বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯

দেহের গঠন অনুসারে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় ?.


  আপনার মানব চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে আপনি মানুষকে নিয়ে সমাজে চলতে পারবেন না । পরিস্থিতি অনুসারে মানুষ বিশেষ আচরণ করে থাকে । আপনি যখন বুঝতে পারবেন যে বিশেষ পরিস্থিতিতে মানুষ কেন বিশেষ আচরণ করে তখন, আপনি একজন মানুষকে সহজে চিনতে পারবেন । কাউকে চেনা মানে সে আপনার মত কিনা সেটা নয়, সে আসলে কেমন এটা বুঝে নেওয়া । প্রত্যেক মানুষ নিজের ব্যাপারে বেশি মাথা ঘামান, অন্যের ব্যাপারে নয় । আবার এর বিপরীতও দেখা যায় । মানুষ তাঁর স্বার্থের ও সুবিধার জন্য সব কাজ করতে পারে । দান, ধ্যান বা পুণ্য কাজ করলে তাঁর কতটা সুনাম বাড়ল সেদিকে মানুষের বেশি আগ্রহ থাকে । 


 এখন আমরা মানুষের দেহের গঠন অনুসারে কে কেমন প্রকৃতির হয় তা সবিস্তারে জানবো --

১) আমরা একটা মানুষের দেহের গঠন দেখে সহজে অনুমান করতে পারি সে কেমন । চলুন তাহলে শুরু করি । যে মানুষের মুখ ভীরুর মত হয় সে পাপ কাজ করতে কখন ভয় করেনা । আর যে মানুষের মুখ গোল হয় তাঁরা ধনবান ব্যক্তি হয় । যাদের মুখ চারকোনা আকৃতির হয় তাঁরা চতুর প্রকৃতির হয় । যেসব পুরুষ মানুষের মুখ মেয়েদের মত হয় তাঁরা অপুত্রক হন । ছোট মুখ হলে তাঁরা কৃপন হয় । যাদের মুখে কখন হাসি দেখা যায় না তাঁরা দুঃখ ও দারিদ্র ভোগ করেন । যারা ভালকরে হাসেনা তাঁরা মনে হিংসা জমা করে রাখে । গোল মাথা যেসব মানুষের তাঁরা ধনবান হয় । যে মানুষের মুখ খুব বড়ো তাঁরা দরিদ্র হয় । ভরাট গাল ব্যক্তিরা গণ্যমান্য বলে মানা হয় ।

২) যেসব মানুষের ভ্রুর গঠন অসমান হয় তাঁরা গরীব হয় । যাদের ভ্রু বেশি উঁচুতে থাকে তাদের আয়ু কম হয় । মোটা ও খুব বড় ভ্রু হলে তাঁরা দরিদ্র হয় । যে মানুষের সারা শরীর সোজা ও নরম লোম থাকে তাঁরা সাদাসিধে মানুষ হয় । বিবর্ণ বা হলদে হলে তাঁরা পাপ কাজ করে । যাদের শরীরে লোম দেখতে পাওয়া যায়না তাঁরা ধূর্ত প্রকৃতির হয় ।

৩) যেসব মানুষের নাক খুব সুন্দর তাঁরা ভাগ্যবান হয় । ছোটো নাক যাদের তাঁরা ধর্ম মানেন না । যাদের নাকের ডগা বাঁকা তাদের নেশাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । ডানদিকে বাঁকা নাক হলে সে চতুর প্রকৃতির হয় ।

৪) যে মানুষের কান দুটো সমান, খুব বড়ো বা ছোটো নয়, সুন্দর দেখতে তাঁরা সুলক্ষণ ব্যক্তি । যাদের কানে শিরা দেখা যায় তাদের ভাগ্য খারাপ । সোজা কানওয়ালা মানুষরা খুব সচেতন হয় । যে মানুষের চোখ বেশি লাল তাঁর হঠাৎ করে স্ত্রীর মৃত্যু হতে পারে ।

৫) যেসব মানুষের দাঁত দেখতে বাঁধান দাঁতের মত তাঁরা ভাল ব্যক্তি হয় । যাদের বড়ো দাঁত তাঁরা বিদ্বান হয় । আবার লাল জিভ যাদের তারাও বিদ্বান হয় । ঠোঁটে জিভ বোলানো মানুষরা লোভী প্রকৃতির হয় । বড়ো জিভ ব্যক্তিরা আনন্দ করতে ভালোবাসে ।

৬) যে মানুষের বুক বড়ো হয় তাঁরা সাহসী ও বীর প্রকৃতির হয় । যাদের বুক সমান তাঁরা ধনবান ব্যক্তি হয় ।

৭) যেসব মানুষের হাত বড়ো হয় তাঁরা সরল মানুষ হয় । দীর্ঘবাহু হলে তাঁরা অনেক মানুষের উপকার করেন । ছোটো বাহু হলে সে চতুর হয় । যাদের হাতের মুঠো খোলা থাকে তাঁরা উদার, সৎ, ভাবপ্রবণ হয় । আঙুল খুব মোটা হলে তাঁরা নির্ধন হয় । নখ ছোটো হলে তাঁরা সকলের সাথে মানিয়ে চলে ।

৮) বড়ো কপাল হলে তাঁরা ধনবান হয় । ছোটো কপাল হলে তাদের আয়ু কম হয় । হাঁটার সময় যারা মাথা নিচু করে থাকে তাঁরা জটিল ধরনের হয় । যেসব মানুষ হাঁটার সময় জোরে জোরে হাঁটেন তাঁরা জীবনে সফল হয় ।

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ   

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন - 


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯

চাকরির পরীক্ষায় ভূগোলের বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর গুলি কি কি ?.


১) বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সর্বাধিক – নাইট্রোজেন গ্যাস ।
২) বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কত – ২১% ।
৩) পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থানের নাম কি – মাউন্ট এভারেস্ট ।
৪) পৃথিবীর সর্বনিম্ন স্থানের নাম কি – মারিয়ানা খাত ।
৫) পৃথিবীর সবথেকে শীতলতম স্থান কোনটি – রাশিয়ার ভস্তক ।
৬) এশিয়ার সবথেকে উষ্ণতম স্থানের মান কি – পাকিস্তানের জেকোবাবাদ ।
৭) পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপের নাম কি – গ্রিনল্যান্ড ।
৮) পৃথিবীর বৃহত্তম শহরের নাম কি – লন্ডন ।
৯) পৃথিবীর বৃহত্তম মিউজিয়ামের নাম কি – ব্রিটিশ মিউজিয়াম (লন্ডন) ।
১০) পৃথিবীর বৃহত্তম লাইব্রেরির কোনটি – লেলিন লাইব্রেরি, রাশিয়া ।


১১) পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাসাদের নাম কি – ভ্যাটিকান প্রাসাদ, রোম ।

১২) পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের নাম কি – সুন্দরবন ।
১৩) সন্ধ্যাতারা কোন আকাশে দেখা যায় – পশ্চিম আকাশে ।
১৪) যমজ গ্রহ কাদের বলা হয় – পৃথিবী ও শুক্র কে ।
১৫) ভারতের প্রথম মহাকাশচারীর নাম কি – রাকেশ শর্মা ।


১৬) ভারতের প্রথম মহিলা মহাকাশচারীর নাম কি – কল্পনা চাওলা । ১৭) হ্যালির ধূমকেতু কত বছর পর পর দেখা যায় – ৭৬ বছর । ১৮) সূর্যের সবথেকে কাছের গ্রহের নাম কি – বুধ ।
১৯) কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় – থার্মোস্ফিয়ার স্তরে ।
২০) ক্ষুব্ধ মণ্ডল কোন স্তরকে বলা হয় –  ত্রপোস্ফিয়ার ।
২১) প্রতি ১০০ মিটার উচ্চতায় কত ডিগ্রি উষ্ণতা হ্রাস পায় – ৬.৪ ডিগ্রি ।
২২) ইউরোপ ও এশিয়াকে একত্রে কি বলা হয় – ইউরেশিয়া ।
২৩) বিশ্বউস্নায়নের জন্য দায়ী প্রধান গ্যাস কি – কার্বন ডাই-অক্সাইড ।
২৪) সাদা মহাদেশ কাকে বোলা হয় – অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে ।
২৫) পৃথিবীর উচ্চতম মালভূমির নাম কি – পামির মালভূমি ।
২৬) পৃথিবীর উচ্চতম বিমান ক্ষেত্র কোনটি – লাডাক ।
২৭) পৃথিবীর উচ্চতম বাঁধের নাম কি – নিউরেক বাঁধ ।
২৮) পৃথিবীর উচ্চতম ঝুলানো সেতুর নাম কি – রয়েল জর্জ ।
২৯) পৃথিবীর দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণীর নাম কি – আন্দিজ ।
৩০) পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কি – মিসিসিপি-মিসৌরি ।
৩১) পৃথিবীর সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ শহরের নাম কি – টোকিও ।
৩২) পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ কোনটি – ভ্যাটিকান সিটি ।
৩৩) ভূস্বর্গ কাকে বলা হয় – কাশ্মীরকে ।
৩৪) সূর্যোদয়ের দেশ কাকে বলে – জাপানকে ।
৩৫) সোনার ভেড়ার লোমের দেশ কাকে বলে – অস্ট্রেলিয়াকে ।


৩৬) অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ কাকে বলে – আফ্রিকাকে ।
৩৭) বাংলার দুঃখ কাকে বলে – দামোদর নদকে ।
৩৮) ভারতের প্রবেশদ্বার কাকে বলে – মুম্বাই ।
৩৯) নীলনদের দান কাকে বলে – মিশরকে ।
৪০) নিশীথ সূর্যের দেশ কাকে বলে – নরওয়ে কে ।
৪১) হাজার হ্রদের দেশ কাকে বলে – ফিনল্যান্ড ।
৪২) স্বর্গ পূরী কাকে বলে – রোমকে ।
৪৩) ভারতে গম উৎপাদনে কোন রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করে – উত্তর প্রদেশ ।
৪৪) দুটি বাগিচা ফসলের নাম কি – চা, কফি ।
৪৫) ভারতের ম্যানচেস্টার কাকে বলে – আমেদাবাদকে ।
৪৬) ভারতের চা গবেষণা কেন্দ্র কোথায় আছে – অসমের জোড়হাটে ।
৪৭) ভারতে স্বাক্ষরতার হার কত – ৭৪.০৪ % ।
৪৮) ভারতের কোন রাজ্যে জনঘনত্ব সবথেকে বেশি – বিহার ।
৪৯) ভারতের কোথায় প্রথম মেট্রো রেল চালু হয় – কলকাতায় ।
৫০) সোনালি চতুর্ভুজ দ্বারা কোন পথকে নির্দেশ করা হয় – সড়ক পথ ।



৫১) শ্যাম দেশ কাকে বলা হয় – থাইল্যান্ড কে ।
৫২) কোন দেশের জাতীয় প্রতীক গোলাপফুল – ইরান ।
৫৩)  কোন দেশের জাতীয় প্রতীক ক্যাঙ্গারু – অস্ট্রেলিয়া ।
৫৪) ভারতে প্রথম কবে বেতার সম্প্রচার হয় – ১৯২৭ সালে ।
৫৫) সমুদ্রের জলে সর্বাধিক কি পাওয়া যায় – সোডিয়াম ক্লোরাইড ।
৫৬) কোন যন্ত্রের সাহায্যে বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয় – হাইগ্রমিটার ।
৫৭) ভিল উপজাতি কোথায় বাস করে – মধ্য ভারতে ।
৫৮) কোন পর্বত ইউরোপ ও এশিয়ার সীমানা হিসাবে অবস্থিত – উরাল পর্বতশ্রেণী ।
৫৯) সমুদ্র জলের গড় লবণতা কত – ৩২ % ।
৬০) কোন নদী বৃদ্ধ গঙ্গা নামে পরিচিত – গোদাবরী ।


৬১) কোন পর্বত পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালাকে সংযুক্ত করেছে – নীলগিরি ।
৬২) ভারত ও আফগানিস্তানের সীমারেখার নাম কি – ডুরান্ড লাইন ।
৬৩) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কত সালে তৈরি হয় – ১৯৫৫ সালে ।
৬৪) পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয় কোন জেলায় – জলপাইগুড়ি জেলায় ।
৬৫) ভারতের কোথায় থোরিয়াম পাওয়া যায় – কেরল উপকূলে ।
৬৬) ‘থালি’ লোকনৃত্য কোন রাজ্যের – হিমাচল প্রদেশ ।
৬৭) ভূত্বকের অধিকাংশ অঞ্চল কোন শিলা দ্বারা গঠিত – আগ্নেয় শিলা ।
৬৮) সৌরজগতের কোন গ্রহের আবর্তন সবথেকে বেশি – বুধ ।
৬৯) সবুজ বিপ্লব কোন ক্ষেত্রকে বলা হয় – গম উৎপাদন ।
৭০) ‘ব্ল্যাক-হোল’ এর ধারণা প্রথম কে দিয়েছিলেন – আইনস্টাইন ।
৭১) বিশ্ব পরিবেশ দিবস কবে পালিত হয় – ৫ জুন ।
৭২) দাক্ষিণাত্য মালভূমি কোন শিলায় গঠিত – ব্যাসল্ট শিলা ।
৭৩) কোন নদীর প্রবাহ পথে যোগ জলপ্রপাত আছে – সরাবতি ।
৭৪) ভারতের কোন রাজ্যে বনাঞ্চলের পরিমাণ বেশি – সিকিম ।
৭৫) ভারতের সবথেকে পুরনো জাতীয় উদ্যান কোনটি – জিম করবেট ন্যাশনাল পার্ক ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ভূগোল বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ভূগোল লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ   

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন - 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯

প্রাচীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা ও মহাবিহার গুলি কেমন ছিল ?


 আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি । আমদের এই বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার থেকে এসেছে বলে মনে করা হয় । এমন দেখা যায় যে, বিভিন্ন ভাষার শব্দের মধ্যে অন্তর্নিহিত মিল রয়েছে । বাংলায় আমরা বলি মা, সংস্কৃতে মাত বা মাতৃ, ইংরেজিতে Mother শব্দের অর্থও মা । এইভাবে বেশকিছু শব্দের মিল খুঁজে পাওয়া যায় । মানুষের মত ভাষারও পরিবার আছে । এই রকম একটি ভাষা পরিবার হল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার ।

ইউরোপ ও ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক ভাষা এই ভাষা পরিবারের সদস্য । ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা ব্যবহারকারীরা কোন এলাকায় বাস করতো সেটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন – এরা মধ্য এশিয়ার তৃণভূমি অঞ্চলে যাযাবর ছিল । খাদ্যের অভাব দেখা দিলে এরা ভারতে, ইরানে, ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে আসে ।

 বেদ কথাটি ‘বিদ’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ জ্ঞান । সমস্ত বৈদিক সাহিত্য চারভাগে বিভক্ত – সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ ।  সংহিতাতে আছে ঋক, সাম, যজু ও অথর্ব বেদ । ঋক বেদ হল সবথেকে পুরনো সাহিত্য উপাদান । এরপরের রচনাগুলি পরবর্তী বৈদিক যুগের বলে ধরা হয় । বৈদিক সাহিত্য ঠিক কোন সময় রচনা করা হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলা যায়না । আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দের মধ্যে বৈদিক সাহিত্য রচিত হয় । এরপর খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দ পর্যন্ত পরবর্তী বৈদিক যুগ ।

 বৈদিক যুগে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান ছিলেন গুরু । শিক্ষা লাভের জন্য তাঁর কাছে ছাত্রদের প্রথমে আবেদন করতে হত । উপযুক্ত হলে উপনয়নের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গুরু সেই ছাত্রকে শিষ হিসাবে গ্রহণ করতেন । সেই সময় মৌখিক ভাবে শিক্ষা চর্চা হত । ছাত্রদের গুরুর বোঝানো পাঠ শুনে মুখস্থ করতে হত । প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থায় স্মৃতির উন্নতি সাধন ছিল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । ছাত্রদের থাকা, খাওয়ার সমস্ত দায়িত্ব গুরুর উপর ছিল । বেদ পাঠের সঙ্গে ব্যকরন, গণিত, ভাষা শিক্ষার চর্চা হত ।

 বিদ্যাচর্চার পাশাপাশি ছাত্রদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হত । অস্ত্র চালনা, চিকিৎসা করার চর্চা হত । শিক্ষিত মেয়েরা নাচ গানের চর্চা করতেন । প্রায় বার বছর ধরে শিক্ষা দেওয়া হত ।  শিক্ষা শেষ হলে ‘সমাবর্তন’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রকে স্নাতক বলে ঘোষণা করা হত । গুরুর গৃহ থেকে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রকে গুরু দক্ষিণা দিতে হত । গুরু দক্ষিণা হিসাবে গরু দান করা হত ।

  পরবর্তী বৈদিক যুগের পড়াশোনা প্রথা খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক নাগাদও চালু ছিল । খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকের দিকে বেদের পাশাপাশি কাব্য, ব্যকরন, ছন্দ, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, রসায়ন, মুদ্রা, নথিপত্র, যুদ্ধ ও শিকার সম্বন্ধে পড়ানো হত । এই সময় জীবিকা ও পড়াশোনার মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল । এর পাশাপাশি বৌদ্ধ বিহারগুলিতে এক নতুন শিক্ষা পদ্ধতি ও লিপির ব্যবহার শুরু হয় । কয়েকটি বিখ্যাত মহাবিহার গুলি হল – নালন্দা, তক্ষশীলা, বিক্রমশীলা, বলভী ইত্যাদি । এই মহাবিহার গুলিতে দেশ বিদেশের ছাত্ররা পড়তে আসতো ।

  নালন্দা – নালন্দা মহাবিহার ছিল গুপ্ত যুগের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাকেন্দ্র । প্রাচীন ভারতের মগধ রাজ্যে(বিহার) এটি অবস্থিত । খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দী থেকে বারশো শতাব্দী পর্যন্ত এটি ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । নালন্দা বৌদ্ধবিহার প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০০ বণিক ১০ কোটি স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করেন বলে হিউয়েন সাং এর থেকে উল্লেখ পাওয়া যায় । এখানে যেকোনো ধর্ম, বর্ণের ছাত্ররা পড়তে পারতেন । ভর্তি হওয়ার জন্য ছাত্রদের কঠিন পরীক্ষায় পাশ করতে হত । এখানে থাকা, খাওয়া ও পড়াশোনার জন্য কোনও মূল্য দিতে হতনা । লেখাপড়ার শেষে পরীক্ষা দেওয়া রীতি ছিল । নাগার্জুন নালন্দার অধ্যক্ষও হয়েছিলেন । সেই সময়ের অনেক বিখ্যাত মানুষ এই মহাবিহারে পড়াশোনা করেছেন । সুমাত্রা, জাভা, তিব্বত, চীন, কোরিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে ছাত্ররা নালন্দায় পড়তে এসেছিলেন । তুর্কি আক্রমণের ফলে এই বৌদ্ধবিহার ধ্বংস হয় । এই বিহারে বুদ্ধের একটি মূর্তিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল  বর্তমানে নালন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র এবং বৌদ্ধ তীর্থ পর্যটন পথের অন্যতম গন্তব্যস্থল

তক্ষশীলা – গান্ধার জনপদের রাজধানী ছিল তক্ষশীলা ।  প্রাচীন তক্ষশীলা শহর ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র টলেমির ভূগোলে তক্ষশীলাকে বর্ণনা করা হয়েছে 'তক্ষিয়ালা' (Taxiala) হিসেবেবর্তমানে এটি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত । এই স্থান ধীরে ধীরে শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্র বাছাই করে নেওয়া হত । সাধারণত ষোলো থেকে কুড়ি বছর বয়সের ছাত্ররা ভর্তি হতেন । দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বহু ছাত্র এখানে পড়তে আসতেন । রাজা বা ব্যবসায়ি’রা এই বিদ্যালয় চালানোর জন্য জমি বা অর্থ দান করতেন । এখানকার বিখ্যাত ছাত্ররা হলেন চাণক্য, জীবক, পাণিনি ।


 ফাসিয়ান ও সুয়ান জাং এর লেখার মাধ্যমে জানা যায় যে – বাংলাতে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার ছিল । নালন্দার সমসাময়িক একটি বৌদ্ধবিহার ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কাছে মোঘলমারিতে । মগধ থেকে তাম্রলিপ্ত যাওয়ার পথে এই বিহারটি অবস্থিত । সুবর্ণরেখা নদী এই বিহারের কাছ দিয়ে বয়ে যেত । মনে করা হয় এই বিহারটিতে বনিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । প্রত্নতাত্ত্বিক ডঃ অশোক দত্ত এই বৌদ্ধ বিহারটি আবিষ্কার করেন ।  পশ্চিমবঙ্গের বৌদ্ধ প্রত্নস্থলের মধ্যে এখন এটি হল সবথেকে বড়ো । এই বৌদ্ধ বিহারের নাম কি ছিল তা এখন জানা যায়নি ।

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইতিহাস বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ইতিহাস লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ   


আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন - 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯

ব্যান্ডেল চার্চ, পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম গির্জার জানা অজানা কথা কি ?.


 ব্যান্ডেল চার্চ পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম গিরজাগুলির মধ্যে হল একটি । বাংলায় পর্তুগীজ উপনিবেশের স্মৃতি হিসাবে একে দেখা হয় । ১৫৭১ সালে পর্তুগীজরা ব্যান্ডেলকে তাদের বন্দর হিসাবে ব্যবহার শুরু করে । মোঘল সম্রাট আকবর তাদের হুগলীতে একটি নগর তৈরির অনুমতি দিয়েছিলেন । ১৫৭৯ সালে পর্তুগীজরা হুগলী নদীর তীরে একটি বন্দর তৈরি করে । এরফলে এই স্থানটি একটি বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরি হয় ।  ১৫৯৯ সালা ব্যান্ডেলে একটি গির্জা তৈরির জন্য গোয়া থেকে একজন অগাস্টিন পন্থী মঠবাসী সন্ন্যাসীকে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন । এখানে বসবাস শুরু করলে, তাদের পাদ্রিরা স্থানীয় লোকেদের ধর্মান্তরিত করতে শুরু করেন । 


 পর্তুগীজরা নিজেদের জন্য এখানে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন । ১৫৮০ সালে ক্যাপ্টেন পেড্রোড্রোভার সম্রাট আকবরের কাছে খ্রিষ্টধর্ম প্রচার ও চার্চ প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমতি পান । ১৫৯৯ সালে চার্চটি গঠিত হয় । এটি হল বাংলার মাটিতে প্রাচীনতম চার্চ ।


 কিন্তু, পর্তুগিজদের সুখের দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি হুগলীতে মোঘল আক্রমণ হলে পর্তুগিজরা চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয় এবং তাদের গির্জা ও কেল্লা ধ্বংস হয়ে যায়। । ফাদার জন দ্য ক্রুজ নামে একজন পুরোহিত ও কয়েক হাজার খ্রিস্টানকে দিল্লিতে শাহজাহানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় । তিনি তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেন ।  তাদেরকে ভয়ানক হাতির সামনে দাঁড় করানো হয় ।  কিন্তু, অবাক করা ঘটনা ঘটে ।  হাতিটি ফাদার জন দ্য ক্রুজ কে শুঁড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে সম্রাটের সামনে নতজানু হয়ে বসে পড়ে । এমন ভাবে যেন সে সম্রাটের কাছে ক্ষমা পার্থনা করছে । এই ঘটনায় সম্রাট শাহজাহান গভীরভাবে প্রভাবিত হলেন । তিনি বন্দীদের মুক্তি দিয়ে ব্যান্ডেলে ফেরত পাঠিয়ে দেন । সম্রাট শাহজাহান গির্জাটি আবার নতুন করে তৈরি করার জন্য ১৬৩৩ সালে অর্থ এবং ৭৭৭ বিঘা জমি দান করেন । এরপর থেকে এটি অনেকবার পরিবর্তিত হয়েছে ।

 এমন শোনা যায় যে – একদিন ঝড়ের রাতে ফাদার জন ডি ক্রুজ নদীর তীরে একটি আলো দেখেন, তাঁর এক পরিচিত বন্ধু  দিয়াগের গলার আওয়াজ শোনেন । দিয়াগ বলছেন – মা মেরি আমাদের জয় আনে দিয়েছে, তিমি ফিরে আসছেন । পরের দিন ফাদার  জন ডি ক্রুজ নদীর তীরে মা মেরির মূর্তি খুঁজে পান । মূর্তিটি এনে গির্জার মূল বেদিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ।  ১৯৯০ সালে মূর্তিটি গির্জার ব্যালকনিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।


 গির্জার সম্মুখে একটি জাহাজের মাস্তুল রয়েছে । একবার বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝড়ে জাহাজডুবি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন বলে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকরা একটি মাস্তুল দান করার অঙ্গীকার করেন । ব্যান্ডেল গির্জায় খ্রিষ্ট যজ্ঞে অংশ গ্রহনের পর ক্যাপ্টেন একটি মাস্তুল গির্জায় দান করেন । সেই মাস্তুলটি এখনও গির্জা প্রাঙ্গণে রাখা আছে  আজও সেটি গির্জায় দেখা যায় । মাস্তুলকে পর্তুগিজ ভাষায় ব্যান্ডেল বলা হয় 

 এই গির্জাটির কারুকার্য খুব সুন্দর । এখানে প্রার্থনা গৃহ, মাস্তুল, কবর স্থান, মা মেরির মূর্তি, চারমুখ বড়ো ঘড়ি, যীশুর দেওয়াল চিত্র বিখ্যাত । গির্জায় তিনটি পূজাবেদি, কয়েকটি সমাধিপ্রস্তর, একটি পাইপ অর্গ্যান ও মেরির একটি সিংহাসন রয়েছে ।


 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । জানা অজানা বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে জানা অজানা লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ   

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন- 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯

স্বপ্ন কি ? কিভাবে দেখলে স্বপ্ন সত্যি হয় ?


 স্বপ্ন মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ  ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে । স্বপ্ন হল ধারাবাহিক কতগুলো ছবি ও আবেগের সমষ্টি যা ঘুমের সময় আমাদের মনের মধ্যে আসে । এগুলো আমাদের কল্পনা হতে পারে, অথবা আমাদের অবচেতন মনের কথাও হতে পারে । সাধারনত আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি । তবে সবগুলো মনে থাকে না মানুষ জীবনের ৩৩% সময় ঘুমিয়ে কাটায় । স্বপ্ন মানুষের ঘুমন্ত জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ ঘুম থেকে জেগে উঠার পর অধিকাংশ স্বপ্নই ঠিকঠাক মনে থাকে না ।  মানুষ সজাগ থাকলে স্বপ্ন দেখে না পেটে কোনো সমস্যা থাকলে বা উল্টো পাল্টা বেশি কিছু খেলে স্বপ্নের মাত্রা বাড়তে পারে ।

 আমাদের মস্তিষ্ক এক রহস্যময় জীবন্ত যন্ত্রযেখানে আমরা এখনো ঠিকঠাক জানি না এটি কিভাবে এবং কেন এরকমভাবে কাজ করে  পড়াশুনা ও নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে আমরা এখনো ১০০ ভাগ নিশ্চিত নয়যে কেন আমাদের ঘুম প্রয়োজনীয় বা কেন ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন আসে । আদিকাল থেকেই স্বপ্ন ব্যাখ্যার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে ।  আমরা কেন ঘুমাই অথবা কেনই বা স্বপ্ন দেখিএটা আশ্চর্যজনক হলেও সত্যিআধুনিক বিজ্ঞানের কাছে এর স্পষ্ট জবাব এখনো নেই  বিভিন্ন ধর্মে এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে । মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে স্বপ্ন দেখা তত কমতে থাকে  স্বপ্ন ভবিষ্যতের বার্তা বহন করতে পারে  ঘুমের সময় গুরু মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়ে গেলে স্বতন্ত্র নার্ভ ক্রিয়া সক্রিয় হয়ে ভবিষ্যৎ বাণী পাঠায়  অনেক সময় এমন স্বপ্নও মানুষ দেখে থাকে যখন স্বপ্ন দেখার সময়ই ঘটনাটা ঘটছে 


  স্বপ্নে আমরা আমাদের বিভিন্ন রূপে দেখতে পাই যেমন – আকাশে ওড়া, মাটিতে পড়ে যাওয়া, কোনও অসাধ্য কাজ করা, যৌন মিলন করা ইত্যাদি । স্বপ্ন এমন একটা আলাদা অনুভূতি আপনি নিজে সেটি অনুভব করতে পারেন, অন্য কাউকে সহজে ব্যাখ্যা করে বুঝানো মুশকিল । 
যাদের ঘুম ব্যাধি রয়েছেতারা ঘুমের মধ্যেও নড়াচড়া করতে পারে এবং স্বপ্ন দেখার সময় স্বপ্ন অনুসারে অ্যাক্ট করতে পারে । তারা এমনকি বিছানা থেকে বের হয়ে হাঁটাচলা শুরু করতে পারে । রঙিন টিভি আবিষ্কারের আগে মানুষ সাদাকালো স্বপ্ন দেখত ।

কিভাবে দেখলে স্বপ্ন সত্যি হয় –
 আমরা যেসব স্বপ্ন দেখি তার সব স্বপ্ন সত্যি হয়না, আবার মিথ্যা হয় না । স্বপ্ন সত্যি হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়, পক্ষ ও আমাদের শোয়ার ভঙ্গীর উপর নির্ভর করে । এখন আপনি জানতে পারবেন যে – কোন কোন সময় স্বপ্ন দেখলে, কোন পক্ষে ও কিভাবে শুয়ে স্বপ্ন দেখলে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হবে । যদি আপনি এগুলি ঠিক ভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনার স্বপ্ন সত্যি হয়ে যেতে পারে ।
 কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে স্বপ্ন দেখলে সত্যি হয়না । দ্বিতীয়ায় স্বপ্ন দেখলে তা দীর্ঘ সময় পরে সত্যি হতে পারে । কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া, চতুর্থী, দ্বাদশী ও চতুর্দশীতে স্বপ্ন দেখেন তাহলে সেই স্বপ্ন বাস্তবে সত্যি হতে পারে । আবার কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী, ষষ্ঠী, একাদশী ও ত্রয়োদশী তে স্বপ্ন দেখলে তা সত্যি হয়না । অমাবস্যায় স্বপ্ন দেখা অশুভ লক্ষণ ।


 শুক্লপক্ষের প্রতিপদের স্বপ্ন দীর্ঘ সময় পরে সত্যি হয় । শুক্লপক্ষের চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও দশমীতে স্বপ্ন দেখলে সেই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে । একাদশী ও দ্বাদশীর স্বপ্ন অনেক পরে সত্যি হয় । শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী ও চতুর্দশী স্বপ্ন দেখলে সেই স্বপ্ন কোনোদিন সত্যি হয় না । আর যদি পূর্ণিমায় স্বপ্ন দেখেন তবে সেই স্বপ্ন খুব তাড়াতাড়ি সত্যি হয় ।


 শোয়ায় ধরন –
 মেয়েরা যদি ঘুমানোর সময় বামদিক চেপে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে তবে, সেই স্বপ্ন সত্যি হয় । আবার ছেলেরা যদি দক্ষিণদিক বা ডানপাশ চেপে স্বপ্ন দেখে তাহলে সেই স্বপ্ন সত্যি হয় । এর বিপরীত হলে – মেয়েরা যদি ডানদিকে চেপে ও ছেলেরা যদি বামদিক চেপে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে তাহলে সেই স্বপ্ন সত্যি হয় না ।

 প্রহরের হিসাব
 প্রহর অনুসারেও স্বপ্নের ফলাফল লাভ হয় । আপনি যদি প্রথম প্রহরে স্বপ্ন দেখেন তাহলে সেটি তিন মাস পরে সত্যি হতে পারে । দ্বিতীয় প্রহরে স্বপ্ন দেখলে সাত মাস পরে সত্যি হতে পারে ।  তৃতীয় প্রহরে তিন মাস সময় পরে সত্যি হতে পারে । চতুর্থ প্রহরে স্বপ্ন দেখলে দশ দিনের মধ্যে সত্যি হতে পারে । আপনি যদি একেবারে সকালে স্বপ্ন দেখেন তাহলে তিন দিনের মধ্যে তা সত্যি হতে পারে । সুস্বপ্ন দেখলে আবার ঘুমিয়ে পরবেন না । ঘুমিয়ে পড়লে আপনার স্বপ্ন সত্যি হবেনা ।


  আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান ও সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে  বিজ্ঞান ও সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।