সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

ত্বকের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপায় কি কি ?.


  আমরা সবাই চাই আমার ত্বকটা একটু ফর্সা আর উজ্জ্বল হোক । মনে মনে সবারই এই ইচ্ছাটা থাকে । তবে অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে উঠে না । তরুণ বয়সে প্রত্যেক নারী ও পুরুষ কোমল এবং উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হন । কিন্তু, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক খুব নিস্তেজ এবং কালো হতে থাকে । 
  ত্বক উজ্জ্বল, মোলায়েম এবং কোমল রাখতে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে । এই উপায়ে আপনি বিভিন্ন উপাদান নিয়ে খুব সহজেই আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন । আপনি চাইলে বাড়িতেই অল্প সময়েই সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি হয়ে উঠবেন আরও ফর্সা । আসুন জেনে নেই কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে আপনি পাবেন ফর্সা ত্বক ।

১) ধুলো, ময়লা, দূষণ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক জিনিসের থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য দিনে দুবার সকালে এবং রাত্রে ভালো করে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করা জরুরি । মুখ ধোবার পর তোয়ালে দিয়ে রগড়ে রগড়ে না মুছে একটা নরম তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে আসতে আসতে চেপে চেপে মুখের জলটা মুছে নিন । মেকআপ তোলার জন্য অলিভ অয়েল কিম্বা খুব মাইল্ড কোন মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন । যতটা সম্ভব ক্লোরিন যুক্ত জলের থেকে দূরে থাকুন, সুইমিং পুল কিম্বা ওয়াটার পার্কের জলে কিন্তু ক্লোরিন মেশানো থাকে যা আপনার ত্বকের পক্ষে খুব খারাপ ।

২) শসা কয়েক টুকরো করে তা মুখে ১৫ মিনিট ধরে রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন । শসাতে বিদ্যমান অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং ভিটামিন ত্বকের মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে । এক মাস নিয়মিত রূপচর্চায় শসার ব্যবহার নিস্তেজ ত্বকে এনে দেবে প্রখর উজ্জ্বলতা ।

৩) লেবুর রসের মত আলুর খোসায় ব্লিচিং উপাদান পাওয়া যায় । আলুর খোসার পেস্ট নিয়মিত আপনার ত্বকে লাগাতে হবে । আপনি যদি নিয়মিত এই পেস্ট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ফ্রেশ হবে । একটি পাত্রে ১ চা চামচ গুঁড়া দুধ, ২ চা চামচ লেবুর রস আর ১/২ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে নি। এবার পুরো মুখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন । ত্বক পরিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে আগের তুলনায় আপনার ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে
৪) প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল ত্বক পাবার জন্য অনেকেই মধু ব্যবহার করেন । দই আর মধু তো আমাদের সবার বাড়িতেই থাকে। দই আর মধুর সাথে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল (এসেনশিয়াল অয়েল নেবেন,) মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন । দশ মিনিট পরে ভালো করে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন । এতে আপনার স্কিনের শুষ্ক ভাব দূর হবে । একটা কাঁচের বা চিনামাটির বাটিতে দুই টেবিল চামচ মধু আর দুই চা চামচ দারচিনি পাউডার ভালো করে মিশিয়ে মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন । পরে শুধু জল দিয়ে ধুয়ে নিন । এই মিশ্রণ সেনসিটিভ ত্বককে নরম এবং কমনীয় রাখতে সাহায্য করে ।

৫) হলুদ অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে খুব ব্যবহৃত হয় । ব্রণ ফুসকুড়ি এবং ত্বকের অন্যান্য ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে । খুব সহজেই আপনি এই প্যাকটি বানাতে পারবেন । উজ্জ্বল ত্বক পেতে এক চিমটি হলুদ, ১ চা চামচ টমেটো বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগান নিয়মিত । অবশ্যই আপনার ত্বক ফর্সা হবে টমেটোর ব্লিচিং উপাদান আর হলুদের ভেষজ উপাদান ত্বক ফর্সা করতে একসাথে কাজ করে
৬) কলা খাওয়া যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, সেটা তো আমরা সবাই জানি একটি পাত্রে পরিমাণ মতো কলা, ১ চা চামচ মধু আর ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান ৭ থেকে ১০ মিনিট এই প্যাক রেখে ধুয়ে ফেলুন । এই প্যাকটি সান ট্যাং দূর করে ত্বক ফর্সা করে তুলবে
৭) কেমিক্যাল যুক্ত যে কোন প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়, বিশেষ করে যে সব প্রডাক্টে অ্যালকোহল, অ্যালফা হাইড্রক্সি, ইউরিয়া কিম্বা রেটিনালের মতো রাসায়নিক রয়েছে । এতে রাসায়নিক পদার্থ বেশি পরিমাণে থাকে যা আপনার ত্বককে র‍্যাশ, চুলকানি কিম্বা ব্রণর মতো নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে । এখন নানারকম হারবাল বিউটি প্রোডাক্ট আর মেকআপ পাওয়া যায়, দরকার হলে সেগুলো ব্যবহার করুন ।
৮) গোলাপ জলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে । এরফলে আপনার স্কিন সুন্দর এবং তুলতুলে হয়ে ওঠে । এক্ষেত্রে সমপরিমাণে গোলাপ জল এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন ।  তারপর সেই মিশ্রণ রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখে লাগিয়ে নিন । সারা রাত রেখে সকালে মুখটা ধুয়ে নিন । এমনটা মাত্র দু দিন করলেই ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠেছে ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে বা আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্ট টি পৌঁছেদিতে অনুগ্রহ করে শেয়ার করুণ । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুণ । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷