে নিতে পারে সেই শক্তিশালী
এক সৌর ঝড় । বিজ্ঞানীদের মতে যদি এমনটাই ঠিকঠাক ভাবে চলতে থাকে তাহলে
পৃথিবীতে প্রাণকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম মাধ্যম এই সূর্যই হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর
ধ্বংসের কারণ ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট
করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । জানা
অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট
টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷