বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

হলুদ, আদা, পেঁয়াজ, রসুন ও আমলকীর দ্বারা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের উপায় কি কি ?.


১) হলুদ – হলুদ আমাদের বিভিন্ন উপকার করে । বহু বছর ধরে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে হলুদ মুখে মাখার জন্য কাঁচা হলুদ আর মসুরের ডাল একসাথে বেটে নিন । এরপর এর মধ্যে দুধের সর মিশিয়ে মাখিয়ে নিন । এভাবে এক মাস মাখুন, আপনার মুখের ত্বক উজ্জ্বল হবে । তেল আর হলুদ একসাথে গায়ে মাখলে দেহের উজ্জ্বলতা বাড়ে । আপনার গলা ধরলে ২ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো, সামান্য চিনি, ১ গ্লাস সামান্য গরম জলে সরবতের মত করে খেতে হবে । আপনার কৃমি হলে ১৫-২০ ফোটা হলুদের রসের সাথে খানিকটা লবণ দিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে খাবেন । সাতদিন ধরে এভাবে খেতে হবে । 

 লিভারের সমস্যা হলে ১ চামচ হলুদ রস সামান্য চিনি বা মধু দিয়ে এক মাস খাবেন । সর্দি বা কাশি কমাতে হলে মধুর সাথে হলুদের রস মিসিয়ে খেতে পারেনহলুদ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় হলুদ শরীরে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে


২) আদা – আদা আমাদের বিভিন্ন উপকার করে । মসলা ও আচারের উপকরণ হিসেবে আদা অধিক ব্যবহিত হয় আদার আবার ঔষধি গুণ রয়েছে আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে । আপনার আমবাত দেখা দিলে ১০ গ্রাম আখের গুড়, ১ চামচ আদার রস নিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে । এভাবে প্রায় ১ মাস খেতে হবে । আদা হজমে সাহায্য করে । হিক্কা হলে ১ চামচ আদার রস ও ১ চামচ ছাগলের দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে হবে । আপনার আমাশয় হলে শুকনো আদা গুঁড়ো ১ গ্রাম, এক কাপ হালকা গরম জলে মিশিয়ে খেতে হবে । প্রতিদিন দুবার করে খাবেন, যতদিন ভাল না হওয়া পর্যন্ত । সর্দি জ্বর হলে ১ চামচ আদার রস, ২ চামচ শিউলি পাতার রস, ১ চামচ তুলসী পাতার রস, ১ চামচ মধু মিসিয়ে খাবেন । প্রতিদিন দুবার করে তিনদিন পর্যন্ত । ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন । খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন ।

৩) পেঁয়াজ – পেঁয়াজ কাটতে গেলে আমাদের সবার চোখে জল আসে । বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য পেঁয়াজ ভাল কাজ করে । প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের সঙ্গে এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা আমাদের শরীরে নানা উপকার করে । প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন B এবং C পেঁয়াজের মধ্যে থাকে । কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে পেঁয়াজ আমাদের সাহায্য করে । কানে পুঁজ হলে পেঁয়াজ ও রসুনের রস হালকা গরম করে ১-২ ফোঁটা প্রতিদিন দুবার করে ৪-৫ দিন দিতে হবে । সর্দির জন্য নাক দিয়ে জল পড়লে ১ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে ২ চামচ জল দিয়ে খাবেন । নাক থেকে রক্ত পড়লে ৪-৫ ফোঁটা পেঁয়াজের রস নিয়ে নাকে নস্যির মত টানতে হবে । বমি ও হিক্কা হলে ২-৩ চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে সামান্য জল দিয়ে খেলে ভাল হবে ।
) রসুনরসুন একটি মসলা জাতীয় খাদ্য উপাদান । রান্নার মসলা হিসেবে রসুনের ব্যবহার বেশি করা হয় । অনেক দিন আগ থেকেই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে । রসুনের মধ্যে আছে ভিটামিন A,B,C,D, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, আয়োডিন রসুন মানুষের দেহে এমন কোনও রোগ বালাই নেই যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে না । রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার উপায় সৃষ্টিকারী উৎস বিদ্যমান রয়েছে । হার্ট সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত রসুনের ভূমিকা রয়েছে । গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে হজমের গণ্ডগোল রোধ হয় । মাথা ধরলে - চামচ রসুনের রস নাকে নস্যির মত টানুন আপনার গায়ে যদি কোন ঘা বা ক্ষত থাকে তাহলে সেখানে রসুনের - টি কোয়া বেটে পরপর কয়েক দিন লাগাবেন শরীরের ক্ষয় ওজন বৃদ্ধির জন্য দুধে রসুন সিদ্ধ করে সেই দুধ খেতে হবে এক কাপ দুধে কোয়া রসুন নেবেন আধকোয়া রসুন বেটে ঘোলের সাথে প্রতিদিন খেতে পারেন

) আমলকীআমলকী হল সবচেয়ে উপকারী ভেষজের মধ্যে একটি ভেষজ । অর্শ্ব, ডায়রিয়া, আমাশয়, রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস ও ত্বক সমস্যায় আমলকীর আছে অশেষ ক্ষমতা । আমলকী গাছের কাণ্ড ও শিকড়ের ছাল থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ । আমলকী আমাদের বিভিন্ন উপকার করে রোজ সকালে এক চামচ আমলকীর রস খেলে শরীর ও লিভার দুটিই চাঙা থাকে । মেহ-রোগ হলে প্রতিদিন একটা করে কাঁচা আমলকী খাবেন যোনীতে ব্যথা হলে চামচ কাঁচা আমলকীর রস, চামচ হিঞ্চের রস নিয়ে ১৫-২০ দিন প্রতিদিন একবার করে খাবেন আপনার চুল উঠে গেলে, চুল পেকে গেলে কাঁচা আমলকী বেটে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ২৫-৩০ মাঠায় লাগাতে হবে আপনার প্রস্রাবে যদি জ্বালা হয় তাহলে চামচ কাঁচা আমলকীর রস, গ্রাম মিছরির জল নিয়ে - দিন খেতে হবে আমলকী লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, লিভারকে সুরক্ষিত রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে । মধু ও আমলকী একসাথে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে । আমলকী ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ।
 
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

আপনি আপনার নিজের আত্মবিশ্বাস কিভাবে বাড়াবেন ?.


 আপনার আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর । আত্মবিশ্বাস মানুষের ভেতরকার এমন এক ক্ষমতা, যা দিয়ে মানুষ কঠিন কাজ সহজেই করে ফেলতে পারে, অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলতে পারেন । এই পৃথিবীতে সব মানুষ কিন্তু আত্মবিশ্বাস নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না আপনি যদি নিজের থেকে না চান তাহলে কেউ আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে না । এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যা আপনার উপর নির্ভরশীল । আমরা জানি যে এক সঠিক দিশা আমাদের সম্পূর্ণ জীবন বদলে দিতে পারে ।  শুধু আমাদের লক্ষ ঠিক রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেদিকে আগিয়ে যেতে হবে । এখন আমি আপনাদের জানবো যে – কিভাবে আপনি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন, তার বিভিন্ন উপায় কি কি ।

 সফল কাজ – আপনি যে সমস্ত সফল কাজ করেছেন, সেই কাজ গুলির কথা কনে করুন । যেমন – কোনও ক্লাসে প্রথম হওয়া, পুরস্কার পাওয়া, এমন কাজ যেটি কেউ পারেনি আপনি পেরেছেন ইত্যাদি । এরফল হবে, আপনি যখন অন্য একটি বড়ো কাজ করতে যাবেন তখন আপনার নিজের উপর একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে । যেকোনো কাজ করার আগে তার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে হয় ফলে এখন আপনি যে কাজটি করতে চলেছেন তা করা আপনার পক্ষে অনেকটা সহজ হয়ে যাবে । আপনি নিজে মনে করবেন যে, আমি এখন এই কাজটিও করতে পারবো ।

 সফল ব্যক্তিমানুষ প্রাকৃতিক ভাবেই সামাজিক জীব আপনি যদি আপনার সমাজে এমন মানুষ দেখেন যার উপর নিজের আত্মবিশ্বাস আছে, আপনি তাঁর কাছ থেকে কিছু পরামর্শ বা উপদেশ নিতে পারেন । আপনি কোন সফল ব্যক্তির সাথে আলোচনা করতে পারেন, তাঁর জীবনের সাফল্যের কথা শুনে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে । আমরা সাধারণ ভাবে বেশি সফল ব্যক্তিদের অনুসরণ করি । আমদের উচিত তাদের মত হয়ে উঠতে হলে সেভাবে নিজেকে তৈরি করা । আপনি যত সফল ব্যক্তিদের সাথে থাকবেন আপনার আত্মবিশ্বাস তত বেড়ে যাবে । নিজের আত্মবিশ্বাসকে ঠিক রাখতে হলে নেতিবাচক সঙ্গ এড়িয়ে চলতে হবে  

 ব্যর্থ হতে পারেন – আপনি যদি কাউকে বলেন যে, সে কাজ করতে গিয়ে কোনদিন কিছু ভুল করেছে কি, তার উত্তর কি হবে ? অবশ্যই হ্যাঁ হবে । কেউ যদি না বলে তাহলে সেটা পুরো মিথ্যা কথা । কাজ করতে গেলে আমাদের অনেক ভুল হতে পারে, ব্যর্থতা আসতে পারে । আপনার দ্বারা ভুল কেন হল সেই জন্য নিজেকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন আমাদের সেই ব্যর্থতা স্বীকার করে পরের কাজটি আরও বেশি ভাল করতে হবে যাতে, আর কোনও ভুল না হয় । আমরা সেই কাজ ছেড়ে দেই যখন দেখি সেটি করতে গিয়ে ভুল করি, ব্যর্থতা আসে । তখন আমরা চিন্তা করি যে এটি আর আমার দ্বারা হবেনা । এরকম ভাবলে আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক কমে যাবে । কোন কাজ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে, ছেড়ে না দিয়ে কিভাবে সেটি করা যায় তার উপায় চিন্তা করুন নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন না।

 নিজেকে উন্নত করুন -  বর্তমান সময়ে মানুষকে পড়াশুনার পাশাপাশি আরও কিছু বাড়তি গুনের অধিকারী হতে হয় আপনি যদি নিজেকে সবার থেকে আলাদা পরিচিতি পেটে চান তাহলে, আপনার মধ্যে যে ক্ষমতা আছে তা পুরোপুরি দিয়ে কাজে লেগে পড়ুন । আত্মবিশ্বাসী মানুষরা কাজ নিয়েই বেশি ভাবেন কোনও কাজ করতে হলে আপনাকে ১০০ % সময় দিতে হতে । আপনি এমন কাজ করতে গেছেন যা আগে থেকে আপনার ধারণা নেই তাহলে, আপনাকে সেই কাজ সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরি করতে হবে । নিজেকে আগের থেকে এখন আরও অনেক উন্নত করতে হবে । আপনাকে সহজে কাজ করতে হলে বর্তমানের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে । তার জন্য আপনি সেই বিষয়ে বই পড়তে পারেন, ইন্টারনেটে পড়তে পারেন । নিজেকে সবার থেকে আলাদা ভাবে তৈরি করুন ।

 অপরকে সাহায্য করা – আপনি আপনার পাশে থাকে এরকম মানুষদের সাহায্য করতে পারেন । আপনি যে বিষয়ে জানেন সেই বিষয়ে কেউ পরামর্শ করতে চাইলে সাহায্য করুন । আপনার সাহায্যে যদি তাঁর কোন উপকার হয় তাহলে, আপনার নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে । পরামর্শ দেওয়ার আগে ব্যপারটা ভাল করে বুঝে নেবেন ।
 বারবার করা – আমরা কাজ করতে গেলে ব্যর্থ হতে পারি, তাই সেই কাজটিকে ছেরে না দিয়ে বারবার করতে থাকুন । কারণ আমরা যখন কোন কাজ শুরু করি আমাদের সেই বিষয়ে অনেক কম জানা থাকে । আপনি কাজটি বারবার করার ফলে আপনার সেই কাজ সম্পর্কে জ্ঞান ধীরে ধীরে বাড়বে । যদি ভয় পেয়ে সেই কাজ আর না করেন তাহলে আর কি হল । পৃথিবীতে যত বড়ো বড়ো আবিষ্কার বা কোম্পানি তৈরি হয়েছে, তারা শুরুতে অনেক ভুল করেছে । কিন্তু, বারবার চেষ্টা করার ফলে তারা এখন বর্তমান অবস্থায় আসতে পেরেছে । আপনি জখন কাজটি সম্পূর্ণ করবেন তখন আপনার আত্মবিশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে বাড়বে ।

 হার না মানাআত্মবিশ্বাস বাড়ানো একদিনের কাজ নয় আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল যে, – আপনি এটা করতে পারবেন, পারবোনা এই কথাটা মনে একদম আসতে দেবেন না । সবসময় মনে করবেন আমি এটা করবই । যদি আপনি এই পজিটিভ ইচ্ছা নিয়ে থাকতে পারেন তাহলে আপনার সাফল্য একেবারে নিশ্চিত হবে । পৃথিবীতে এমন কিছু কাজ নেই যা মানুষ করতে পারেনা । এমন মানুষ আছে যারা হাত, পা ছাড়া শুধুমাত্র মনের জোরে সাগর পার হচ্ছে, পাহাড় চুড়ায় উঠছে । কোন কাজে সাফল্যের জন্য শরীরের থেকে আমাদের মনের জোর বেশি দরকার হয় ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে  সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 
আমাদের সম্পর্ক বিষয়ে পোস্ট পড়ুন -
 মেয়েরা ছেলেদের কি কি গুন গুলি পছন্দ করে ?
ফেসবুকে ভুয়ো বা ফেক প্রোফাইল চেনার উপায় গুলি কি কি ?.
বিয়ে করার জন্য সঠিক ছেলে বা মেয়ে কিভাবে নির্বাচন করবেন ?.
আপনি জীবনে সাফল্য লাভ করবেন কিভাবে ?.
দেহের গঠন অনুসারে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় ?.

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

বাংলা ভাষার উৎপত্তি কিভাবে হয়েছিল, মধ্য যুগে বাংলা সাহিত্য কেমন ছিল ?.


 আজ সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ভাষা ব্যবহার করেন । বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের ব্যবহৃত প্রধান ভাষা হল বাংলা ভাষা । তাছাড়াও বিহার, উড়িষ্যায় বাংলা ভাষায় কথা বলে এমন মানুষ বাস করেন । বাংলাদেশের সরকারি ভাষা হল বাংলা ভাষা । পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের প্রশাসনিক ভাষা হল বাংলা । বাংলা ভাষা হল পৃথিবীর সপ্তম বৃহতম ভাষা । 


 বাংলা ভাষা কবে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই নির্দিষ্ট সময় নিয়ে এখন গবেষণা চালান হচ্ছে । বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছর পুরনো মনে করা হয় যে - সংস্কৃত ভাষা থেকে স্বাভাবিক বিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশীয় ভাষা যেমন – পালি, প্রাকৃত, সৌরসেনী, অপভ্রংশ ইত্যাদি ভাষার উৎপত্তি হয়েছে । তাই এমন ভাবা হয় যে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি সংস্কৃত ভাষা থেকে । আদি-মধ্য যুগে বাংলা ভাষা প্রথম সৃষ্টি হয় । এই ভাষার প্রথা ব্যবহার দেখা যায় চর্যাপদে । 


  চর্যাপদকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসাবে ধরা হয় । হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে এটি আবিষ্কার করেন । সেই সময় সৌরসেনী ও বাংলা ভাষার প্রভাব ছিল । ধীরে ধীরে বাংলা ভাষা সাহিত্যের উপযুক্ত হয়ে ওঠে । সেই সময়ের লেখকরা সৌরসেনী, অপভ্রংশ ও বাংলা ভাষায় কাব্য চর্চা করতেন । মোট ৫০ টি প্রাচীন বাংলায় লেখা চর্যাপদের আবিষ্কার করা হয় । সেগুলির মধ্যে প্রকৃতি, কবিত্ব, অনুভূতি, আবেগ ইত্যাদির প্রকাশ লক্ষ করা যায় ।

 চর্যাপদ ছারাও সেই সময়ে লিখিত বাংলা গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া গেছে । চালুক্যরাজ তৃতীয় সোমেশ্বরের আমলে লিখিত মানসোল্লাহ’ গ্রন্থের ‘গীতবিনেদ’ শ্রীকৃষ্ণের লীলা বিষয়ক কিছু গীত আছে । সেটি বাংলা ভাষায় রচিত । এই গ্রন্থের কবিতা গুলি প্রাচীন বাংলা, মাগধী অপভ্রংশ, সৌরসেনী অপভ্রংশের অনুরূপ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে । পরে এই মাগধী অপভ্রংশ থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সৃষ্টি হয়েছে


 সুলতানি আমলে বাংলা ভাষা কেমন ছিল তা বলা সহজ নয় । তবে কিছু পুঁথি থেকে সেই সময় কালের কথা জানা যায় ।  বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন’ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ । এর ভাষা থেকে আমরা সুলতানি আমলে বাংলা ভাষা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করতে পারি । বাংলা ভাষার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন বাংলার মুসলিম শাসকগোষ্ঠী ।  খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে বাংলায় ইলিয়াস শাহি বংশের শাসন শুরু হলে সেই সময় বাংলা ভাষায় লেখার কিছু উদাহরণ পাওয়া যায় । আজকের মত সেই সময় বাংলা ভাষার বিভিন্ন ভাগ ছিল । সেই সব সাহিত্যে বেশি দেবদেবীর মহিমা প্রচার করা হত ।

 শিবকে নিয়ে সেয় সময় কিছু সাহিত্য লেখা হয়েছিল, সেগুলিকে ‘শিবায়ন’ বলা হয় । পুরাণের শিব বিষয়ের কাহিনীর সাথে শিব ও দুর্গার ঘর সংসারের কাহিনী যুক্ত করে এই কাব্যগুলি লেখা হয়েছিল । ‘নাথযোগী’ সম্প্রদায়ের দেবতা ছিলেন শিব । তাদের ধর্ম-কর্ম, আচার-আচরণ নিয়ে সে সময় সাহিত্য লেখা হয় । সেই সব সাহিত্যকে বলে নাথ সাহিত্য । এখানে সন্ন্যাস জীবন যাপনের উপর জোর দেওয়া হত ।


 রামায়ণ, মহাভারত সেই সময় খুব জনপ্রিয় ছিল । এই দুই মহা কাব্যের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি কাব্য লিখেছিলেন । তাছাড়াও এগুলির অনুবাদ করা হত । ভাগবতের কিছুটা অংশ নিয়ে মালাধর বসু বাংলায় অনুবাদ করেন, সেই অংশের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ । বাংলায় রামায়ণ অনুবাদ করেন কৃত্তিবাস ওঝা, আর মহাভারত অনুবাদ করেন কাশীরাম দাশ । রামায়ণ ও মহাভারত প্রথমে সংস্কৃতে লেখা হয়েছিল । বাংলায় অনুবাদের সময় বেশ কিছু পরিবর্তন তার মধ্যে চলে আসে । এই অনুবাদ গুলিতে বাংলার ছবি দেখা যায় ।

 বাংলা সাহিত্যের আর একটি ধারা ছিল মঙ্গল কাব্য । চণ্ডী, ধর্ম, মনসা এইসব দেবদেবীর মহিমা গান গেয়ে শোনানো হত । গানের ভিতর একটা গল্প থাকত, সেই গল্প নিয়ে বেশ কিছু সাহিত্য লেখা হয় । সেগুলিকে বলে মঙ্গল কাব্য । দেবী মনসা কে নিয়ে মনসা মঙ্গল, চণ্ডী দেবীকে নিয়ে চণ্ডীমঙ্গল, ধর্ম ঠাকুরকে নিয়ে তৈরি হয় ধর্ম মঙ্গল । অনেক কবি মঙ্গল কাব্য লিখেছিলেন । এর মধ্যে মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল এখনও প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে আছে ।


 ভক্তি ধর্মের প্রভাব বাংলা সাহিত্যে বেশি বিস্তার করে । শ্রীচৈতন্য ও ও বৈষ্ণব-ভক্তিবাদ নিয়ে এই সময় অনেক কাব্য লেখা হয়েছিল । চৈতন্যের জীবনী নিয়ে জে কাব্য লেখা হয় তাকে ‘চৈতন্য জীবনী কাব্য’ বলে । এর পাশাপাশি রাধা-কৃষ্ণকে নিয়ে জে পদ বা কবিতা লেখা হত তাকে বলা হয় পদাবলি সাহিত্য । সেই সময় যা লেখা হত তার বেশিরভাগ সুর করে গাওয়া হত । এই সময়ের লেখাগুলিকে পাঁচালি বলা হয় ।  রামায়ণ, মহাভারত ও দেবদেবীর কাব্য গুলি সব প্রায় পাঁচালির মত গাওয়া হয় ।

 তখনকার সময়ে আরবি ও ফারসি ভাষার সাথে মিল রেখে লেখালেখি শুরু হয় । সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর রাজ্য অভিযানের কাহিনী নিয়ে সৈয়দ আলাওয়াল পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে  জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 


আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

অলিম্পিক প্রতিযোগিতার ইতিহাস ও বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর গুলি কি কি ?.


 অলিম্পিক হল একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা । দুইশ বা ততাোধিক দেশের অংশগ্রহণে এই অলিম্পিক গেমস বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বোচ্চ সম্মানজনক প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয় । অলিম্পিক সংক্রান্ত একটি প্রাচীন লিপি থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে অলিম্পিকের সূচনা ঘটেছিল খৃষ্টপূর্ব ৭৭৬ সালের দিকে । আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ থেকে ৩৯৫ অব্দ সময়ের মধ্যে গ্রিসের অলিম্পিয়া নামক স্থানে দেবতা জিউসের সম্মানে প্রতি চার বছর অন্তর এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হত । ১৭৯৮ সালে ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরতা  সর্বপ্রথম  আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গঠন করেন । সুইজারল্যান্ডের লুসানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদর দফতর রয়েছে ।

 অলিম্পিক গেমসের ক্রীড়া অনুষ্ঠান সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত  আইওসি গ্রহণ করে । এই প্রাচীন জাতীয় ক্রীড়ার অনুসরণে ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে ২৫ মার্চপিয়ের দ্য কুয়েরএর উদ্যোগে এথেন্সে এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রথম অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয় ১৮৯৬ সালে এথেন্সের প্যানাথেনেইক স্টেডিয়ামে । এই খেলায় ৪৩ টি প্রতিযোগিতায় ১৪ টি দেশের প্রায় ২৪১ জন ক্রীড়াবিদ অংশ গ্রহণ করেছিলেন । এর পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতি চার বছর অন্তর এই খেলা অনুষ্ঠিত হয় বর্তমানে এই ক্রীড়ানুষ্ঠান অলিম্পিক ক্রীড়া নামে পৃথিবী খ্যাত অলিম্পিকে ৩৩ টি ক্রীড়ার ৪০০ টি বিভাগে প্রায় ১৩,০০০ ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করে থাকেন । প্রত্যেক বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্রীড়াবিদদের যথাক্রমে  সোনা, রুপা এবং ব্রোঞ্জের পদক  দেওয়া হয় ।
 ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ক্রীড়াবিদদের জন্য ২০১০ সালে মূল অলিম্পিক গেমসের সাথে যুব অলিম্পিক গেমসের সংযোজন করা হয় । অলিম্পিক গেমস চলাকালীন সময়ে ক্রীড়াবিদ ও আধিকারিকদের যে স্থানে থাকতে দেওয়া হয় তাকে অলিম্পিক ভিলেজ বলা হয় । ২০০৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আইওসি একটি অলিম্পিক অনুষ্ঠানসূচী কমিশন গঠন করে । প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল ।
অলিম্পিকের নীল, কালো, লাল, হলুদ ও সবুজ এই পাঁচ রঙের পাঁচটি বলয় হল পাঁচ মহাদেশের প্রতীক । নীল – ইউরোপ, কালো – আফ্রিকা, হলুদ – এশিয়া, লাল – আমেরিকা ও সবুজ ওশিয়ানিয়া মহাদেশের প্রতীক । ফ্রান্সের ব্যারন পিয়ের দ্য কুবারতিন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে এই পাঁচটি বলয় আঁকা পতাকা তৈরি করেন । ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প অলিম্পিকে এই পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়েছিল । ভারত প্রথম অলিম্পিকে যোগদান করে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ।
কবে কোথায় অলিম্পিক ক্রীড়া হয়েছিল –
খ্রিস্টাব্দ -- স্থান -- দেশ.
১৮৯৬ -- এথেন্স -- গ্রিস.
১৯০০ -- প্যারিস -- ফ্রান্স.
১৯০৪ – সেন্ট লুই – ফ্রান্স.
১৯০৮ – লন্ডন – ইংল্যান্ড.
১৯১২ – স্টকহোম – সুইডেন.
১৯১৬ – খেলা হয়নি ।
১৯২০ – অ্যান্টওয়ার্প – বেলজিয়াম.
১৯২৪ – প্যারিস – ফ্রান্স.
১৯২৮ – আমস্টারডাম – নেদারল্যান্ড.
১৯৩২ – লস এঞ্জেলেস – আমেরিকা.
১৯৩৬ – বার্লিন – জার্মানি.
১৯৪০ -- খেলা হয়নি ।
১৯৪৪ -- খেলা হয়নি ।
১৯৪৮ – লন্ডন – ইংল্যান্ড.
১৯৫২ – হেলসিংকি – ফিনল্যান্ড.
১৯৫৬ – মেলবোর্ন – অস্ট্রেলিয়া.
১৯৬০ – রোম – ইতালি.
১৯৬৪ – টোকিও – জাপান.
১৯৬৮ – মেক্সিকো সিটি – মেক্সিকো.
১৯৭২ – মিউনিখ – পশ্চিম জার্মানি.
১৯৭৬ – মন্ট্রিল – কানাডা.
১৯৮০ – মস্কো – রাশিয়া.
১৯৮৪ -- লস এঞ্জেলেস – আমেরিকা.
১৯৮৮ – সিউল – দক্ষিণ কোরিয়া.
১৯৯২ – বার্সেলোনা – স্পেন.
১৯৯৬ – আটলান্টা – আমেরিকা.
২০০০ -- সিডনি -- অস্ট্রেলিয়া.
২০০৪ -- এথেন্স -- গ্রিস.
২০০৮ – বেজিং – চিন.
২০১২ – লন্ডন – ইংল্যান্ড.
২০১৬ – রিও ডি জেনিরো – ব্রাজিল.
২০২০ - টোকিও – জাপান,(অনুষ্ঠিত হবে).
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪০ ও ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য অলিম্পিক খেলা বন্ধ থাকে ।
বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর গুলি কি কি –
১) ভারতীয় হকি দল প্রথম কবে অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে – ১৯২৮ সালে ।
২) ভারতীয় হকি দল প্রথম কবে অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় সোনা পায় - ১৯২৮ সালে ।
৩) ভারতীয় হকি দল প্রথম অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় কোন দেশের সাথে খেলেছিল – অস্ট্রিয়ার সাথে ।
৪) সেই খেলার ফলাফল কি হয়েছিল – ভারত ৬-০ ব্যবধানে জিতেছিল ।
৫) অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ভারত কোন দেশকে হারিয়ে সোনা পায় – ইংল্যান্ড, ৩-০ গোল ।
৬) ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিক হকিতে কতবার সোনা পেয়েছে – ৮ বার ।
৭) ভারতের কোন খেলোয়াড় ৩ বার অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করেন – লেসলি ক্লডিয়াস ।
৮) অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় হকিতে ভারতের সর্বোচ্চ গোল কত – ২৪/১, ১৯৩২, আমেরিকার বিপক্ষে ।
৯) অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় হকিতে ভারত ও পাকিস্তানের প্রথম খেলার ফলাফল কি হয়েছিল – ভারত ১-০ গোলে জিতেছিল ।
১০) একটি অলিম্পিকে সাঁতার প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বাধিক স্বর্ণপদক কে পেয়েছেন – আমেরিকার মাইকেল ফেলপস, ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে ১০ টি স্বর্ণপদক পেয়েছেন ।
১১) অলিম্পিকে কবে মেয়েরা প্রথম অংশ গ্রহণ করেন – ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে, প্যারিস অলিম্পিকে ।
১২) কোন ভারতীয় মহিলা অলিম্পিকে প্রথম পদক পান – কর্নম মালেশ্বরী, ভারোত্তোলন
১৩) বাবা ও ছেলে দুটি আলাদা ইভেন্টে অলিম্পিকে স্বর্ণপদক পান, তাঁরা কে কে – হাঙ্গেরির ইমবে লেমেথ ও ছেলে মিকলান লেমেথ ।
১৪) অলিম্পিকে প্রথম বক্সিং কবে অন্তর্ভুক্ত হয় – ১৮৯৬ সালে ।
১৫) কোথায়, কবে উইন্টার অলিম্পিক শুরু হয় – ফ্রান্সে, ১৯২৪ ।
১৬) আধুনিক অলিম্পিকে মশাল হাতে দৌড় কবে থেকে শুরু হয় – ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ।
১৭) নোবেল পুরস্কার জয়ী কে অলিম্পিকে দৌড় প্রতিযোগিতায় পদক পান – স্যর ফিলিপ নোয়েল ।
১৮) অলিম্পিকে মহিলা বিভাগে বাস্কেট বল কবে অন্তর্ভুক্ত হয় – ১৯৭৬ সালে ।
১৯) স্বাধীন ভারতের প্রথম অলিম্পিক পদক বিজয়ী কে ছিলেন – ধাসাবা দাদাসাহেব যাদব, ১৯৫২ সালে হেলসিংকি অলিম্পিকে কুস্তিতে ব্রোঞ্জ পদক ।
২০) লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ খ্রিস্টাব্দে কোন খেলা প্রথম চালু হয় – মেয়েদের বক্সিং ।
২১) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে অলিম্পিকে শিল্পকলা প্রতিযোগিতায় কোন ভারতীয়, ভাস্কর্য বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক পান – চিন্তামণি কর ।
২২) ভারত শেষবার কবে অলিম্পিক হকিতে সোনা জিতেছিল – ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ।
২৩) প্রথম ভারতীয় হিসাবে পরপর দুটি অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে পদক পেয়েছেন কে – সুশীল কুমার ।
২৪) প্রথম কবে অলিম্পিক খেলা টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয় - ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিকই সর্বপ্রথম টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয়েছিল ।
২৫) অলিম্পিকে প্রথমবারের জন্য অলিম্পিক ম্যাসকটের ব্যবহার কবে করা হয় -১৯৬৮ মেক্সিকো অলিম্পিকে প্রথমবারের জন্য অলিম্পিক ম্যাসকটের ব্যবহার করা হয় ।

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । খেলা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে খেলা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 
আমাদের খেলা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়ুন -
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।