বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব কি ?.


  সাহিত্যিক উপাদান ছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের সাহায্যে প্রাচীন ভারতের কথা জানা যায় । প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান গুলির মধ্যে লেখ গুলির স্থান সবার প্রথমে । সাহিত্যে পরিবর্তন ঘটে কিন্তু, লেখগুলি অপরিবর্তিত থেকে যায় । লেখার জন্য বিভিন্ন দ্রব্য যেমন- সোনা, তামা, লোহা, রুপা, ব্রোঞ্জ, পাথর ইত্যাদি ব্যবহার করা হত । সেগুলিতে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা যেমন – সংস্কৃত, পালি, প্রাকৃত, তেলেগু, তামিল, মালায়ালাম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছিল । বেশির ভাগ লেখতে ব্রাহ্মী বা খরোষ্ঠী লিপি ব্যবহার করা হয়েছে ।

 লেখ গুলিকে এবার দুভাগে ভাগ করা হয় – দেশি ও বিদেশি । দেশি লেখ গুলির মধ্যে মৌর্য সম্রাট অশোকের লেখগুলি শ্রেষ্ঠ । শিলাখন্ডে প্রাপ্ত লেখগুলিকে শিলালেখ, স্তম্ভগাত্রে পাওয়া লেখকে স্তম্ভগাত্রে আর গিরি গুহায় পাওয়া লেখকে গুহা লেখ বলা হয় । অশোক তাঁর লেখগুলিতে ব্রাহ্মী লিপির ব্যবহার করেছেন কিন্তু, উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে খরোষ্ঠী লিপি ব্যবহার দেখা যায় । এই লিপি গুলি থেকে অশোকের রাজ্য জয়, ধর্ম বিজয় নীতি, বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে জানা যায় । ১৮৩৭ সালে জেমস প্রিন্সেপ অশোকের লেখ পাঠোদ্ধার করেন ।


অশোকের পরবর্তী কালে লেখকে সরকারি ও বেসরকারি এই দুই ভাগ করা হয় । সরকারি লেখ গুলি আবার প্রশস্তি ও ভূমি দান এই দুই বিষয়ে । প্রশস্তি গুলির মধ্যে হরিসেনের এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে ভারতের রাজনৈতিক চিত্র ও সমুদ্র গুপ্তের বিবরণ পাওয়া যায় । গৌতমীপুত্র সাত কর্নির নাসিক প্রশস্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি থেকে তাঁর রাজ্য জয়, সমাজ সংস্কারের কথা জানা যায় । এছাড়াও রুদ্র দামনের জুনাগড় শিলালেখ, গোয়ালিয়র প্রশস্তি থেকে রাজা ভোজ, আইহোল প্রশস্তি থেকে দ্বিতীয় পুলকেশীর কথা জানা যায় । উমাপতি ধর রচিত দেওপাড়া প্রশস্তি থেকে সেন রাজা বিজয় সেন, হাতিগুম্ফ লেখ থেকে কলিঙ্গরাজ খারবেলের কথা জানা যায় ।

 বিদেশি লেখ গুলির মধ্যে এশিয়া মাইনরে আনাতোলিয়ায় প্রাপ্ত লেখ গুরুত্বপূর্ণ । এখানে আর্য রাজাদের সন্ধির উল্লেখ আছে । পারস্য সম্রাট প্রথম দারয়-বৌষ পারসেপোলিস ও নকস-ই-রুস্তম লেখ দুটি গুরুত্বপূর্ণ । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কম্বোডিয়া, যবদ্বীপ, বোর্ণিয়, আন্নাম, চম্পার পূর্ব উপকূলে লেখ পাওয়া গেছে । ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইন্দোচিনের ইতিহাসে এগুলির গুরুত্ব অপরিসীম ।

মুদ্রা হল এক ধরনের ঐতিহাসিক উপাদান । প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানার জন্য মুদ্রা গুরুত্বপূর্ণ । সাহিত্য থেকে আমরা যে তথ্য পাই মুদ্রার দ্বারা তার সত্যতা যাচাই করা যায় । তারিখ যুক্ত মুদ্রা থেকে কাল পরম্পরা নির্মাণে ও তারিখ বিহীন মুদ্রা মুদ্রা থেকে রাজার নাম পাওয়া যায় । স্বর্ণমুদ্রা সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করে আর, হীন মানের মুদ্রা সাম্রাজ্যের সঙ্কটের পরিচয় দেয় । মুদ্রার দেবদেবীর মূর্তি থেকে রাজার ধর্মের কথা জানা যায় । মুদ্রার সাহায্যে প্রায় ত্রিশ জন ব্যাকট্রীয় গ্রিক শাসকের কথা জানা যায় কিন্তু, অন্য তথ্য থেকে ৫-৬ জনের বেশি জানা যায় না । শক- কুষানদের ইতিহাস জানতে মুদ্রার গুরুত্ব অনেক বেশি । গুপ্তদের মুদ্রার মধ্যে বিশেষ করে সমুদ্র গুপ্তের  মুদ্রাগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য । বাংলায় সমতট-হরিকেল অঞ্চলে গুপ্ত পরবর্তী ও ইসলাম পূর্ববর্তী মুদ্রা পাওয়া গেছে ।

 খননকার্যের ফলে মাটির নীচ থেকে যে সব মন্দির, মূর্তি, পোড়া মাটির কাজ পাওয়া যায় সেগুলিকে বলা হয় স্থাপত্য-ভাস্কর্য প্রত্নতত্ত্ব । এগুলি আবার তিন ভাগে বিভক্ত – স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্রকলা । দেবদেবীর মূর্তি, পশুর মূর্তি ও মানুষের মূর্তি ইত্যাদিকে ভাস্কর্য বলা হয় । ভাস্কর্য গুলি প্রধানত প্রাসাদ, মন্দিরের দেওয়ালে খোদাই করা হত । পাথর, ধাতু ও পোড়া মাটিতে এগুলি খোদাই করা হত । অজন্তায় ও ভীমবেটকায় গুহার দেওয়ালের ছবি গুলি আজও আমরা দেখতে পাই । প্রাচীন কালের সমাজ ও জীবন বোঝার জন্য এগুলির খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । ছবি গুলিতে শাসক ও সাধারণ মানুষের জীবনের নানা দিক দেখতা পাওয়া যায় ।


 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইতিহাস বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে  ইতিহাস লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -
গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মের অজানা কাহিনী কি ?.

প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক অবস্থান কেমন ছিল ?.
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর গুলি কি কি ?.
হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন দিক কেমন ছিল ?

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে সাহিত্যিক উপাদানের গুরুত্ব কি ?.


 প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের তেমন কিছু নির্দিষ্ট উপাদান খুঁজে পাওয়া যায়নি । ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা নানা উপাদানের টুকরো জুড়ে জুড়ে একটা গোটা ছবি তৈরি করার চেষ্টা করছেন । তাই প্রাচীন ভারতের চর্চার কাজ কঠিন হলেও অসম্ভব নয় । ঐতিহাসিকরা অক্লান্ত চেষ্টার দ্বারা ইতিহাসের তথ্য আবিষ্কার ও সংগ্রহের কাজে ব্যাপৃত রয়েছেন । প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের গ্রন্থের অভাবের কারণ কি ছিল, তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন । কেউ বলেন সেগুলি লুপ্ত হয়ে গেছে, আবার কেউ বলে সেই সময় ইতিহাস লেখার যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন না ।



 প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান গুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয় - সাহিত্যিক উপাদান ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান । সাহিত্যিক উপাদানকে আবার ভারতীয় সাহিত্য ও বৈদেশিক সাহিত্য দুটি ভাগ রয়েছে । প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান গুলিকে মুদ্রা, লেখ, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান হিসাবে ভাগ করা হয়েছে । এখন আমরা জানবো শুধু সাহিত্যিক উপাদান গুলির কথা । প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের  পোস্ট লিঙ্ক নিচে দেওয়া হল

 প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার জন্য অনেক রকম সাহিত্য উপাদান পাওয়া যায় । সেই উপাদান গুলিকে দেশি সাহিত্য ও বিদেশি সাহিত্য এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয় । দেশি সাহিত্যকে আবার ধর্ম ভিত্তিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ধর্ম ভিত্তিক সাহিত্যের মধ্যে প্রধান হল বৈদিক সাহিত্য । খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগের ইতিহাস জানতে আমাদের বহুলাংশে বৈদিক সাহিত্যের উপর নির্ভর করতে হয় । পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ হল ঋকবেদ, আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টপূর্বের মধ্যে এই গ্রন্থ রচিত হয়েছিল । ঋকবেদ থেকে বৈদিক সমাজ, ধর্ম, অর্থনীতি, সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় । সাম, যজু ও অথর্ব বেদ পরবর্তী কালে রচিত হয়েছিল ।

  বৈদিক সাহিত্যে চতুর্বেদ ছারাও ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদকে বোঝানো হয় । ইতিহাসের উপাদান হিসাবে এদের মূল্য কম নয় । বৈদিক সাহিত্যের পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় সাহিত্য উপাদান হলো রামায়ণ ও মহাভারত । মহাকাব্য গুলির মধ্যে রামায়ণ ও মহাভারতের কথা উল্লেখ যোগ্য । কবে এই মহাকাব্য গুলি রচিত হয়েছিল তার সঠিক সময় জানা যায়না । তবে অনুমান করা হয় যে রামায়ণ আগে রচিত হয়, আর মহাভারত রচিত হয় তার পরে । রামায়ণ হল মহাভারতের চার ভাগের এক ভাগ । রামায়ণ থেকে বোঝা যায় আর্য সভ্যতা দক্ষিণে সিংহল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল । মহাভারত থেকে আর্যদের সভ্যতা ও রাজনৈতিক বিস্তারের কথা জানা যায় । পুরাণ বলতে বোঝানো হয় প্রাচীন কাহিনী ও ধর্মীয় অনুশাসনের সংক্ষিপ্ত সার । পুরাণ আছে মোট আঠারটি, তাদের মধ্যে বিখ্যাত মৎস্য, বায়ু, বিষ্ণু, ভাগবত, ভবিষ্য পুরাণ ।
 

বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের নানা লেখাতে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের অনেক কথা জানা যায় । বৌদ্ধ সাহিত্যের মধ্যে উল্লেখ্য হল – ‘দীপ বংশ’, ‘মহা বংশ’, ‘জাতক’ দীপ বংশ ও মহা বংশ হল মৌর্য সম্রাট অশোক ও অন্যান্য ব্যক্তিদের জীবন বৃত্তান্তের সিংহলী বিবরণ । জাতক হল গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্ম বিষয়ক লোক কাহিনীর বিবরণ । প্রায় ৫৪৯ টি জাতক কাহিনীর সন্ধান পাওয়া গেছে । জৈন সাহিত্য ভগবতীসূত্র খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ইতিহাস জানতে সহায়তা করে । ভদ্র বাহু রচনা করেন জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর কে নিয়ে ‘জৈনকল্পসূত্র’

 প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান আরও অন্যান্য গ্রন্থ থেকে জানা যায় । তাদের মধ্যে উল্লেখ্য – গার্গী সংহিতা, পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’, পতঞ্জলির ‘মহাভাষ্যকালিদাসের রঘুবংশ থেকে গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যজয় সম্পর্কে জানা যায় । বুদ্ধদেবের জীবনী হিসাবে অশ্বঘোষ রচনা করেন ‘বুদ্ধচরিত’ । হর্ষবর্ধনের জীবনী ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল বানভট্রের হর্ষচরিত । চালুক্য বংশীয় রাজা ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্যের সভাকবির রচিত গ্রন্থ ‘বিক্রমাদিত্যে চরিত’ থেকে রাজা ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্যের কথা জানা যায় । পাল বংশের শাসক রামপাল সম্পর্কে সন্ধ্যাকর নন্দী রচনা করেন ‘রামচরিত’ । জৈন আচার্য জয় সিংহ চালুক্য রাজা কুমার পালকে নিয়ে রচনা করেন ‘কুমার পাল চরিত’ ।

 প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের লেখার জন্য তিন ধরণের বিদেশি বিবরণ পাওয়া যায় । গ্রিক, রোমান ও চিনা পর্যটকদের বিবরণ । ইতিহাসের জনক হেরোডোডাসের গ্রন্থ ‘Persae’ থেকে পারসিকদের দ্বারা উত্তর-পশ্চিম ভারত আক্রমণ ও অধিকারের কথা জানা যায় । মেগাস্থিনিসের লেখা ‘ইন্ডিকা’ বই থেকে মৌর্য যুগ সম্পর্কে জানা যায় । কোন এক গ্রিক নাবিকের লেখা ‘পেরিপ্লাস অফ-দি এরিথ্রিয়ান সী’ এই বইটি থেকে মৌর্য পরবর্তী যুগের ভারতের অর্থনীতি, বন্দর, পোতাশ্রয়, আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদি জানা যায় খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতকে টলেমী ‘ভূগোল’ গ্রন্থটি রচনা করেন ।

 রোমান লেখকদের মধ্যে দুইজন হলেন – প্লিনি ও কুইনটাস কার্টিয়াস রুফাস । প্রথম শতাব্দীতে প্লিনি প্রকাশ করেন তাঁর গ্রন্থ ‘Natural History’ দ্বিতীয় ব্যক্তি আলেকজান্ডারের ভারতের ইতিহাসের কথা লিখেছেন । চীনা পর্যটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ফা-হিয়েন । তিনি চল্লিশটি অধ্যায়ে তাঁর গ্রন্থ ‘ফো-কুহ-কি’ তে বৌদ্ধরাজ্য গুলির বিবরণ লিখেছেন । আর একজন বিখ্যাত চীনা পর্যটক ছিলেন হিউয়েন সাং । হর্ষবর্ধনের সময়ে তিনি ভারতে আসেন । সমগ্র ভারত তিনি পরিদর্শন করেছিলেন । তিনি রচনা করেন ‘সি-ইউ-কি’ । এই গ্রন্থে তাঁর হর্ষবর্ধনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত হয় । সপ্তম শতকের শেষে ভারতে আসেন ই-সিং, তিনি সেই সময়ের বৌদ্ধ ধর্মের বিবরণ লিখেছেন । তিব্বতের ঐতিহাসিক তারানাথ রচনা করেন ‘ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের জন্ম’ । এই গ্রন্থটি ৪৪ টি অধ্যায়ে বিভক্ত, ১৬০৮ সালে প্রকাশিত হয় । বৌদ্ধ ধর্ম ও পাল রাজাদের কথা জানার জন্য এই গ্রন্থ মূল্যবান । সুলতান মামুদের সময় ভারতে আসেন আল-বিরুনি । তিনি যে গ্রন্থ রচনা করেন তার নাম ‘তাহ-কিক-ই-হিন্দ’, সে সময়ের হিন্দু সমাজ ও ধর্ম ইত্যাদির কথা জানা যায় ।

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইতিহাস বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে  ইতিহাস লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন - 
কুষাণ সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রব্যবস্থা, সাহিত্য, শিল্প, স্থাপত্য ও অন্যান্য দিক কেমন ছিল ?.

প্রাচীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা ও মহাবিহার গুলি কেমন ছিল ?
হরপ্পা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতার বিভিন্ন দিক কেমন ছিল ?.



আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

এরোপ্লেনের ব্ল্যাক বক্স কি, এর কাজ কি ?.


 যদি তুলনা করা হয় যে কোন যানে যাতায়াত করা সবথেকে বেশি সুবিধা ও আরামদায়ক, সবাই এক কথায় উত্তর দেবেন এরোপ্লেন । আবার এখানে যাতায়াতের একটা ঝুঁকি থেকে যায় । এরোপ্লেনের সাথে ব্ল্যাক বক্সের একটা যোগ রয়েছে । এটি বিমানে ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস, যার সাহায্যে বিমানের সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যেটি কোনো বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে ব্যবহৃত হয় । অনেকে এই ব্ল্যাক বক্স সম্পর্কে জানেন না, অনেকে আবার সামান্য কিছু জানেন । এখন আমরা জানব যে - ব্ল্যাক বক্স কি, এর কাজ কি, কে আবিষ্কার করেন ইত্যাদি । ব্ল্যাক বক্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের লেখাটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন । 


 ফ্লাইট রেকর্ডার, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত । অস্ট্রেলীয় সরকারের অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন এটি প্রথম আবিষ্কার করেন । ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করা হয় । এবার আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসে যে - ব্ল্যাক বক্স আসলে দেখতে কেমন হয় । এর নাম যখন ব্ল্যাক বক্স অবশ্যই এটা দেখতে কালো হবে । এমনটা কি আপনি এখন ভাবছেন । আসলে মোটে সে রকম নয় । 
  ব্ল্যাক বক্স এর রং হল কমলা । কমলা রঙের বানানো হয় এর কারণ রয়েছে । কারণটি হল – মাটিতে বা অন্য কোন জায়গায় একে কমলা রঙের জন্য সহজে খুঁজে পাওয়া যায় । বিমান যখন আকাশে উড়ে তখন এই ব্ল্যাক বক্স এরোপ্লেনের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাখে । এরোপ্লেনের ব্ল্যাক বক্স দুভাবে কাজ করে – ১) ককপিটের ভয়েস রেকর্ড করা, ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যের কথাবার্তা, পাইলটদের সাথে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিট এর সাথে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমান বন্দরের সাথে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড করা হয় । ২) বিমানের সমস্ত ডাটা রেকর্ড করা । এটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময়, শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে । এটিকে বিমানের এমন এক জায়গায় রাখা হয় যাতে এর কোন ক্ষতি না হয় । বিমানের ৮৮ রকম ডাটা এই ব্ল্যাক বক্স জমা করে রাখা হয় ।
 ব্ল্যাক বক্স টাইটানিয়াম, স্টিল ইত্যাদি ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়, যার দ্বারা এটি অনেক ক্ষমতাশালী হয় । টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয় । যদি বিমান দুর্ঘটনা হয় তাহলে বিমানের ক্ষতি হলেও ব্ল্যাক বক্সের তেমন কিছু ক্ষতি হয় না । যদিও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এই ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে জানা যায় যে কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । কারণ, এটি পাওয়া গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয় । ব্ল্যাক বক্সের ডাটা পুনরুদ্ধার করে সহজে বোঝা যায় যে – বিমানের কোন অংশ বা যন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়া, বা চালকের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।
 ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা থাকে যার ফলে এটি জলের মধ্যে পড়লেও এর কোন ক্ষতি হয় না । জলের মধ্যে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি ৩০ দিন পর্যন্ত কাজ করতে পারে । জলের মধ্যে থেকেও এটি সংকেত পাঠাতে পারে । ৬ হাজার মিটার গভীরে জলের নিচে একটি ব্ল্যাক বক্স অক্ষত থাকতে পারে । তবে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি যতদিন কাজ করবে ততদিনই এটি এই সিগন্যাল পাঠাতে পারে । প্রায় ১৫-২০ হাজার ফুট দূর থেকে ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় । ব্ল্যাক বক্সকে সাধারণত বিমানের পিছন দিকে রাখা হয় । এরফলে বিমান ক্ষতি হলেও এর কোন ক্ষতি হয় না । ব্ল্যাক বক্সের কাঠামোটি দেখতে একটি সিলিন্ডারের মত, যেটি একটি প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত থাকে । সিলিন্ডারের পাশে বক্স আকারের কাঠামোর মধ্যে এর ব্যাটারি থাকে, আর সিলিন্ডারে থাকে মেমোরি ইউনিট । ২৫০ থেকে ১০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ১০-১২ ঘণ্টা থাকতে পারে । ঠাণ্ডাতে -৫৫ থেকে -৭৫ ডিগ্রী পর্যন্ত তাপমাত্রায় এটি কাজ করতে সক্ষম ।


  ফ্লাইট রেকর্ডার, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত । অস্ট্রেলীয় সরকারের অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়ারেন এটি প্রথম আবিষ্কার করেন । ১৯৬২ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানে পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করা হয় । এবার আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসে যে - ব্ল্যাক বক্স আসলে দেখতে কেমন হয় । এর নাম যখন ব্ল্যাক বক্স অবশ্যই এটা দেখতে কালো হবে । এমনটা কি আপনি এখন ভাবছেন । আসলে মোটে সে রকম নয় । ব্ল্যাক বক্স এর রং হল কমলা । কমলা রঙের বানানো হয় এর কারণ রয়েছে । কারণটি হল – মাটিতে বা অন্য কোন জায়গায় একে কমলা রঙের জন্য সহজে খুঁজে পাওয়া যায় । বিমান যখন আকাশে উড়ে তখন এই ব্ল্যাক বক্স এরোপ্লেনের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাখে । এরোপ্লেনের ব্ল্যাক বক্স দুভাবে কাজ করে – ১) ককপিটের ভয়েস রেকর্ড করা, ককপিটের ভেতর পাইলটদের নিজেদের মধ্যের কথাবার্তা, পাইলটদের সাথে বিমানের অন্য ক্রুদের কথা, ককপিট এর সাথে এয়ার কন্ট্রোল ট্রাফিক বা বিভিন্ন বিমান বন্দরের সাথে রেডিও যোগাযোগের কথা রেকর্ড করা হয় । ২) বিমানের সমস্ত ডাটা রেকর্ড করা । এটি বিমানের ওড়া, ওঠানামা, বিমানের মধ্যের তাপমাত্রা, পরিবেশ, চাপ বা তাপের পরিবর্তন, সময়, শব্দ ইত্যাদি নানা বিষয় নিজের সিস্টেমের মধ্যে রেকর্ড করে রাখে । এটিকে বিমানের এমন এক জায়গায় রাখা হয় যাতে এর কোন ক্ষতি না হয় । বিমানের ৮৮ রকম ডাটা এই ব্ল্যাক বক্স জমা করে রাখা হয় ।

 ব্ল্যাক বক্স টাইটানিয়াম, স্টিল ইত্যাদি ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়, যার দ্বারা এটি অনেক ক্ষমতাশালী হয় । টিকে থাকার অনেকগুলো পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয় । যদি বিমান দুর্ঘটনা হয় তাহলে বিমানের ক্ষতি হলেও ব্ল্যাক বক্সের তেমন কিছু ক্ষতি হয় না । যদিও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে এই ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে জানা যায় যে কি কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । কারণ, এটি পাওয়া গেলে সহজেই ওই দুর্ঘটনার কারণ বের করা সম্ভব হয় । ব্ল্যাক বক্সের ডাটা পুনরুদ্ধার করে সহজে বোঝা যায় যে – বিমানের কোন অংশ বা যন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়া, বা চালকের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ।

 ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে এমন ব্যবস্থা করা থাকে যার ফলে এটি জলের মধ্যে পড়লেও এর কোন ক্ষতি হয় না । জলের মধ্যে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি ৩০ দিন পর্যন্ত কাজ করতে পারে । জলের মধ্যে থেকেও এটি সংকেত পাঠাতে পারে । ৬ হাজার মিটার গভীরে জলের নিচে একটি ব্ল্যাক বক্স অক্ষত থাকতে পারে । তবে ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারি যতদিন কাজ করবে ততদিনই এটি এই সিগন্যাল পাঠাতে পারে । প্রায় ১৫-২০ হাজার ফুট দূর থেকে ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায় । ব্ল্যাক বক্সকে সাধারণত বিমানের পিছন দিকে রাখা হয় । এরফলে বিমান ক্ষতি হলেও এর কোন ক্ষতি হয় না । ব্ল্যাক বক্সের কাঠামোটি দেখতে একটি সিলিন্ডারের মত, যেটি একটি প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত থাকে । সিলিন্ডারের পাশে বক্স আকারের কাঠামোর মধ্যে এর ব্যাটারি থাকে, আর সিলিন্ডারে থাকে মেমোরি ইউনিট । ২৫০ থেকে ১০০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় ১০-১২ ঘণ্টা থাকতে পারে । ঠাণ্ডাতে -৫৫ থেকে -৭৫ ডিগ্রী পর্যন্ত তাপমাত্রায় এটি কাজ করতে সক্ষম ।
 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে বিজ্ঞান লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

Google সম্পর্কে বিভিন্ন জানা অজানা কথা গুলি কি কি ?.


 আপনি কি এমন কোন মানুষ খুঁজে বের করতে পরবেন  যে ইন্টারনেট ব্যবহার  করে কিন্তু Google এর নাম শোনেনি বা Google ব্যবহার করেনি এমন মানুষ বর্তমান সময়ে খুঁজে পাওয়া যাবেনা । ইন্টারনেট থেকে যেকোনো বিষয়ে সঠিক তথ্য সহজে বের করে নেয়ার জন্য এই গুগল আজ বিশ্বে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয়  কিন্তু, সবার মনে Google সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন চলে আসে, সেটি হল Google কি, Google কে বানিয়েছে, Google কি কাজ করে, কবে থেকে Google আমরা ব্যবহার শুরু করি ইত্যাদি । আজ আমি আপনাদের Google সম্পর্কে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই লেখাটির মধ্যে দেবো । Google সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি এই লেখাটি  অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন ।


 Google এর জনক হলেন - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র ল্যারি পেজ ও সার্গেই ব্রিন যখন তারা, California Stanford University তে Ph.D. করছিলেন, তখন একটি  Research Project হিসেবে গুগলের ওপরে কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৯ এ গুগল কেবল একটি research project হিসেবে চালু করা হয়েছিল, এই Research Project টির নাম ছিল BackRub ১৯৯৮ সালে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্রতিষ্ঠা হয় ।  তাদের সফলতার ফল স্বরূপ আজকে আমরা এই Google কে পেয়েছি ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন হল- একটি Web Search Engine যার উদ্দেশ্য ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন লক্ষ লক্ষ তথ্য আমাদের প্রয়োজন হিসেবে সহজে এবং সঠিক ভাবে প্রদান করাঅফিসিয়ালি গুগল শব্দটির কোনও ফুল ফর্ম বা সম্পূর্ণ নাম নেই সাধারণভাবে , গুগলের পুরো নাম বা ফুল ফর্ম- Global Organization of Oriented Group Language of Earth বলে মনে করা হয় ।


 গুগল তার জন্মদিন প্রত্যেক বছর ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখে উদযাপন করে থাকে । গুগলের আসলে ৬টি জন্মদিন আছে বর্তমানে গুগল কেবল একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়, সে হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি ‘মাল্টি-ন্যাশনাল’ কোম্পানি । সার্চ ইঞ্জিনের বাইরে এর আরও অনেক ধরণের পণ্য বা প্রোডাক্ট মার্কেটে অনেক প্রচলিত রয়েছে গুগলের প্রধান কাজ হল - সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা সঠিক তথ্য সহজ ভাবে প্রদান করা, তাছাড়াও গুগলের আরও অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে গুগলের উদ্দেশ্য হল, সাধারণ মানুষের জীবনধারা বিভিন্ন  ডিজিটাল প্রোডাকস, সার্ভিস, অ্যাপ, সফটওয়ার দ্বারা আরও অনেক সহজ, সরল এবং উন্নত মানের করে তোলা এখানে কোনও কিছু সার্চ করলে ফলাফল বের করতে গুগলের সময় লাগে ১ সেকেন্ডের কম জনপ্রিয়তার দিক থেকে বর্তমানে গুগলের আশেপাশেও  অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন নেই গোটা বিশ্বে সব থেকে বেশি ভিজিট করা গুগল ওয়েবসাইট
 গুগল হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং তাদের গুগল সার্চ ইঞ্জিনের এবং অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবার জন্য সারা পৃথিবী বিখ্যাত গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম নাম দিয়েছিলেন ব্যাকরাব ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট গুগল পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় Google এর প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেইন ভিউ শহরে অবস্থিত গুগলের হেডকোয়ার্টার 'গুগলপ্লেক্স' নামে পরিচিত গুগলের এক দিনের ইনকাম প্রায় ৬ কোটি টাকা আর সেই হিসাবে, প্রত্যেক সেকেন্ডে প্রায় ৪2,০০০ টাকা আয় করছে গুগল
গুগল হচ্ছে প্রথম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি যারা তাদের কর্মচারীদের বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করে থাকে  তাছাড়াও কর্মচারীদেরকে তাদের পোষা কুকুর অফিসে নিয়ে আসতে দেয়া হয়  গুগলের সদর দপ্তরের ঘাস কাটার জন্য মেশিন ব্যবহার না করে ছাগল ব্যবহার করা হয় । ২০০১ সালে চালু করা হয় গুগল ইমেজ সার্চ । গুগল সার্চ ছারাও আর যে সমস্ত পরিষেবা প্রদান করে সেগুলি হল – গুগল ড্রাইভ, গুগল ম্যাপ, গুগল প্লে স্টোর, গুগল ট্রান্সলেট, ইউ টিউব, গুগল এডসেন্স, গি-মেল, Android অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি ।
মাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । ইন্টারনেট ও বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে ইন্টারনেট ও বিজ্ঞান লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন - 
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে মেয়েকে কি প্রশ্ন করবেন ?.


 মানুষের জীবনে বিয়ে সাধারণত একবার হয় । আগে বিয়ে করার সময় মেয়ে দেখতে গেলে সাথে বাড়ির বয়স্ক মানুষ থাকতেন । এখন ছেলেরা বন্ধুদের সাথে নিয়ে মেয়ে দেখতে যায় । আপনি তখন মেয়েকে কি প্রশ্ন করবেন সে সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা থাকেনা । আর যদি আপনি প্রথম বার মেয়ে দেখতে যান তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে । এখন আমি আপনাদের জানাবো যে সেই সময় আপনি মেয়েটিকে কি কি প্রশ্ন করবেন । এই সব প্রশ্নের উত্তর জানা আপনার একান্ত দরকার । এরফলে আপনার ভবিষ্যৎ বিবাহিত জীবন হবে সুন্দর ও সুখময়প্রশ্ন ও তাঁর উত্তর গুলি জানতে আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন ।


১) অবস্থা – আপনি যখন প্রথমে কোন মেয়ের বাড়িতে যাবেন তখন সেখানের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করুন । তার পর মেয়েকে সাধারণ কিছু প্রশ্ন করুন যেমন – তার নাম কি, বাবার নাম কি, তার কি করতে ভালো লাগে ইত্যাদি । প্রথম অবস্থায় এমন কিছু প্রশ্ন করবেন না যে সে উত্তর দিতে অপ্রস্তুত হয়ে বা চিন্তায় না পড়ে । আপনি নিজে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থাকবেন । এরপর আপনি যে প্রশ্ন গুলি করবেন সেগুলি যখন শুধুমাত্র দুজনে কথা বলবেন তখন জানতে চাইবেন, সকলের সামনে এগুলি বলবেন না । 


২) পছন্দ – এরপর আপনি তাকে বলবেন যে – আপনাকে তার পছন্দ হয়েছে কিনা । আপনি তাকে জানাবেন যে আপনার তাকে পছন্দ হয়েছে কিনা । যদি সে আপনাকে পছন্দ করে তাহলে কেন পছন্দ করে ? অনেক ছেলে ও মেয়ে শুধু দেখতে সুন্দর হয় বলে বা টাকা পয়সা থাকে বলে তাদের পছন্দ করে নেয় । আসল জিনিস হল শুধু দেখতে সুন্দর বা টাকা পয়সা নয়, মানুষের স্বভাব, আচার, ব্যবহার সেগুলিকে পছন্দ করুন । তার এই গুন গুলি আছে কিনা তা ভালো করে জেনে নিন । যদি দেখেন আপনার টাকা পয়সা দেখে বা দেখতে ভাল বলে পছন্দ করেছে তাহলে তাদের থেকে দূরে থাকুন ।


৩) বিয়েতে রাজি – পছন্দ হল, এবার কথা হল যে আপনাকে বিয়ে করতে রাজি ? যদি রাজি হয় তাহলে কেন রাজি । সে বিয়ে করবে তাতে তাঁর নিজের ইচ্ছায় নাকি বাড়ির লোকজদের চাপে পড়ে সে রাজি হয়েছে, সেটা জেনে নিন । আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যে জোর করে মেয়েকে তাঁর ইচ্ছায় বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়, সে রকম কোন সন্দেহ হলে পরিষ্কার করে কথা বলে নিন ।

৪) কখন বিয়ে করবে – অনেক সময় দেখা যায় যে সব কথাবার্তা ঠিক হয়ে যাওয়ার পর বিয়ে করতে সময় চাওয়া হয় । বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে । আপনি জেনে নিন সে ঠিক কখন বিয়ে করতে চায় । এক বছর না দু বছর, কত সময় লাগবে । যদি আপনার সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার সময় না থাকে তাহলে আপনি অন্য জায়গায় মেয়ে দেখুন ।


৫) এক সংসার – সবাই চায় তাঁর নিজের পরিবারের সকলের সাথে থাকতে । কিন্তু, বাড়ির ছেলের বিয়ের পর বিভিন্ন কারণে সংসার আলাদা আলাদা হয়ে যায় । আপনি যাকে বিয়ে করতে চলেছেন তাঁর কাছ থেকে একটু কায়দা করে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে – সে বিয়ের পরে এক সংসারে থাকতে চায় না আলাদা থাকতে চায় । আপনি নিশ্চয় চাইবেন না আপনার পরিবারের লোকজদের থেকে আলাদা থাকতে ।

৬) বাচ্চা - বিয়ের পর স্বাভাবিক ভাবে মানুষের সন্তান জন্ম হয় । আপনি যাকে বিয়ে করতে যাবেন এটা আপনারা অবশ্যই আলোচনা করে নেবেন যে – বিয়ের কত দিন পরে বাচ্চা নেবে । অনেক মানুষ আছে বিয়ের পর সাথে সাথে বাচ্চা নিতে চায়না । কিন্তু, পরিবারের লোকেরা চায় বাচ্চার মুখ দেখতে । তাই আপনারা ঠিক করে নিতে পারেন যে বিয়ের কতদিন পরে আপনারা বাচ্চা নিতে চান ।

৭) কাজ – বিয়ের পর অনেকে চায় বাইরে কাজ করতে যেতে বা চাকরি থাকলে চাকরি করতে । কিন্তু, বাড়ির লোকজদের কাছে এটা অনেক সময় ঠিক বলে মনে হয় না । তারা ভাবে বাড়ির বৌ বাড়িতে থাকবে, তাঁর আবার চাকরি করতে যাওয়ার কি দরকার । এই নিয়ে বাড়িতে সমস্যা শুরু হয় । এই বিষয়ে আপনারা ঠিক করে নেবেন যে আপনারা কি করবেন । একজনের মত এক রকম, আবার অন্য জনের মত আলাদা হলে আপনাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হবে । সেটা যেন না হয় তাই বিষয়টি বুঝে নেবেন ।


৮) সম্পর্ক – সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল যে – তাঁর কোন মানুষের সাথে আগে থেকে কোন সম্পর্ক আছে কিনা ? এখনকার দিনে সিঙ্গেল ছেলে মেয়ে পাওয়া একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে । প্রায় সবাই কোন না কোন একটা সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে । আপনি যাকে বিয়ে করতে চলেছেন এই দিকটা খুব ভাল করে বূঝে নিন যে, সে অন্য কোন সম্পর্কে জড়িয়ে আছে কিনা । না থাকলে ঠিক আছে, আর যদি থাকে তাহলে আপনার তাকে বিয়ে না করাই সঠিক কাজ হবে । যদি করেন তাহলে আপনাকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যায়  পড়তে হবে । দেনা-পাওনার কথা বাদ দিলাম ।

 আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । সম্পর্ক বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে নিচে সম্পর্ক লেখাটির উপর ক্লিক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুন -
আপনি জীবনে যে ৫ টি কারনে সুখী হতে পারেন না ?
কোন মানুষকে প্রভাবিত করে তার মনে আপনার স্থান কিভাবে করবেন ?.
বিয়ে করার জন্য সঠিক ছেলে বা মেয়ে কিভাবে নির্বাচন করবেন ?.
আপনি জীবনে সাফল্য লাভ করবেন কিভাবে ?.
আপনি আপনার নিজের আত্মবিশ্বাস কিভাবে বাড়াবেন ?.


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।