হলুদ, আদা, পেঁয়াজ, রসুন ও আমলকীর দ্বারা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের উপায় কি কি ?.
১) হলুদ – হলুদ আমাদের বিভিন্ন উপকার করে
। বহু বছর ধরে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে হলুদ । মুখে মাখার জন্য কাঁচা হলুদ আর মসুরের ডাল একসাথে বেটে নিন
। এরপর এর মধ্যে দুধের সর মিশিয়ে মাখিয়ে নিন । এভাবে এক মাস মাখুন, আপনার মুখের
ত্বক উজ্জ্বল হবে । তেল আর হলুদ একসাথে গায়ে মাখলে দেহের উজ্জ্বলতা বাড়ে । আপনার
গলা ধরলে ২ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো, সামান্য চিনি, ১ গ্লাস সামান্য গরম জলে সরবতের মত
করে খেতে হবে । আপনার কৃমি হলে ১৫-২০ ফোটা হলুদের রসের সাথে খানিকটা লবণ দিয়ে সকাল
বেলা খালি পেটে খাবেন । সাতদিন ধরে এভাবে খেতে হবে ।
লিভারের সমস্যা হলে ১ চামচ হলুদ রস সামান্য চিনি বা মধু দিয়ে এক মাস খাবেন । সর্দি বা কাশি কমাতে হলে মধুর সাথে হলুদের রস মিসিয়ে খেতে পারেন । হলুদ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় । হলুদ শরীরে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে ।
লিভারের সমস্যা হলে ১ চামচ হলুদ রস সামান্য চিনি বা মধু দিয়ে এক মাস খাবেন । সর্দি বা কাশি কমাতে হলে মধুর সাথে হলুদের রস মিসিয়ে খেতে পারেন । হলুদ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় । হলুদ শরীরে ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে ।
২) আদা – আদা আমাদের বিভিন্ন উপকার করে ।
মসলা ও আচারের উপকরণ হিসেবে আদা অধিক ব্যবহিত হয় । আদার আবার ঔষধি গুণ
রয়েছে । আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে । আপনার আমবাত দেখা দিলে ১০
গ্রাম আখের গুড়, ১ চামচ আদার রস নিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে । এভাবে প্রায় ১ মাস খেতে
হবে । আদা হজমে সাহায্য করে । হিক্কা হলে ১ চামচ আদার রস
ও ১ চামচ ছাগলের দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে হবে । আপনার আমাশয় হলে শুকনো আদা গুঁড়ো ১
গ্রাম, এক কাপ হালকা গরম জলে মিশিয়ে খেতে হবে । প্রতিদিন দুবার করে খাবেন, যতদিন
ভাল না হওয়া পর্যন্ত । সর্দি জ্বর হলে ১ চামচ আদার রস, ২ চামচ শিউলি পাতার রস, ১
চামচ তুলসী পাতার রস, ১ চামচ মধু মিসিয়ে খাবেন । প্রতিদিন দুবার করে তিনদিন
পর্যন্ত । ভিনিগারে আদার
টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন
রাখুন । খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন ।
৩) পেঁয়াজ – পেঁয়াজ
কাটতে গেলে আমাদের সবার চোখে জল আসে । বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের জন্য পেঁয়াজ ভাল কাজ
করে । প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের সঙ্গে এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা
আমাদের শরীরে নানা উপকার করে । প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন
B এবং
C পেঁয়াজের
মধ্যে থাকে । কোলন
ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গে লড়তে পেঁয়াজ আমাদের সাহায্য করে । কানে পুঁজ হলে পেঁয়াজ ও রসুনের রস হালকা গরম করে
১-২ ফোঁটা প্রতিদিন দুবার করে ৪-৫ দিন দিতে হবে । সর্দির জন্য নাক দিয়ে জল পড়লে ১
চামচ পেঁয়াজের রসের সাথে ২ চামচ জল দিয়ে খাবেন । নাক থেকে রক্ত পড়লে ৪-৫ ফোঁটা
পেঁয়াজের রস নিয়ে নাকে নস্যির মত টানতে হবে । বমি ও হিক্কা হলে ২-৩ চামচ পেঁয়াজের
রসের সাথে সামান্য জল দিয়ে খেলে ভাল হবে ।
৪) রসুন – রসুন একটি মসলা জাতীয় খাদ্য উপাদান । রান্নার মসলা হিসেবে
রসুনের ব্যবহার বেশি করা হয় । অনেক দিন আগ থেকেই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই
রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে । রসুনের মধ্যে আছে ভিটামিন A,B,C,D, ক্যালসিয়াম, আয়রন,
ফসফরাস, আয়োডিন । রসুন মানুষের দেহে এমন কোনও রোগ
বালাই নেই যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে না । রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার
উপায় সৃষ্টিকারী উৎস বিদ্যমান রয়েছে । হার্ট সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে
ওজন কমানো পর্যন্ত রসুনের ভূমিকা রয়েছে । গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে হজমের গণ্ডগোল রোধ হয় । মাথা
ধরলে ১-২ চামচ
রসুনের রস নাকে
নস্যির মত টানুন । আপনার গায়ে
যদি কোন ঘা
বা ক্ষত থাকে
তাহলে সেখানে রসুনের ২-৩ টি
কোয়া বেটে পরপর
কয়েক দিন লাগাবেন । শরীরের ক্ষয়
ও ওজন বৃদ্ধির জন্য দুধে রসুন
সিদ্ধ করে সেই
দুধ খেতে হবে
। এক কাপ
দুধে ২ কোয়া
রসুন নেবেন । আধকোয়া রসুন বেটে ঘোলের সাথে প্রতিদিন খেতে
পারেন ।
৫) আমলকী – আমলকী হল সবচেয়ে উপকারী ভেষজের মধ্যে একটি ভেষজ । অর্শ্ব, ডায়রিয়া, আমাশয়, রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস ও ত্বক সমস্যায় আমলকীর
আছে অশেষ ক্ষমতা । আমলকী গাছের কাণ্ড ও শিকড়ের ছাল থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের
ওষুধ । আমলকী আমাদের বিভিন্ন উপকার করে । রোজ সকালে এক চামচ আমলকীর রস খেলে
শরীর ও লিভার দুটিই চাঙা থাকে । মেহ-রোগ হলে প্রতিদিন একটা করে কাঁচা আমলকী খাবেন । যোনীতে ব্যথা হলে ২ চামচ কাঁচা আমলকীর রস, ২
চামচ হিঞ্চের রস নিয়ে ১৫-২০ দিন প্রতিদিন একবার করে খাবেন । আপনার চুল উঠে গেলে, চুল পেকে গেলে কাঁচা আমলকী বেটে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ২৫-৩০ মাঠায় লাগাতে হবে । আপনার প্রস্রাবে যদি জ্বালা হয় তাহলে ২
চামচ কাঁচা আমলকীর রস, ১ গ্রাম মিছরির জল নিয়ে ৩-৪ দিন খেতে হবে । আমলকী লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, লিভারকে সুরক্ষিত
রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে । মধু ও আমলকী একসাথে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো
থাকে । আমলকী ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ
করে, রক্তস্বল্পতা
প্রতিরোধ করে, স্মৃতিশক্তি
বাড়ায় ।
আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট
করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে স্বাস্থ্য লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি
পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -
আপনার ত্বকের যত্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে করবেন ?
চুলের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায় কি ?
মাথার বুদ্ধির ধার বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় গুলি কি কি ?
সুস্থ নীরোগ সন্তান লাভ করবেন কিভাবে ?
মধুর বিভিন্ন উপকারিতা গুলি কি কি ?.
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।